০৫:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইরানে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড

মহামারি নভেল করোভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকে বিপর্যস্ত ইরানে ফের ভাইরাসটির সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে নতুন করে আরও ২২৯ জন কোভিড-১৯ রোগী মারা গেছেন। যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। খবর মিডল ইস্ট মনিটর।

চীনের পর ইউরোপে করোনার প্রকোপ যখন সবচেয়ে বেশি, তখন সেই তালিকায় নাম ছিল ইরানেরও। তবে ভাইরাসটির সংক্রমণ ও মৃত্যু কমতে থাকায় এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশটি লকডাউন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করতে শুরু করে। এরপর দ্বিতীয় দফায় সেখানে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ দেখা দিয়েছে।

ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েরর মুখপাত্র সিমা সাদাত লারি বলেন, তাদের হাতে আসা হিসাব অনুযায়ী, দেশে এখন করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ১৪ হাজার ৬৩৪ জন। এছাড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন এমন শনাক্ত মানুষের সংখ্যা ২ লাখ ৭৯ হাজার প্রায়। তবে আক্রান্তদের মধ্যে ২ লাখ ৪২ হাজারের বেশি এখন সুস্থ।

প্রথম দফায় দৈনিক মৃতের চেয়ে দ্বিতীয় দফায় এই হার বেশি। এর আগে সবশেষ একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ডটি ছিল গত ৯ জুলাই; ২২১ জন। অথচ এক সময় দেশটিতে করোনায় দৈনিক মৃত্যু কমে বিশের নিচে নেমেছিল। তবে সরকার বলছে, সংক্রমণ ঠেকাতে ফের লকডাউন করার অর্থনৈতিক সক্ষমতা এখন নেই।

তেহরানের করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রেজা জালিলি গত সপ্তাহে বলেন, দ্বিতীয় দফায় ভাইরাসটির ঊর্ধ্বমূখী সংক্রমণ শুরু হওয়ায় হাসপাতালগুলো শয্যা ছাড়াও চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীর মারাত্মক সংকটে পড়েছে। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট রুহানি অবশ্য বলছেন, এমন কোনো সংকট নেই।

প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এমাসের শুরুতে বলেছিলেন, ইরানের পক্ষে আবারও পুরো অর্থনীতি অচল করে লকডাউন করা সম্ভব নয়। তিনি ইরানিদের ফেস মাস্ক পরা এবং বড় বড় সমাবেশে যোগ দেয়া পরিহারের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

বিজনেস বাংলাদেশ / আতিক

জনপ্রিয়

সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭

ইরানে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড

প্রকাশিত : ১২:৪২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জুলাই ২০২০

মহামারি নভেল করোভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকে বিপর্যস্ত ইরানে ফের ভাইরাসটির সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে নতুন করে আরও ২২৯ জন কোভিড-১৯ রোগী মারা গেছেন। যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। খবর মিডল ইস্ট মনিটর।

চীনের পর ইউরোপে করোনার প্রকোপ যখন সবচেয়ে বেশি, তখন সেই তালিকায় নাম ছিল ইরানেরও। তবে ভাইরাসটির সংক্রমণ ও মৃত্যু কমতে থাকায় এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশটি লকডাউন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করতে শুরু করে। এরপর দ্বিতীয় দফায় সেখানে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ দেখা দিয়েছে।

ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েরর মুখপাত্র সিমা সাদাত লারি বলেন, তাদের হাতে আসা হিসাব অনুযায়ী, দেশে এখন করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ১৪ হাজার ৬৩৪ জন। এছাড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন এমন শনাক্ত মানুষের সংখ্যা ২ লাখ ৭৯ হাজার প্রায়। তবে আক্রান্তদের মধ্যে ২ লাখ ৪২ হাজারের বেশি এখন সুস্থ।

প্রথম দফায় দৈনিক মৃতের চেয়ে দ্বিতীয় দফায় এই হার বেশি। এর আগে সবশেষ একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ডটি ছিল গত ৯ জুলাই; ২২১ জন। অথচ এক সময় দেশটিতে করোনায় দৈনিক মৃত্যু কমে বিশের নিচে নেমেছিল। তবে সরকার বলছে, সংক্রমণ ঠেকাতে ফের লকডাউন করার অর্থনৈতিক সক্ষমতা এখন নেই।

তেহরানের করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রেজা জালিলি গত সপ্তাহে বলেন, দ্বিতীয় দফায় ভাইরাসটির ঊর্ধ্বমূখী সংক্রমণ শুরু হওয়ায় হাসপাতালগুলো শয্যা ছাড়াও চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীর মারাত্মক সংকটে পড়েছে। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট রুহানি অবশ্য বলছেন, এমন কোনো সংকট নেই।

প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এমাসের শুরুতে বলেছিলেন, ইরানের পক্ষে আবারও পুরো অর্থনীতি অচল করে লকডাউন করা সম্ভব নয়। তিনি ইরানিদের ফেস মাস্ক পরা এবং বড় বড় সমাবেশে যোগ দেয়া পরিহারের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

বিজনেস বাংলাদেশ / আতিক