কক্সবাজারের টেকনাফে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১৫) এর সদস্যদের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় রশিদুল্লাহ নামে এক রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছে। এসময় র্যাবের দুইজন সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফ (সিপিসি-১) র্যাব ক্যাম্পের কর্তব্যরত অপারেশন কমান্ডার (এএসপি) বিমান চন্দ্র কর্মকার এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বুধবার ভোররাতে টেকনাফে দায়িত্বরত র্যাব-১৫ (সিপিসি-১) এর সদস্যরা গোপন সংবাদে জানতে পারে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া সেন্টমার্টিন কেয়ারী জাহাজ ঘাট সংলগ্ন ১৪নং ব্রিজের পাহাড়ি এলাকায় অপরাধ সংঘটিত করার জন্য একদল ডাকাত অবস্থান করছে।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি চৌকষ আভিযানিক টিম অভিযানে যায়। এরপর ডাকাত দলের সদস্যরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলিবর্ষণ শুরু করলে র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। এক পর্যায়ে গোলাগুলি থেমে যাওয়ার পর র্যাব সদস্যরা গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকা এক ডাকাতকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ডাকাত হচ্ছেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা শরনার্থী শিবিরে আশ্রিত রোহিঙ্গা সফিক উল্লাহ’র ছেলে রশিদুল্লাহ (২৮)। সে পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা ডাকাত খালেক গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। ঘটনাস্থল তল্লাশি করে দেশীয় তৈরি দু’টি এলজি ও ৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে র্যাব-১৫ সদস্যরা।
বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর