রাজধানীর কলাবাগানের মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। বিকৃত যৌনাচারের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার (০৮ জানুয়ারি) ওই স্কুলছাত্রীর সুরতহাল ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ফরেনসিক চিকিৎসক সোহেল মাহমুদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘শারিরীক গঠন ও দাঁত দেখে বয়স নির্ধারণ করা হবে। এছাড়া ডিএনএ ও ভিসেরা রিপোর্টের পরই বুঝা যাবে গ্যাং রেপ হয়েছে কিনা।’
তিনি আরো বলেন, ‘ডিএনএ প্রোফাইলিং এর জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মৃত্যুর আগে চেতনা নাশক কিছু খাওয়ানো হয়েছে কিনা, তার জন্য প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। এসব রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।’
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে গ্রুপ স্টাডির কথা বলে বাসা থেকে বের হয় রাজধানীর ধানমণ্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের ওই শিক্ষার্থী।
চিকিৎসকরা জানান, ‘বন্ধুর বাসায় গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।’
এছাড়া পুলিশের দেয়া প্রাথমিক সুরতহালেও তার দেহে আর কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন রমনা বিভাগের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘ময়নাতদন্তের ক্যামিকেল এক্সামিনেশনের জন্য আলামত রাখতে নির্দেশনা দিয়েছি। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই।’
এদিকে স্বজনদের দাবি, তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। দোষীকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।
এ ঘটনায় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীসহ কয়েকটি সংগঠন। তাদের দাবি একটাই, দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
মামলার প্রধান অভিযুক্ত তানভীর ইফতেফার দিহানকে একমাত্র আসামি করে মেয়েটির বাবা ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন রাজধানীর কলাবাগান থানায়।
মামলায় বলা হয়েছে, ধর্ষণের পর রক্তক্ষরণ হলে নির্যাতিতাকে একটা বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান অভিযুক্ত নিজেই। এর মধ্যে নির্যাতিতার মাকে ফোন করে মেয়ের অসুস্থতার কথা জানায় সে। হাসপাতালে আসার আগেই মেয়ের মৃত্যুর খবর পান মা।
এর আগে বয়স নির্ধারণের জন্য মরদেহের প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করা হয়। পরে স্বজনরা মরদেহ নিয়ে যান।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ