১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যথাযোগ্য মর্যাদায় ডুয়েটে জাতীয় শোক দিবস পালিত

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন কর্মসূচী ও যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করলো ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর।

শনিবার জাতীয় শোক দিবস-২০২০ উপলক্ষ্যে সকাল ৬ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন, প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন ও হলসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং কালো পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। পরে শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে উপাচার্য বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী উদ্বোধন করেন।

এরপর সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে জুম এ্যাপস্-এর মাধ্যমে ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষ্যে একটি আলোচনা সভা (ভার্চুয়াল) অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একদিনে জননেতা বা জাতির পিতা হননি। সারাজীবন সংগ্রাম, কারাবরণ, জনগণের ন্যায্য অধিকার নিয়ে আন্দোলন করে একটি দেশের জন্ম দিয়ে বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছেন। আজ বিশ্বের বুকে বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার শপথ নিতে সবাইকে আহবান জানান। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের পরিচালক অধ্যাপক ড. গনেশ চন্দ্র সাহা, রেজিস্ট্রার (অ. দা.) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ওরায়দুর রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সত্যিকারভাবে লালন ও পালনের মাধ্যমে তাঁর রক্তের প্রতিদান দেওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিলো ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে ‘বঙ্গন্ধুর ভাবনায় ডিজিটাল বাংলাদেশের দর্শন’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে বিশেষ মোনাজাত। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবনের উপর চিত্র প্রদর্শনী এবং সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনের উপর ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী করা হয়। অনুষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারীকৃত স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশিকা/গাইডলাইন অনুসরণপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া ডুয়েট ক্যাম্পাস অবস্থিত ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের উপর উপস্থিত বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

জনপ্রিয়

যথাযোগ্য মর্যাদায় ডুয়েটে জাতীয় শোক দিবস পালিত

প্রকাশিত : ০৬:৪১:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২০

স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন কর্মসূচী ও যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করলো ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর।

শনিবার জাতীয় শোক দিবস-২০২০ উপলক্ষ্যে সকাল ৬ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন, প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন ও হলসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং কালো পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। পরে শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে উপাচার্য বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী উদ্বোধন করেন।

এরপর সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে জুম এ্যাপস্-এর মাধ্যমে ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষ্যে একটি আলোচনা সভা (ভার্চুয়াল) অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একদিনে জননেতা বা জাতির পিতা হননি। সারাজীবন সংগ্রাম, কারাবরণ, জনগণের ন্যায্য অধিকার নিয়ে আন্দোলন করে একটি দেশের জন্ম দিয়ে বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছেন। আজ বিশ্বের বুকে বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার শপথ নিতে সবাইকে আহবান জানান। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের পরিচালক অধ্যাপক ড. গনেশ চন্দ্র সাহা, রেজিস্ট্রার (অ. দা.) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ওরায়দুর রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সত্যিকারভাবে লালন ও পালনের মাধ্যমে তাঁর রক্তের প্রতিদান দেওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিলো ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে ‘বঙ্গন্ধুর ভাবনায় ডিজিটাল বাংলাদেশের দর্শন’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে বিশেষ মোনাজাত। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবনের উপর চিত্র প্রদর্শনী এবং সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনের উপর ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী করা হয়। অনুষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারীকৃত স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশিকা/গাইডলাইন অনুসরণপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া ডুয়েট ক্যাম্পাস অবস্থিত ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের উপর উপস্থিত বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ