০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কমলগঞ্জে অগ্নিকান্ডে দোকান ও বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মুন্সিবাজার ইউনিয়নের ঠাকুর বাজারে ভোর ৫টায় আকস্মিকভাবে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডে আগুনে পুড়ে ১৬টি দোকানঘর ও ১টি বসতবাড়ি ভ‚স্মিভুত হয়েছে। অগ্নিকান্ডে দেড় কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেন। সোমবার (২৪ আগস্ট) ভোর ৫টায় আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোর ৫টায় ঠাকুরবাজারে একটি মুদি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন দেখে বাজার প্রহরী বাসুদেবপুর মসজিদের মোয়াজ্জিন আরজু মিয়া মসজিদের মাইকে এলাউন্স করে বিষয়টি এলাকাবাসীকে অবহিত করেন। এলাকাবাসী এসে কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসকে কয়েকদফা ফোন করলে কেউ ফোন রিসিভ করেনি। কমলগঞ্জ অগ্নি নির্বাপক দলের সাথে যোগযোগ করতে না পেরে স্থানীয় শুকুর মোল্লা নামে একব্যাক্তি প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ সাইকেলে অতিক্রম করে এসে অফিস থেকে অগ্নি নির্বাপক দলের কর্মীদের নিয়ে যান ঘটনাস্থলে। তবে ঘটনা স্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় আধাঘন্টা অতিবাহিত করেও পানির পাম্প চালু করতে না পারায় আগুনের লেলিহান শিখা দ্রæত গতিতে বৃদ্ধি পেতে থাকে। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়।

পরে শ্রীমঙ্গল অগ্নি নির্বাপক দলের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। অগ্নিকান্ডে নান্নু স্টোর, দেওয়ান চালের দোকান, সাহবাগ ধানের দোকান, মামনি কনফেকশনারি, শাহজালাল ভেরাটিজ স্টোর, কে এম মেডিকেল হল, জননী মেডিকেল সেন্টার, মহিউদ্দিন কম্পিউটার, হাসিম টি স্টল, নকুল সেলুন, মকসন স্টোর, বাছির ফার্নিচার, মহসিন ভেরাইটিজ স্টোর, জুয়েল মিয়া’র বসত বাড়ি, চন্দন সেলুন, হাফিজ ভেরাইটিজ স্টোর ও নজরুল মিয়ার গুদাম ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কমলগঞ্জ নির্বাপক দলের এমন গাফিলতিতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে প্রায় ৩শতাধিক এলাকাবাসী। তাই আগুন নিয়ন্ত্রণের পর দীর্ঘসময় কমলগঞ্জ অগ্নি নির্বাপক দলের গাড়ি আটকে রাখে বিক্ষুদ্ধ জনতা।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক এর আশ্বাসে সাংবাদিক সুব্রত দেবরায় সঞ্জয় এর মধ্যস্থতায় কমলগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগীতায় অগ্নি নির্বাপক দলের গাড়িটিকে ছেড়ে দেয় বিক্ষুদ্ধ জনতা। ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনার খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক, কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম, বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল, কমলগঞ্জ পৌর মেয়র মো: জুয়েল আহমেদ, মুন্সিবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালিব তরফদার ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অগ্নি কান্ডের কোন কারণ জানা না গেলেও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যূতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন জেলা প্রমাসনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮

কমলগঞ্জে অগ্নিকান্ডে দোকান ও বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

প্রকাশিত : ০২:০৮:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অগাস্ট ২০২০

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মুন্সিবাজার ইউনিয়নের ঠাকুর বাজারে ভোর ৫টায় আকস্মিকভাবে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডে আগুনে পুড়ে ১৬টি দোকানঘর ও ১টি বসতবাড়ি ভ‚স্মিভুত হয়েছে। অগ্নিকান্ডে দেড় কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেন। সোমবার (২৪ আগস্ট) ভোর ৫টায় আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোর ৫টায় ঠাকুরবাজারে একটি মুদি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন দেখে বাজার প্রহরী বাসুদেবপুর মসজিদের মোয়াজ্জিন আরজু মিয়া মসজিদের মাইকে এলাউন্স করে বিষয়টি এলাকাবাসীকে অবহিত করেন। এলাকাবাসী এসে কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসকে কয়েকদফা ফোন করলে কেউ ফোন রিসিভ করেনি। কমলগঞ্জ অগ্নি নির্বাপক দলের সাথে যোগযোগ করতে না পেরে স্থানীয় শুকুর মোল্লা নামে একব্যাক্তি প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ সাইকেলে অতিক্রম করে এসে অফিস থেকে অগ্নি নির্বাপক দলের কর্মীদের নিয়ে যান ঘটনাস্থলে। তবে ঘটনা স্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় আধাঘন্টা অতিবাহিত করেও পানির পাম্প চালু করতে না পারায় আগুনের লেলিহান শিখা দ্রæত গতিতে বৃদ্ধি পেতে থাকে। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়।

পরে শ্রীমঙ্গল অগ্নি নির্বাপক দলের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। অগ্নিকান্ডে নান্নু স্টোর, দেওয়ান চালের দোকান, সাহবাগ ধানের দোকান, মামনি কনফেকশনারি, শাহজালাল ভেরাটিজ স্টোর, কে এম মেডিকেল হল, জননী মেডিকেল সেন্টার, মহিউদ্দিন কম্পিউটার, হাসিম টি স্টল, নকুল সেলুন, মকসন স্টোর, বাছির ফার্নিচার, মহসিন ভেরাইটিজ স্টোর, জুয়েল মিয়া’র বসত বাড়ি, চন্দন সেলুন, হাফিজ ভেরাইটিজ স্টোর ও নজরুল মিয়ার গুদাম ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কমলগঞ্জ নির্বাপক দলের এমন গাফিলতিতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে প্রায় ৩শতাধিক এলাকাবাসী। তাই আগুন নিয়ন্ত্রণের পর দীর্ঘসময় কমলগঞ্জ অগ্নি নির্বাপক দলের গাড়ি আটকে রাখে বিক্ষুদ্ধ জনতা।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক এর আশ্বাসে সাংবাদিক সুব্রত দেবরায় সঞ্জয় এর মধ্যস্থতায় কমলগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগীতায় অগ্নি নির্বাপক দলের গাড়িটিকে ছেড়ে দেয় বিক্ষুদ্ধ জনতা। ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনার খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক, কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম, বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল, কমলগঞ্জ পৌর মেয়র মো: জুয়েল আহমেদ, মুন্সিবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালিব তরফদার ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অগ্নি কান্ডের কোন কারণ জানা না গেলেও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যূতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন জেলা প্রমাসনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর