০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

করোনার হানা, পুরোপুরি বিশ্রামে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

করোনায় আক্রান্তের পর থেকেই ডাক্তারের নির্দেশনা মেনে বাসায় অবস্থান করছেন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। স্বাস্থবিধি মেনে চলায় আক্রান্তের সপ্তাহ সময়ের আগেই করোনার সব ধরনের উপসর্গমুক্ত হন গুণী এই শিল্পী।

গত ২১ জুন বন্যা বলেন, ‘১২ জুন আমি করোনায় আক্রান্ত হই। এরপর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থবিধি মেনে বাসায় থাকছি এবং আক্রান্তের তিন থেকে চারদিন পরই শারীরিকভাবে সুস্থতাবোধ করি। এখন আর কোনো ধরনের করোনা উপসর্গ আমার মধ্যে নেই। আমি এখন বেশি ভালো আছি। আমি সংশয়মুক্ত, ভয়টা কেটে গেছে।’

২৬ জুন গুণী এই শারীরিক অবস্থা জানার জন্য ফোন করলে তা ধরেন বন্যার বোন। তিনি বলেন, ‘আসলে করোনাক্রান্ত হওয়ার পর অসংখ্য মানুষের ফোন এসেছে। কাছে মানুষেরা খোঁজ নেওয়ার জন্য ফোন দিয়েছেন, তাই অনেকের সঙ্গেই কথা বলতে হয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার আগে আসলে ফোনে এত মানুষের সঙ্গে কথা বলা ঠিক হয়নি। তাই এখন শারীরিক কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছেন। ডাক্তার বলেছেন, আরও কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শরীর দুর্বল হওয়ার কারণে মঙ্গলবার (২৩ জুন) তার করোনার দ্বিতীয় টেস্টও করতে পারিনি। সুস্থতাবোধ করলেই যে কোনো দিন দ্বিতীয় টেস্টটি করাবো।’

এদিকে বন্যা করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমে কটূক্তিমূলক মন্তব্য করেছেন অনেকে। এ নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ চিত্রনির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ।

বুধবার (২৪ জুন) রাতে নাসির উদ্দিন ইউসুফ নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টে তার ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার করোনা আক্রান্ত হওয়া নিয়ে কতিপয় অসুস্থ মানসিকতার ‘নামানুষ’ যেভাবে অশ্লীল উক্তি করছে, তাদের বিরুদ্ধে অশ্লীলতার অভিযোগ এনে কোনো শিল্পী বা শিল্পী সংগঠন এখনো শাস্তি দাবি করেনি। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে মানবিক সংস্কৃতিবিরোধী অপপ্রচার ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যকারী এবং ধর্মব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি বিধানের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার ধ্যানে-জ্ঞানে রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রসংগীত তথা সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য স্বাধীনতা পদক ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক বঙ্গভূষণ পদক পেয়েছেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের অধ্যাপক ও নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। এছাড়া রবীন্দ্রসংগীতের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘সুরের ধারা’।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

জনপ্রিয়

গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮

করোনার হানা, পুরোপুরি বিশ্রামে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা

প্রকাশিত : ০৩:৫২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুন ২০২০

করোনায় আক্রান্তের পর থেকেই ডাক্তারের নির্দেশনা মেনে বাসায় অবস্থান করছেন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। স্বাস্থবিধি মেনে চলায় আক্রান্তের সপ্তাহ সময়ের আগেই করোনার সব ধরনের উপসর্গমুক্ত হন গুণী এই শিল্পী।

গত ২১ জুন বন্যা বলেন, ‘১২ জুন আমি করোনায় আক্রান্ত হই। এরপর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থবিধি মেনে বাসায় থাকছি এবং আক্রান্তের তিন থেকে চারদিন পরই শারীরিকভাবে সুস্থতাবোধ করি। এখন আর কোনো ধরনের করোনা উপসর্গ আমার মধ্যে নেই। আমি এখন বেশি ভালো আছি। আমি সংশয়মুক্ত, ভয়টা কেটে গেছে।’

২৬ জুন গুণী এই শারীরিক অবস্থা জানার জন্য ফোন করলে তা ধরেন বন্যার বোন। তিনি বলেন, ‘আসলে করোনাক্রান্ত হওয়ার পর অসংখ্য মানুষের ফোন এসেছে। কাছে মানুষেরা খোঁজ নেওয়ার জন্য ফোন দিয়েছেন, তাই অনেকের সঙ্গেই কথা বলতে হয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার আগে আসলে ফোনে এত মানুষের সঙ্গে কথা বলা ঠিক হয়নি। তাই এখন শারীরিক কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছেন। ডাক্তার বলেছেন, আরও কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শরীর দুর্বল হওয়ার কারণে মঙ্গলবার (২৩ জুন) তার করোনার দ্বিতীয় টেস্টও করতে পারিনি। সুস্থতাবোধ করলেই যে কোনো দিন দ্বিতীয় টেস্টটি করাবো।’

এদিকে বন্যা করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমে কটূক্তিমূলক মন্তব্য করেছেন অনেকে। এ নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ চিত্রনির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ।

বুধবার (২৪ জুন) রাতে নাসির উদ্দিন ইউসুফ নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টে তার ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার করোনা আক্রান্ত হওয়া নিয়ে কতিপয় অসুস্থ মানসিকতার ‘নামানুষ’ যেভাবে অশ্লীল উক্তি করছে, তাদের বিরুদ্ধে অশ্লীলতার অভিযোগ এনে কোনো শিল্পী বা শিল্পী সংগঠন এখনো শাস্তি দাবি করেনি। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে মানবিক সংস্কৃতিবিরোধী অপপ্রচার ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যকারী এবং ধর্মব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি বিধানের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার ধ্যানে-জ্ঞানে রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রসংগীত তথা সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য স্বাধীনতা পদক ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক বঙ্গভূষণ পদক পেয়েছেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের অধ্যাপক ও নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। এছাড়া রবীন্দ্রসংগীতের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘সুরের ধারা’।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ