১০:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লকডাউনের অবসর সময়ে মাছের খামার তৈরী করলেন বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থী আবিদ

করোনা পরিস্থিতিতে ঘরবন্ধি মানুষ ৷ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ৷ শিক্ষার্থীরাও কাটাচ্ছে অবসর সময় ৷ কেউ কেউ সেই অবসর সময়টা কাজে লাগাচ্ছে অন্য কোনো কাজে ৷ তা থেকে অর্থ উপার্জনও হচ্ছে ৷ তেমনই একজন শিক্ষার্থী হলেন আহনাফ আবিদ প্রধান ৷ তিনি গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ৷

করোনা পরিস্থিতিতে যখন ঘরবন্ধি সারা বিশ্ব ৷ তিনি তখনই তার সেই ঘরবন্ধি অবসর সময়টাকে কাজে লাগান বায়োফ্লোক পদ্ধতিতে মাছের খামার তৈরীতে ৷ নিজের গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ের দেবিগঞ্জ উপজেলায় তৈরী করেন বায়োফ্লোক পদ্ধতির মাছের খামার ৷ সেখানে চাষ হচ্ছে কই, কার্প, থাই তেলাপিয়া মাছের পাশাপাশি সৌখিন রঙিন মাছও ৷

বায়োফ্লোক পদ্ধতিতে মাছ চাষের চিন্তাভাবনা কিভাবে মাথায় আসলো সে ব্যাপারে জানতে চাইলে আবিদ জানায়, “করোনা কালে গ্রামের বাড়িতেই অবসর সময় কাটাচ্ছিলাম ৷ আমার অনেক বন্ধুই এ বায়োফ্লোক পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেছে তা দেখে মনে হলো আমার এলাকায়ও এমন কিছু করা যায় ৷ আমার এলাকায় মাছের চাহিদাও অনেক ৷ আর বায়োফ্লোক পদ্ধতিতে মাছ চাষও অনেক সহজ এবং স্বল্প জায়গায় অনেক মাছ চাষ করা যায় ৷”

কত টাকা পুঁজি নিয়ে এ মাছ চাষের খামারটি গঠন করেন? প্রশ্নের উত্তরে আবিদ জানায়, “বেশী না ৷ মাত্র ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে এ বায়োফ্লোক পদ্ধতির মাছের খামারটি তৈরী করি ৷ যা থেকে প্রতি ট্যাঙ্কে ৭০ থেতে ৮০ হাজার লাভ করা সম্ভব ৷”

বর্তমানে কি কি জাতের মাছ চাষ হচ্ছে সে ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানায়, “এখন বায়োফ্লোকের দুই ট্যাঙ্কে তেলাপিয়া এবং শিঁং মাছ চাষ হচ্ছে ৷ এর পাশাপাশি গোল্ড ফিশ, গাপ্পি,প্লাটি, থাই গাপ্পি, কই, কার্ভ মাছও চাষ হচ্ছে ৷”

অন্যান্য যেসকল শিক্ষার্থীরা অবসর সময়ে অলসভাবে কাঁটাচ্ছেন তাদের উদ্দ্যেশ্যে আবিদ বলেন, “স্বল্প খরচে অল্প জায়গায় এ বায়োফ্লোক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা সম্ভব ৷ এবং এ থেকে প্রচুর লাভবানও হওয়া যায় ৷ এ পদ্ধতিতে প্রতি ট্যাঙ্কে ৪ মাস পর পর ১০০০ কেজি মাছ চাষ করা সম্ভব ৷ অবসর সময় বসে না থেকে এমন মাছ চাষ শুরু করলে লকডাউনে ঘরে বসেই অনেক টাকা উপার্জন করা সম্ভব ৷”

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

 

জনপ্রিয়

গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮

লকডাউনের অবসর সময়ে মাছের খামার তৈরী করলেন বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থী আবিদ

প্রকাশিত : ০৩:৪৭:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুলাই ২০২০

করোনা পরিস্থিতিতে ঘরবন্ধি মানুষ ৷ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ৷ শিক্ষার্থীরাও কাটাচ্ছে অবসর সময় ৷ কেউ কেউ সেই অবসর সময়টা কাজে লাগাচ্ছে অন্য কোনো কাজে ৷ তা থেকে অর্থ উপার্জনও হচ্ছে ৷ তেমনই একজন শিক্ষার্থী হলেন আহনাফ আবিদ প্রধান ৷ তিনি গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ৷

করোনা পরিস্থিতিতে যখন ঘরবন্ধি সারা বিশ্ব ৷ তিনি তখনই তার সেই ঘরবন্ধি অবসর সময়টাকে কাজে লাগান বায়োফ্লোক পদ্ধতিতে মাছের খামার তৈরীতে ৷ নিজের গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ের দেবিগঞ্জ উপজেলায় তৈরী করেন বায়োফ্লোক পদ্ধতির মাছের খামার ৷ সেখানে চাষ হচ্ছে কই, কার্প, থাই তেলাপিয়া মাছের পাশাপাশি সৌখিন রঙিন মাছও ৷

বায়োফ্লোক পদ্ধতিতে মাছ চাষের চিন্তাভাবনা কিভাবে মাথায় আসলো সে ব্যাপারে জানতে চাইলে আবিদ জানায়, “করোনা কালে গ্রামের বাড়িতেই অবসর সময় কাটাচ্ছিলাম ৷ আমার অনেক বন্ধুই এ বায়োফ্লোক পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেছে তা দেখে মনে হলো আমার এলাকায়ও এমন কিছু করা যায় ৷ আমার এলাকায় মাছের চাহিদাও অনেক ৷ আর বায়োফ্লোক পদ্ধতিতে মাছ চাষও অনেক সহজ এবং স্বল্প জায়গায় অনেক মাছ চাষ করা যায় ৷”

কত টাকা পুঁজি নিয়ে এ মাছ চাষের খামারটি গঠন করেন? প্রশ্নের উত্তরে আবিদ জানায়, “বেশী না ৷ মাত্র ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে এ বায়োফ্লোক পদ্ধতির মাছের খামারটি তৈরী করি ৷ যা থেকে প্রতি ট্যাঙ্কে ৭০ থেতে ৮০ হাজার লাভ করা সম্ভব ৷”

বর্তমানে কি কি জাতের মাছ চাষ হচ্ছে সে ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানায়, “এখন বায়োফ্লোকের দুই ট্যাঙ্কে তেলাপিয়া এবং শিঁং মাছ চাষ হচ্ছে ৷ এর পাশাপাশি গোল্ড ফিশ, গাপ্পি,প্লাটি, থাই গাপ্পি, কই, কার্ভ মাছও চাষ হচ্ছে ৷”

অন্যান্য যেসকল শিক্ষার্থীরা অবসর সময়ে অলসভাবে কাঁটাচ্ছেন তাদের উদ্দ্যেশ্যে আবিদ বলেন, “স্বল্প খরচে অল্প জায়গায় এ বায়োফ্লোক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা সম্ভব ৷ এবং এ থেকে প্রচুর লাভবানও হওয়া যায় ৷ এ পদ্ধতিতে প্রতি ট্যাঙ্কে ৪ মাস পর পর ১০০০ কেজি মাছ চাষ করা সম্ভব ৷ অবসর সময় বসে না থেকে এমন মাছ চাষ শুরু করলে লকডাউনে ঘরে বসেই অনেক টাকা উপার্জন করা সম্ভব ৷”

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর