রাউজানে দিন দিন করোনা ভাইরাস এর শনাক্তর সংখ্যা বেড়ে চলছে। আর সেই সাথে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর হার ও বাড়ছে। এছাড়াও রাউজানের পাশাপাশি আরও ৮টি উপজেলাকে রেড জোনে ঘোষিত করা হয়েছে।
রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, আনোয়ারা, বোয়ালখালী, পটিয়া, সীতাকুন্ড, চন্দনাইশ ও বাঁশখালী উপজেলাকে রেড জোনে আনা হয়েছে। এই উপজেলা গুলো দিন দিন করোনভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অনেকটাই ব্যর্থ।
তাই এসব উপজেলা গুলোকে রেড জোনে নেওয়া হয়। যদিও উপজেলার বিভিন্ন প্রশাসন প্রথম থেকে তাঁরা মাঠে থেকে কাজ করলেও সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখতে পারেনি।
তাই এই উপজেলা গুলোর করোনার বেহাল অবস্থা বলে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানাগেছে।
অন্যদিকে ৩টি উপজেলাকে হলুদ জোনে ও দুটি উপজেলাকে সবুজ জোনে ঘোষণা করা হয়।
হলুদ জোনে উপজেলার ফটিকছড়ি, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া এই তিন উপজেলাকে হলুদ জোনে এছাড়া মিরশ্বরাই ও সন্ধীপকে সবুজ জোনে ঘোষণা করা হয়।
এদিকে গত ১৪ জুনের ফলাফলে রাউজানে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ৮১ জনে।
আজ সোমবার সর্বশেষ রিপোর্টে রাউজান উপজেলায় কোন করোনা রোগী গত ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত হয়নি। এদিকে ১৫-জুন এ ১৪টি উপজেলায় আরও ৬২ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়।
তাঁর মধ্যে লোহাগাড়া ২ জন, সাতকানিয়া, ১ জন, বাঁশখালীতে ৫ জন, আনোয়ারা ১ জন, চন্দনাইশে ৪ জন, পটিয়া ১৩ জন, বোয়ালখালীতে ২ জন, রাঙ্গুনিয়া ১১ জন, ফটিকছড়িতে ৯ জন, হাটহাজারিতে ৯ জন, সীতাকুন্ড ৪ জন, মিরশ্বরাই ১জন, তবে দুই উপজেলা সোমবার করোন রোগী শনাক্ত হয়নি রাউজান ও সন্ধীপ উপজেলা।
সর্বশেষ তথ্য চট্টগ্রাম জেলা ও উপজেলায় মোট ৭০৩ জকে নমুনা পরীক্ষা করে ১৫১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয় আজ সোমবার।
এবিষয়ে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, চট্টগ্রামের জেলা ও উপজেলা গুলোতে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ৯টি উপজেলাকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে।
বিজনেস বাংলাদেশ / আতিক