১০:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লঞ্চ তৈরি করে আলোচিত বরিশালে ইউসুফ

নেই কোন প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা। তারপরেও নৌ-ভ্রমনের ভাল লাগা থেকে শখের বসে নিজের প্রতিভাগুনে মাত্র দুই মাসের প্রচেষ্টায় তিনি নির্মান করেছেন লঞ্চ। স্টিল, কাঠ ও ফোমের ব্যবহার করে নির্মান করা লঞ্চটি বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানিক কিংবা হাতে কলমে এ কাজ না শিখেও নিজের মেধায় দুর্গম চরাঞ্চলের একজন সামান্য শ্রমিকের নির্মান করা লঞ্চটি দেখার জন্য প্রতিদিন ভীড় করছেন শত শত মানুষ। তবে এ লঞ্চটি যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য তৈরি করা না হলেও এটি মটারের সাহায্যে নদীতে চলাচল করতে পারে।
জেলার নদী বেষ্টিত বরিশাল মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের দুর্গম পাতারচর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ হাওলাদারের ছেলে আবু ইউসুফ হাওলাদারের (৪৭) নির্মান করা এ লঞ্চটির নামকরন করা হয়েছে, এমভি শখ-১। বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে চলাচল করা বিলাসবহুল লঞ্চের ন্যায় মের্সাস আবু ইউসুফ স্যানেটারি মার্টের নির্মান করা এমভি শখ নামের লঞ্চের চারিপাশে লেখা হয়েছে “নদী পথে শান্তির নীড়, শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত, জাহাজের গায়ে নৌকা ভেড়ানো নিষেধসহ নানা শ্লোগান। ইউসুফ হাওলাদার বলেন, ছোট বেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনার সময় তিনি চারুকারু পরীক্ষায় লঞ্চের ছবি অঙ্কন করে একাধিক ক্লাশে সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়েছেন। পরবর্তীতে স্কুলের গন্ডি পার হওয়ার আগেই সংসারের দায়িত্ব পরে তার কাঁধে।
তিনি বলেন, নদী বেষ্টিত এলাকায় জন্মগ্রহণ করায় অসংখ্যবার তাকে লঞ্চে যাতায়াত করতে হয়েছে। যাতায়াতের সূত্রধরেই লঞ্চের প্রতি তার একটা ভাল লাগা তৈরি হয়। অতঃপর নিজের ভাল লাগাকে পূর্ন রুপ দেওয়ার জন্য প্রতিকী হিসেবে ৪৪ ইঞ্চি লম্বার এ লঞ্চটি তিনি নির্মান করেছেন। পেশায় স্যানেটারী মিস্ত্রী আবু ইউসুফ আরও বলেন, চরপদ্মা মাদ্রাসারহাটে স্যানেটারীর দোকানে বসে কাজের ফাঁকে গত দুই মাসের প্রচেষ্টায় স্টিল, কাঠ ও ফোম ব্যবহার করে প্রথমে লঞ্চটি তৈরি করা হয়। পরে পর্যায়ক্রমে লঞ্চের রং থেকে শুরু করে বর্তমানে বর্ণিল আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। সফিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মুসা হিমু মুন্সী বলেন, ইউসুফ হাওলাদারের নির্মান করা লঞ্চটি দেখে মনে হচ্ছে কোন পেশাদার ডিজাইনার এ লঞ্চটির ডিজাইন করেছেন। এছাড়াও লঞ্চটির কারুকার্য সত্যিই প্রশংসনীয়।
জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

লঞ্চ তৈরি করে আলোচিত বরিশালে ইউসুফ

প্রকাশিত : ০৩:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২
নেই কোন প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা। তারপরেও নৌ-ভ্রমনের ভাল লাগা থেকে শখের বসে নিজের প্রতিভাগুনে মাত্র দুই মাসের প্রচেষ্টায় তিনি নির্মান করেছেন লঞ্চ। স্টিল, কাঠ ও ফোমের ব্যবহার করে নির্মান করা লঞ্চটি বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানিক কিংবা হাতে কলমে এ কাজ না শিখেও নিজের মেধায় দুর্গম চরাঞ্চলের একজন সামান্য শ্রমিকের নির্মান করা লঞ্চটি দেখার জন্য প্রতিদিন ভীড় করছেন শত শত মানুষ। তবে এ লঞ্চটি যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য তৈরি করা না হলেও এটি মটারের সাহায্যে নদীতে চলাচল করতে পারে।
জেলার নদী বেষ্টিত বরিশাল মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের দুর্গম পাতারচর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ হাওলাদারের ছেলে আবু ইউসুফ হাওলাদারের (৪৭) নির্মান করা এ লঞ্চটির নামকরন করা হয়েছে, এমভি শখ-১। বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে চলাচল করা বিলাসবহুল লঞ্চের ন্যায় মের্সাস আবু ইউসুফ স্যানেটারি মার্টের নির্মান করা এমভি শখ নামের লঞ্চের চারিপাশে লেখা হয়েছে “নদী পথে শান্তির নীড়, শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত, জাহাজের গায়ে নৌকা ভেড়ানো নিষেধসহ নানা শ্লোগান। ইউসুফ হাওলাদার বলেন, ছোট বেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনার সময় তিনি চারুকারু পরীক্ষায় লঞ্চের ছবি অঙ্কন করে একাধিক ক্লাশে সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়েছেন। পরবর্তীতে স্কুলের গন্ডি পার হওয়ার আগেই সংসারের দায়িত্ব পরে তার কাঁধে।
তিনি বলেন, নদী বেষ্টিত এলাকায় জন্মগ্রহণ করায় অসংখ্যবার তাকে লঞ্চে যাতায়াত করতে হয়েছে। যাতায়াতের সূত্রধরেই লঞ্চের প্রতি তার একটা ভাল লাগা তৈরি হয়। অতঃপর নিজের ভাল লাগাকে পূর্ন রুপ দেওয়ার জন্য প্রতিকী হিসেবে ৪৪ ইঞ্চি লম্বার এ লঞ্চটি তিনি নির্মান করেছেন। পেশায় স্যানেটারী মিস্ত্রী আবু ইউসুফ আরও বলেন, চরপদ্মা মাদ্রাসারহাটে স্যানেটারীর দোকানে বসে কাজের ফাঁকে গত দুই মাসের প্রচেষ্টায় স্টিল, কাঠ ও ফোম ব্যবহার করে প্রথমে লঞ্চটি তৈরি করা হয়। পরে পর্যায়ক্রমে লঞ্চের রং থেকে শুরু করে বর্তমানে বর্ণিল আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। সফিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মুসা হিমু মুন্সী বলেন, ইউসুফ হাওলাদারের নির্মান করা লঞ্চটি দেখে মনে হচ্ছে কোন পেশাদার ডিজাইনার এ লঞ্চটির ডিজাইন করেছেন। এছাড়াও লঞ্চটির কারুকার্য সত্যিই প্রশংসনীয়।
বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব