০৩:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বগুড়ায় পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত অতঃপর সুস্থ হওয়ার গল্প

বগুড়া জেলার গাবতলী থানার অন্তর্গত নাড়ুয়ামালা ইউনিয়নের প্রথমার ছেও গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ আবু বক্কর ছিদ্দিকসহ তার পরিবারের পাঁচজন সদস্য একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত জুন মাসের ৮ তারিখে সর্বপ্রথম আলহাজ্ আবু বক্কর ছিদ্দিক কারোনায় আক্রান্ত হন। দুই একদিনের ব্যবধানে একে একে তার মেয়ে, দুই জামাই ও তার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়।

করোনায় আক্রান্ত ওই সব ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, পরিবারের প্রথমে আলহাজ্ আবু বক্কর ছিদ্দিকের মাঝে করোনার লক্ষণ দেখা দেয়। তারপর তিনিসহ পরিবারের পাঁচজনের মাঝে জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্টসহ নানা লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। লক্ষণ দেখা দেয়ার দুই দিন পরে তারা করোনা টেস্ট করান। টেস্টের রেজাল্টে তারা জানতে পারেন পরিবারের ওই সব ব্যক্তির করোনা পজিটিভ।

তারপর থেকে শুরু হয় ঘরোয়া ট্রিটমেন্ট। প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে সবাই আলাদা আলাদা বিছানা ব্যবহার করেছে। নিজেরা সার্বক্ষণিক সতর্কতা অবলম্বন করেছে এবং ডাক্তারের পরামর্শগুলো মেনে চলেছে।

কী কী ঘরোয়া চিকিৎসা অবলম্বন করেছেন?

এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা জানান, কিছুক্ষণ পর পর গরম পানি দিয়ে গারগল করা এবং দিনে দুই থেকে তিনবার গরম পানির বাষ্প নিঃশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করা। এই গরম পানির বাষ্প তৈরি করতে তারা পানির সাথে সবসময় লবঙ্গ, আদা ব্যবহার করেছে। কিছুক্ষণ পর পর রসুন, কালোজিরা, মধু, গরম দুধসহ আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণ করেছে।

তারা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকাতেও নিয়ে এসেছে পরিবর্তন। এসময় স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি তারা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করেছে তরল ও গরম খাবার যেমন- চা, কমলালেবুর শরবত, লেবুর শরবত। এভাবে ডাক্তারের পরামর্শ ও ঘরোয়া কিছু নিয়ম ফলো করার মাধ্যমে তাদের করোনা নেগেটিভ এসেছে। বর্তমানে সবাই এখন সুস্থতার সাথে জীবনযাপন করছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/এসএম

জনপ্রিয়

বগুড়ায় পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত অতঃপর সুস্থ হওয়ার গল্প

প্রকাশিত : ০৭:০৩:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জুলাই ২০২০

বগুড়া জেলার গাবতলী থানার অন্তর্গত নাড়ুয়ামালা ইউনিয়নের প্রথমার ছেও গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ আবু বক্কর ছিদ্দিকসহ তার পরিবারের পাঁচজন সদস্য একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত জুন মাসের ৮ তারিখে সর্বপ্রথম আলহাজ্ আবু বক্কর ছিদ্দিক কারোনায় আক্রান্ত হন। দুই একদিনের ব্যবধানে একে একে তার মেয়ে, দুই জামাই ও তার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়।

করোনায় আক্রান্ত ওই সব ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, পরিবারের প্রথমে আলহাজ্ আবু বক্কর ছিদ্দিকের মাঝে করোনার লক্ষণ দেখা দেয়। তারপর তিনিসহ পরিবারের পাঁচজনের মাঝে জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্টসহ নানা লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। লক্ষণ দেখা দেয়ার দুই দিন পরে তারা করোনা টেস্ট করান। টেস্টের রেজাল্টে তারা জানতে পারেন পরিবারের ওই সব ব্যক্তির করোনা পজিটিভ।

তারপর থেকে শুরু হয় ঘরোয়া ট্রিটমেন্ট। প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে সবাই আলাদা আলাদা বিছানা ব্যবহার করেছে। নিজেরা সার্বক্ষণিক সতর্কতা অবলম্বন করেছে এবং ডাক্তারের পরামর্শগুলো মেনে চলেছে।

কী কী ঘরোয়া চিকিৎসা অবলম্বন করেছেন?

এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা জানান, কিছুক্ষণ পর পর গরম পানি দিয়ে গারগল করা এবং দিনে দুই থেকে তিনবার গরম পানির বাষ্প নিঃশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করা। এই গরম পানির বাষ্প তৈরি করতে তারা পানির সাথে সবসময় লবঙ্গ, আদা ব্যবহার করেছে। কিছুক্ষণ পর পর রসুন, কালোজিরা, মধু, গরম দুধসহ আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণ করেছে।

তারা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকাতেও নিয়ে এসেছে পরিবর্তন। এসময় স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি তারা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করেছে তরল ও গরম খাবার যেমন- চা, কমলালেবুর শরবত, লেবুর শরবত। এভাবে ডাক্তারের পরামর্শ ও ঘরোয়া কিছু নিয়ম ফলো করার মাধ্যমে তাদের করোনা নেগেটিভ এসেছে। বর্তমানে সবাই এখন সুস্থতার সাথে জীবনযাপন করছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/এসএম