রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিষয়ে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য জানালো র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তিনি প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া অর্থের বড় একটি অংশ বিদেশে পাচার করেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। চারটি দেশে এ অর্থ পাচার করেছেন।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ এ তথ্য জানিয়েছেন।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক এএসপি সুজয় সরকার জানান, রোববার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ এ কথা বলেন।
মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক বলেছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাহেদ করিম তার প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বিভিন্ন মানুষকে অস্ত্রের মুখে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।
‘সাহেদের কার্যালয় থেকে যে পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে সেটিতে চারটি দেশের ভিসা লাগানো ছিল। সাহেদ ওই চারটি দেশেই যাতায়াত করেছেন এবং সেখানেই অর্থ পাচার করেছেন বলে তথ্য পেয়েছি।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আগামীকাল সোমবার ঢাকা কারাগার থেকে সাহেদকে সাতক্ষীরা নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে অস্ত্র মামলার রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে সেটির কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
গত ৬ জুলাই করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাব। সিলগালা করে দেয়া হয় রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা। ৭ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে র্যাব।
বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর