০৬:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

করোনার ‘অ্যান্টিবডি’ চিকিৎসায় বিরাট সাফল্য!

Female scientist working in the CDC laboratory.

এবার ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, করোনাভাইরাস রুখতে সক্ষম এমন একটি অ্যান্টিবডি চিকিৎসা পদ্ধতির বিকাশে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছেন তারা। এ পদ্ধতিতে কৃত্রিমভাবে তৈরি অ্যান্টিবডি আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগ করা হবে। এতে সংক্রমিত মানুষের জীবন রক্ষা হবে।

ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি অ্যাস্ট্রোজেনকার দাবি, সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে এ চিকিৎসা দেওয়া হলে তা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী প্যাস্কেল সোরিয়ত বলেন, ‘এ পদ্ধতিতে দুটি অ্যান্টিবডির সমন্বয় করে তা ইনজেকশনের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হবে। কারণ, শরীরে দুটি অ্যান্টিবডি নেওয়া থাকলে তা একটি অ্যান্টিবডির বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।’

টিকা উৎপাদনের চেয়ে অ্যান্টিবডি থেরাপি অনেক বেশি ব্যয়বহুল হবে জানিয়ে সোরিয়ত বলেন, ‘বয়স্ক ও শারীরিকভাবে দুর্বল মানুষদের এ ধরনের থেরাপির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কারণ, তাদের শরীরে টিকা প্রয়োগ করে ভালো ফল নাও পাওয়া যেতে পারে।’

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যকর বলে প্রমাণিত হওয়ার আগেই তা উৎপাদনের কাজ শুরু করে দিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। মানুষের শরীরে চালানো পরীক্ষায় এ ভ্যাকসিন কার্যকর প্রমাণের সঙ্গে সঙ্গে যেন তা হাতের নাগালে পাওয়া যায়, তা নিশ্চিত করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে কম্পানিটি। সম্ভাব্য এ ভ্যাকসিন নিয়ে ব্রাজিলেও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্যে চালানো পরীক্ষা যথাযথ ছিল কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে।

এদিকে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী কম্পানি সেকিরাস ঘোষণা দিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় কোভিড-১৯-এর সম্ভাব্য এক ভ্যাকসিন তৈরিতে সহায়তা করতে প্যারেন্ট কোম্পানি সিএসএল, সিইপিআই ও কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করছে তারা। সূত্র- দ্য গার্ডিয়ান।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭

করোনার ‘অ্যান্টিবডি’ চিকিৎসায় বিরাট সাফল্য!

প্রকাশিত : ০৮:১২:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুন ২০২০

এবার ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, করোনাভাইরাস রুখতে সক্ষম এমন একটি অ্যান্টিবডি চিকিৎসা পদ্ধতির বিকাশে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছেন তারা। এ পদ্ধতিতে কৃত্রিমভাবে তৈরি অ্যান্টিবডি আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগ করা হবে। এতে সংক্রমিত মানুষের জীবন রক্ষা হবে।

ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি অ্যাস্ট্রোজেনকার দাবি, সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে এ চিকিৎসা দেওয়া হলে তা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী প্যাস্কেল সোরিয়ত বলেন, ‘এ পদ্ধতিতে দুটি অ্যান্টিবডির সমন্বয় করে তা ইনজেকশনের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হবে। কারণ, শরীরে দুটি অ্যান্টিবডি নেওয়া থাকলে তা একটি অ্যান্টিবডির বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।’

টিকা উৎপাদনের চেয়ে অ্যান্টিবডি থেরাপি অনেক বেশি ব্যয়বহুল হবে জানিয়ে সোরিয়ত বলেন, ‘বয়স্ক ও শারীরিকভাবে দুর্বল মানুষদের এ ধরনের থেরাপির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কারণ, তাদের শরীরে টিকা প্রয়োগ করে ভালো ফল নাও পাওয়া যেতে পারে।’

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যকর বলে প্রমাণিত হওয়ার আগেই তা উৎপাদনের কাজ শুরু করে দিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। মানুষের শরীরে চালানো পরীক্ষায় এ ভ্যাকসিন কার্যকর প্রমাণের সঙ্গে সঙ্গে যেন তা হাতের নাগালে পাওয়া যায়, তা নিশ্চিত করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে কম্পানিটি। সম্ভাব্য এ ভ্যাকসিন নিয়ে ব্রাজিলেও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্যে চালানো পরীক্ষা যথাযথ ছিল কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে।

এদিকে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী কম্পানি সেকিরাস ঘোষণা দিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় কোভিড-১৯-এর সম্ভাব্য এক ভ্যাকসিন তৈরিতে সহায়তা করতে প্যারেন্ট কোম্পানি সিএসএল, সিইপিআই ও কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করছে তারা। সূত্র- দ্য গার্ডিয়ান।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর