০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কিস্তি আদায়ে গ্রাহককে জোর করা যাবেনা : ইউএনও মাসুদ কামাল

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় সরকারের নির্দেশ অমান্য করে এনজিও গুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে জোর পূর্বক কিস্তি আদায় করছে, এই বিষয় বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ কামালের নজরে আসার পর সকল এনজিও সমূহের প্রতিনিধিদের নিয়ে সমন্বয় সভার আয়োজন করেন। ১১জুন উপজেলা হল রুমে মাসুদ কামালে সভাপতিত্বে এনজিও সমূহের প্রতিনিধিদের নিয়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এই সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সরকারি নির্দেশনায় করোনা সংকটকালে ৩০ জুন তারিখ পর্যন্ত কোন এনজিও কর্তৃক ঋণ গ্রহীতাকে কিস্তি প্রদানে বাধ্য করা যাবে না। তবে কোন গ্রাহকের কিস্তি পরিশোধ করার সামর্থ্য থাকলে তারা নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করবেন। যাদের কিস্তি পরিশোধের সামর্থ্য নেই, তাদের কারও উপর কোন জোর প্রয়োগ করা যাবেন।

সূত্রমতে, সরকার আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এনজিও ঋণ শ্রেণিকরণ কার্যকর হবে না বলে নির্দেশনা জারি করে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ)। একইসঙ্গে নির্ধারিত সময় শেষে কোন প্রকার জরিমানা ছাড়াই বকেয়া কিস্তি গ্রহণ করা হবে। কিন্তু ভালুকায় অধিকাংশ নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত এনজিওগুলো এ নির্দেশনা না মেনে মাঠকর্মীদের দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঋণ গ্রহীতাদের কাছে কিস্তির টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। সরজমিনে ভালুকা উপজেলার কয়েকটি এনজিও অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, অফিসগুলোতে পুর্বের ন্যায় কার্যক্রম চলছে।

অফিস সহকারীরা অফিস পাহারা দিচ্ছেন আর কর্মিরা মাঠে গিয়েছেন কিস্তি আদায় করতে। করোনায় চলমান ক্রান্তিলগ্নে অধিকাংশ এনজিও’র পক্ষ থেকে ঋণ গ্রহীতাদের কোন ধরনের সহযোগিতার খবর পাওয়া যায়নি।

ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিছুকিছু এনজিও কর্মিরা ঈদের পর থেকেই কিস্তি আদায়ের জন্য মোবাইলে সদস্যদের চাপ দিতে শুরু করেছে। কিন্তু লকডাউন সিথিল হওয়ার পর থেকে পুরো দমে কিস্তি আদায় করতে শুরু করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ কামাল বলেন, সরকার আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এনজিও এবং ক্ষুদ্র ঋণ স্থগিত করে নির্দেশনা জারি করেছেন।

তারপরও যদি কিস্তি আদায়ে জন্য কারও উপর কোন জোর প্রয়োগ করে তাহলে সুনির্দিষ্ট তথ্যসহ আমাকে ফোনে অথবা ফেইবুক ম্যাসেঞ্জার এর মাধ্যমে জানাবেন। যদি কোন এনজিও এ নির্দেশ অমান্য করে তাহালে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ঋণ বিতরণ কার্যক্রম ও অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ ইমরান মাসুদ

জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

কিস্তি আদায়ে গ্রাহককে জোর করা যাবেনা : ইউএনও মাসুদ কামাল

প্রকাশিত : ০৩:১৮:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় সরকারের নির্দেশ অমান্য করে এনজিও গুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে জোর পূর্বক কিস্তি আদায় করছে, এই বিষয় বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ কামালের নজরে আসার পর সকল এনজিও সমূহের প্রতিনিধিদের নিয়ে সমন্বয় সভার আয়োজন করেন। ১১জুন উপজেলা হল রুমে মাসুদ কামালে সভাপতিত্বে এনজিও সমূহের প্রতিনিধিদের নিয়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এই সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সরকারি নির্দেশনায় করোনা সংকটকালে ৩০ জুন তারিখ পর্যন্ত কোন এনজিও কর্তৃক ঋণ গ্রহীতাকে কিস্তি প্রদানে বাধ্য করা যাবে না। তবে কোন গ্রাহকের কিস্তি পরিশোধ করার সামর্থ্য থাকলে তারা নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করবেন। যাদের কিস্তি পরিশোধের সামর্থ্য নেই, তাদের কারও উপর কোন জোর প্রয়োগ করা যাবেন।

সূত্রমতে, সরকার আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এনজিও ঋণ শ্রেণিকরণ কার্যকর হবে না বলে নির্দেশনা জারি করে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ)। একইসঙ্গে নির্ধারিত সময় শেষে কোন প্রকার জরিমানা ছাড়াই বকেয়া কিস্তি গ্রহণ করা হবে। কিন্তু ভালুকায় অধিকাংশ নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত এনজিওগুলো এ নির্দেশনা না মেনে মাঠকর্মীদের দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঋণ গ্রহীতাদের কাছে কিস্তির টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। সরজমিনে ভালুকা উপজেলার কয়েকটি এনজিও অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, অফিসগুলোতে পুর্বের ন্যায় কার্যক্রম চলছে।

অফিস সহকারীরা অফিস পাহারা দিচ্ছেন আর কর্মিরা মাঠে গিয়েছেন কিস্তি আদায় করতে। করোনায় চলমান ক্রান্তিলগ্নে অধিকাংশ এনজিও’র পক্ষ থেকে ঋণ গ্রহীতাদের কোন ধরনের সহযোগিতার খবর পাওয়া যায়নি।

ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিছুকিছু এনজিও কর্মিরা ঈদের পর থেকেই কিস্তি আদায়ের জন্য মোবাইলে সদস্যদের চাপ দিতে শুরু করেছে। কিন্তু লকডাউন সিথিল হওয়ার পর থেকে পুরো দমে কিস্তি আদায় করতে শুরু করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ কামাল বলেন, সরকার আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এনজিও এবং ক্ষুদ্র ঋণ স্থগিত করে নির্দেশনা জারি করেছেন।

তারপরও যদি কিস্তি আদায়ে জন্য কারও উপর কোন জোর প্রয়োগ করে তাহলে সুনির্দিষ্ট তথ্যসহ আমাকে ফোনে অথবা ফেইবুক ম্যাসেঞ্জার এর মাধ্যমে জানাবেন। যদি কোন এনজিও এ নির্দেশ অমান্য করে তাহালে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ঋণ বিতরণ কার্যক্রম ও অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ ইমরান মাসুদ