০৫:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রেলপথে ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্ব কমবে ৯১ কিলোমিটার

রেল যোগাযোগ-ব্যবস্থার উন্নয়নে ‘প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের’ পরামর্শক সেবা পেতে একটি যৌথ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ হবে ২৩৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে শুধু ১৯৩ কোটি টাকা খরচ হবে রেলের ১১টি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিস্তারিত নকশা তৈরিতে।

মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি রেল ভবনে এ চুক্তি হয়। বাংলাদেশ রেলের পক্ষে চুক্তি সই করেন প্রকল্প পরিচালক মাহবুবুর রহমান এবং যৌথ পরামর্শ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্স গ্লোবাল কোম্পানি লিমিটেডের (জাপান) জিএম ইউজি অসানো চুক্তিতে সই করেন।

অনুষ্ঠানে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘একটি উন্নত, আধুনিক রেল যোগাযোগ-ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ২০৪৫ সাল পর্যন্ত স্বল্প, মধ্য, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ-ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ চলছে। রেল ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার ২০১১ সালে আলাদা মন্ত্রণালয় করে দিয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে আমরা একটি রুগ্ন, ভঙ্গুর রেল ব্যবস্থা পেয়েছি। সেখান থেকে রেল খাতকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হার্ডিঞ্জ ব্রিজ শতবর্ষ পার করেছে। এই ব্রিজের পাশাপাশি একটি নতুন সেতু নির্মাণে যাচাইকরণ ও বিস্তারিত নকশা তৈরি, নারায়ণগঞ্জ-লাকসাম রুটে কর্ড লাইন নির্মাণ (এটি নির্মিত হলে ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্ব ৯১ কিলোমিটার কমবে), বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-তারাকান্দি-জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ বাজার সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর, যশোর-বেনাপোল রুটে বিদ্যমান লাইনের সমান্তরাল একটি ব্রডগেজ লাইন নির্মাণ, ভৈরব বাজার-ময়মনসিংহ সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েল গেজ অথবা ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তর, সান্তাহার-বগুড়া-কাউনিয়া-লালমনিরহাট সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজকে ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তরসহ মোট ১১টি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিস্তারিত নকশা তৈরিতে চুক্তি সই হলো।’

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর। এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কনসালট্যান্সি সেবা পেতে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচের বিষয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যেসব কর্মকর্তা চাকরি থেকে চলে যাচ্ছে, তাদের সমন্বয়ে নিজস্ব কনসালট্যান্সি ফার্ম গড়ে তুলতে রেলওয়ে কাজ করছে। এর মাধ্যমে দেশের নিজস্ব সক্ষমতা গড়ে উঠবে। পাশাপাশি দেশের অর্থ বাঁচবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭

রেলপথে ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্ব কমবে ৯১ কিলোমিটার

প্রকাশিত : ১১:১৬:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

রেল যোগাযোগ-ব্যবস্থার উন্নয়নে ‘প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের’ পরামর্শক সেবা পেতে একটি যৌথ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ হবে ২৩৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে শুধু ১৯৩ কোটি টাকা খরচ হবে রেলের ১১টি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিস্তারিত নকশা তৈরিতে।

মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি রেল ভবনে এ চুক্তি হয়। বাংলাদেশ রেলের পক্ষে চুক্তি সই করেন প্রকল্প পরিচালক মাহবুবুর রহমান এবং যৌথ পরামর্শ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্স গ্লোবাল কোম্পানি লিমিটেডের (জাপান) জিএম ইউজি অসানো চুক্তিতে সই করেন।

অনুষ্ঠানে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘একটি উন্নত, আধুনিক রেল যোগাযোগ-ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ২০৪৫ সাল পর্যন্ত স্বল্প, মধ্য, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ-ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ চলছে। রেল ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার ২০১১ সালে আলাদা মন্ত্রণালয় করে দিয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে আমরা একটি রুগ্ন, ভঙ্গুর রেল ব্যবস্থা পেয়েছি। সেখান থেকে রেল খাতকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হার্ডিঞ্জ ব্রিজ শতবর্ষ পার করেছে। এই ব্রিজের পাশাপাশি একটি নতুন সেতু নির্মাণে যাচাইকরণ ও বিস্তারিত নকশা তৈরি, নারায়ণগঞ্জ-লাকসাম রুটে কর্ড লাইন নির্মাণ (এটি নির্মিত হলে ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্ব ৯১ কিলোমিটার কমবে), বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-তারাকান্দি-জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ বাজার সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর, যশোর-বেনাপোল রুটে বিদ্যমান লাইনের সমান্তরাল একটি ব্রডগেজ লাইন নির্মাণ, ভৈরব বাজার-ময়মনসিংহ সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েল গেজ অথবা ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তর, সান্তাহার-বগুড়া-কাউনিয়া-লালমনিরহাট সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজকে ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তরসহ মোট ১১টি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিস্তারিত নকশা তৈরিতে চুক্তি সই হলো।’

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর। এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কনসালট্যান্সি সেবা পেতে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচের বিষয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যেসব কর্মকর্তা চাকরি থেকে চলে যাচ্ছে, তাদের সমন্বয়ে নিজস্ব কনসালট্যান্সি ফার্ম গড়ে তুলতে রেলওয়ে কাজ করছে। এর মাধ্যমে দেশের নিজস্ব সক্ষমতা গড়ে উঠবে। পাশাপাশি দেশের অর্থ বাঁচবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব