১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শাহ আমানতে দুবাই ফেরত যাত্রীর পরিধেয় কাপড় পুড়িয়ে ১ কেজি ৭৬২ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার

দুবাই, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে একের পর এক দেশে প্রবেশ করেছে কোটি কোটি টাকার স্বর্ণের চালান। অভিনব কৌশলে কাপড়ের মতো পাতলা করে স্বর্ণের পাতকে এমনভাবে গ্লো দিয়ে গেঞ্জি, প্যান্ট এবং আন্ডারওয়্যারের সাথে মিশানো হয়েছে যে অনেক টানাটানি করেও জাতীয় গোয়েন্দা নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসআই) এবং শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সেগুলো আলাদা করতে পারেননি।

পরবর্তীতে চট্টগ্রাম শহরের কোতোয়ালী থানার হাজারীগলিতে এনে জামাকাপড় এসিডে পুড়িয়ে উদ্ধার করা হয় স্বর্ণ। অবশ্য পুড়ানোর ফলে স্বর্ণের পাতগুলোও স্বর্ণপিণ্ডে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ এক অভিযানে ২৩শে জানুয়ারী দুবাই ফেরত এক যাত্রীর পরিধেয় জামাকাপড় থেকে প্রায় দুই কেজি (১ কেজি ৭৬২ গ্রাম) স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। উক্ত যাত্রীর নাম মোহাম্মদ জিয়াউল হক (পাসপোর্ট নং– অ ০২৯১১৭৩৮)। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের বসুরহাটের বাসিন্দা।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইন্সের এফজেড–৫৬৩ ফ্লাইট যোগে গতকাল সকাল ১০টা ২০ মিনিটে মোহাম্মদ জিয়াউল হক নামের একজন যাত্রী দুবাই থেকে চট্টগ্রামে পৌঁছান। তিনি বিমান বন্দরে পৌঁছার আগেই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এনএসআই টিম গোপন সূত্রে খবর পায় যে, জিয়াউল হকের নিকট বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ রয়েছে।

বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও বিষয়টি অবগত হন। উভয়দল মিলে উক্ত যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তার কাছে কোনো ধরনের স্বর্ণ নেই বলে দাবি করেন। কিন্তু বিশ্বস্ত সোর্সের তথ্যের ব্যাপারে এনএসআই এত বেশি নিশ্চিত ছিলেন যে, তারা উক্ত যাত্রীর জামাকাপড় পরীক্ষা করে দেখেন। এক পর্যায়ে দেখা যায় যে, তার স্যান্ডো গেঞ্জি, আন্ডারওয়্যার এবং প্যান্টে এক ধরনের প্রলেপ লাগানো। তবে প্রলেপটি এত সুনিপুনভাবে লাগানো যে সেটিকে কাপড়ের অংশ বলে মনে হচ্ছিল। গ্লো দিয়ে স্বর্ণের পাত কাপড়ের সাথে মিলিয়ে শার্ট প্যান্ট পরে জিয়াউল হক চট্টগ্রামে চলে আসেন।

বিমানবন্দর এনএসআই এবং শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা যৌথভাবে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করেও কাপড় থেকে স্বর্ণের পাত আলাদা করতে পারেননি। পরবর্তীতে তার পরিধেয় জামা–কাপড় হাজারীগলিতে এনে গলিয়ে ১ কেজি ৭৬২ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। পুড়িয়ে ফেলার ফলে স্বর্ণগুলো একটি পিণ্ডে পরিণত হয়। এর বাইরে উক্ত যাত্রীর কাছে দুইটি স্বর্ণের বার, ১শ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের দাম ১ কোটি ২৭ লাখ টাকারও বেশি বলেও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

শাহ আমানতে দুবাই ফেরত যাত্রীর পরিধেয় কাপড় পুড়িয়ে ১ কেজি ৭৬২ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার

প্রকাশিত : ১১:৩৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩

দুবাই, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে একের পর এক দেশে প্রবেশ করেছে কোটি কোটি টাকার স্বর্ণের চালান। অভিনব কৌশলে কাপড়ের মতো পাতলা করে স্বর্ণের পাতকে এমনভাবে গ্লো দিয়ে গেঞ্জি, প্যান্ট এবং আন্ডারওয়্যারের সাথে মিশানো হয়েছে যে অনেক টানাটানি করেও জাতীয় গোয়েন্দা নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসআই) এবং শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সেগুলো আলাদা করতে পারেননি।

পরবর্তীতে চট্টগ্রাম শহরের কোতোয়ালী থানার হাজারীগলিতে এনে জামাকাপড় এসিডে পুড়িয়ে উদ্ধার করা হয় স্বর্ণ। অবশ্য পুড়ানোর ফলে স্বর্ণের পাতগুলোও স্বর্ণপিণ্ডে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ এক অভিযানে ২৩শে জানুয়ারী দুবাই ফেরত এক যাত্রীর পরিধেয় জামাকাপড় থেকে প্রায় দুই কেজি (১ কেজি ৭৬২ গ্রাম) স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। উক্ত যাত্রীর নাম মোহাম্মদ জিয়াউল হক (পাসপোর্ট নং– অ ০২৯১১৭৩৮)। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের বসুরহাটের বাসিন্দা।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইন্সের এফজেড–৫৬৩ ফ্লাইট যোগে গতকাল সকাল ১০টা ২০ মিনিটে মোহাম্মদ জিয়াউল হক নামের একজন যাত্রী দুবাই থেকে চট্টগ্রামে পৌঁছান। তিনি বিমান বন্দরে পৌঁছার আগেই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এনএসআই টিম গোপন সূত্রে খবর পায় যে, জিয়াউল হকের নিকট বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ রয়েছে।

বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও বিষয়টি অবগত হন। উভয়দল মিলে উক্ত যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তার কাছে কোনো ধরনের স্বর্ণ নেই বলে দাবি করেন। কিন্তু বিশ্বস্ত সোর্সের তথ্যের ব্যাপারে এনএসআই এত বেশি নিশ্চিত ছিলেন যে, তারা উক্ত যাত্রীর জামাকাপড় পরীক্ষা করে দেখেন। এক পর্যায়ে দেখা যায় যে, তার স্যান্ডো গেঞ্জি, আন্ডারওয়্যার এবং প্যান্টে এক ধরনের প্রলেপ লাগানো। তবে প্রলেপটি এত সুনিপুনভাবে লাগানো যে সেটিকে কাপড়ের অংশ বলে মনে হচ্ছিল। গ্লো দিয়ে স্বর্ণের পাত কাপড়ের সাথে মিলিয়ে শার্ট প্যান্ট পরে জিয়াউল হক চট্টগ্রামে চলে আসেন।

বিমানবন্দর এনএসআই এবং শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা যৌথভাবে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করেও কাপড় থেকে স্বর্ণের পাত আলাদা করতে পারেননি। পরবর্তীতে তার পরিধেয় জামা–কাপড় হাজারীগলিতে এনে গলিয়ে ১ কেজি ৭৬২ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। পুড়িয়ে ফেলার ফলে স্বর্ণগুলো একটি পিণ্ডে পরিণত হয়। এর বাইরে উক্ত যাত্রীর কাছে দুইটি স্বর্ণের বার, ১শ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের দাম ১ কোটি ২৭ লাখ টাকারও বেশি বলেও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব