১২:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এস আলম পরিবারের আরও এক সদস্য করোনায় আক্রান্ত

এবার আক্রান্ত হয়েছেন এস আলম পরিবারের পুত্রবধু সাইফুল আলম মাসুদ এর সদ্য প্রয়াত বড় ভাই মোরসেদুল আলমের ছেলের বউ, চট্টগ্রাম -৪ সীতাকুণ্ডের এমপি আলহাজ্ব দিদারুল আলমের বড় মেয়ে রাফিকা (২৪) এর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
রাফিকা বর্তমানে পুরোপুরি সুস্থ। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রামের বাসায় আইসোলেশনে আছেন।
চট্টগ্রামে আইসিইউ শয্যার সংকটে এস আলম পরিবারের জ্যেষ্ঠ সন্তানের মৃত্যুর পর ঢাকার একটি হাসপাতালকে ভেন্টিলিটর সুবিধাসহ আটটি আইসিইউ শয্যা দিল দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ।
প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের নির্দেশে এই ভেন্টিলিটরসহ আইসিইউ শয্যাগুলো দেওয়া হয়েছে বলে তার পারিবারিক সূত্র বিজনেস বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন।
সাইফুল আলম মাসুদ বর্তমানে সপরিবারে সিঙ্গাপুর অবস্থান করছেন। ইসিইউ শয্যার সংকটে বড় ভাইয়ের মৃত্যু তাকে খুবই ব্যথিত করেছে বলে জানিয়েছে ওই সূত্র।
শুক্রবার (২৯ মে) ঢাকার ধানমণ্ডিতে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মোট আটটি ভেন্টিলিটরযুক্ত আইসিইউ শয্যা বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এগুলোর মূল্য আড়াই কোটি টাকারও বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি হাসপাতালেও ভেন্টিলিটরযুক্ত আইসিইউ শয্যার দেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে এস আলম গ্রুপ। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সেগুলো হস্তান্তর করা হবে।
ঢাকার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি আইসিইউ শয্যা চট্টগ্রামে দেওয়া হবে বলে ওই সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে প্রকৃত সংখ্যাটি তিনি তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি।
করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন এস আলম পরিবারের সাত সদস্য।
এর মধ্যে রয়েছেন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের মা ৮৫ বছর বয়সী চেমন আরা বেগম, ২৬ বছর বয়সী ছেলে আহসানুল আলম মারুফ, পাঁচ ভাই এস আলম গ্রুপের পরিচালক ৬০ বছর বয়সী রাশেদুল আলম, এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ৫৩ বছর বয়সী আবদুস সামাদ লাবু, ইউনিয়ন ব্যাংক ও এস আলম গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল আলম এবং এস আলম গ্রুপের পরিচালক ৪৫ বছর বয়সী ওসমান গণি।
এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হন ওই পরিবারের ৩৬ বছর বয়সী এক নারীও— তিনি ওসমান গণির স্ত্রী। অন্যদিকে পরিবারের নতুন আক্রান্ত এস আলম পরিবারের পুত্র বধু রাফিকা (২৪) পুরোপুরি সুস্হ চট্টগ্রামের বাসায় আইসোলেশন এ আছেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে মারা যান এস আলম পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য এবং শিল্পপতি সাইফুল আলম মাসুদের বড় ভাই মোরশেদুল আলম।
বড় ভাই মারা যাওয়ার পর সাইফুল আলম মাসুদের পরামর্শে গত ২২ ও ২৩ মে এস আলম পরিবারের সব সদস্যকেই চট্টগ্রাম নগরীর সুগন্ধা আবাসিক এলাকার ১ নম্বর রোডের বাসা থেকে আইসিইউযুক্ত অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়।
তখন থেকে এই পরিবারের করোনায় আক্রান্ত সাত সদস্যই চিকিৎসা নিচ্ছেন ঢাকার ধানমণ্ডিতে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে।

 

জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

এস আলম পরিবারের আরও এক সদস্য করোনায় আক্রান্ত

প্রকাশিত : ১২:১৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ মে ২০২০
এবার আক্রান্ত হয়েছেন এস আলম পরিবারের পুত্রবধু সাইফুল আলম মাসুদ এর সদ্য প্রয়াত বড় ভাই মোরসেদুল আলমের ছেলের বউ, চট্টগ্রাম -৪ সীতাকুণ্ডের এমপি আলহাজ্ব দিদারুল আলমের বড় মেয়ে রাফিকা (২৪) এর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
রাফিকা বর্তমানে পুরোপুরি সুস্থ। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রামের বাসায় আইসোলেশনে আছেন।
চট্টগ্রামে আইসিইউ শয্যার সংকটে এস আলম পরিবারের জ্যেষ্ঠ সন্তানের মৃত্যুর পর ঢাকার একটি হাসপাতালকে ভেন্টিলিটর সুবিধাসহ আটটি আইসিইউ শয্যা দিল দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ।
প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের নির্দেশে এই ভেন্টিলিটরসহ আইসিইউ শয্যাগুলো দেওয়া হয়েছে বলে তার পারিবারিক সূত্র বিজনেস বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন।
সাইফুল আলম মাসুদ বর্তমানে সপরিবারে সিঙ্গাপুর অবস্থান করছেন। ইসিইউ শয্যার সংকটে বড় ভাইয়ের মৃত্যু তাকে খুবই ব্যথিত করেছে বলে জানিয়েছে ওই সূত্র।
শুক্রবার (২৯ মে) ঢাকার ধানমণ্ডিতে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মোট আটটি ভেন্টিলিটরযুক্ত আইসিইউ শয্যা বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এগুলোর মূল্য আড়াই কোটি টাকারও বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি হাসপাতালেও ভেন্টিলিটরযুক্ত আইসিইউ শয্যার দেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে এস আলম গ্রুপ। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সেগুলো হস্তান্তর করা হবে।
ঢাকার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি আইসিইউ শয্যা চট্টগ্রামে দেওয়া হবে বলে ওই সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে প্রকৃত সংখ্যাটি তিনি তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি।
করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন এস আলম পরিবারের সাত সদস্য।
এর মধ্যে রয়েছেন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের মা ৮৫ বছর বয়সী চেমন আরা বেগম, ২৬ বছর বয়সী ছেলে আহসানুল আলম মারুফ, পাঁচ ভাই এস আলম গ্রুপের পরিচালক ৬০ বছর বয়সী রাশেদুল আলম, এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ৫৩ বছর বয়সী আবদুস সামাদ লাবু, ইউনিয়ন ব্যাংক ও এস আলম গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল আলম এবং এস আলম গ্রুপের পরিচালক ৪৫ বছর বয়সী ওসমান গণি।
এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হন ওই পরিবারের ৩৬ বছর বয়সী এক নারীও— তিনি ওসমান গণির স্ত্রী। অন্যদিকে পরিবারের নতুন আক্রান্ত এস আলম পরিবারের পুত্র বধু রাফিকা (২৪) পুরোপুরি সুস্হ চট্টগ্রামের বাসায় আইসোলেশন এ আছেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে মারা যান এস আলম পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য এবং শিল্পপতি সাইফুল আলম মাসুদের বড় ভাই মোরশেদুল আলম।
বড় ভাই মারা যাওয়ার পর সাইফুল আলম মাসুদের পরামর্শে গত ২২ ও ২৩ মে এস আলম পরিবারের সব সদস্যকেই চট্টগ্রাম নগরীর সুগন্ধা আবাসিক এলাকার ১ নম্বর রোডের বাসা থেকে আইসিইউযুক্ত অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়।
তখন থেকে এই পরিবারের করোনায় আক্রান্ত সাত সদস্যই চিকিৎসা নিচ্ছেন ঢাকার ধানমণ্ডিতে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে।