০৬:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পাইকগাছায় নদী ভাঙনে আতঙ্কে ৫২ গ্রামের মানুষ

খুলনার পাইকগাছায় শিবসা, মিনহাজ ও ঢাকী নদীর মোহনায় কুমখালীর খুদখালী নদীতে আবারো ভাঙন কবলে। নদী গর্ভে চলে গেছে গড়–ইখালী ইউনিয়নের প্রধান সড়কের বিশাল অংশ। যাতায়ত ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। জলবদ্ধতার আতঙ্কে পড়েছে ৪টি ইউনিয়নের ৫২ গ্রামের লাখ লাখ মানুষ। উপজেলার দক্ষিণে সুন্দরবন উপক‚ল সংলগ্ন এলাকা কুমখালীর খুদখালী এলাকা। শিবসা, মিনহাজ ও ঢাকী নদীর মোহনা বার বার ভাঙনের কারণে ৫০ এর অধিক পরিবার ভিটেমাটি ছেড়ে চলে গেছে অন্যত্র।

এরআগে বর্ষা মৌসুমে ভাঙন লাগলেও চলতি বছর লেগেছে গরম মৌসুমে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম কেরু সংসদ সদস্যের নির্দেশে তাৎক্ষণিক লক্ষাধিক টাকা ব্যায়ে সাময়িক বিকল্প বাঁধ দিয়েছেন। গত বুধবার প্রায় হাফ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ইউনিয়নের প্রধান পাকা সড়ক ভাঙন কবলে। স্থানীয়রা জানায় আমাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।

আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়া হলে পাইকগাছায় গড়ইখালী, চাঁদখালী, কয়রায় আমাদী ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের ৫২টি গ্রামের লাখ লাখ মানুষ রাতদিন জলাবদ্ধতার আতঙ্কে রয়েছে। স্থানীয় সেলিম শেখ জানান, বিগত প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইলার পর থেকে প্রতি বছর আমরা ভাঙনের কবলে পড়েছি। কর্তৃপক্ষ বালির বস্তা ফেলে ভাঙন সাময়িক বন্ধ করলেও স্থায়ী কোনো সমাধানের ব্যবস্থা নেয়নি।

শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও খুলনা জেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. মো. সোহরাব আলী সানা। সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জেলা কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করার পর তারা সম্প্রতি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। দ্রুত ভাঙনরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

 

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

পাইকগাছায় নদী ভাঙনে আতঙ্কে ৫২ গ্রামের মানুষ

প্রকাশিত : ০২:০১:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩

খুলনার পাইকগাছায় শিবসা, মিনহাজ ও ঢাকী নদীর মোহনায় কুমখালীর খুদখালী নদীতে আবারো ভাঙন কবলে। নদী গর্ভে চলে গেছে গড়–ইখালী ইউনিয়নের প্রধান সড়কের বিশাল অংশ। যাতায়ত ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। জলবদ্ধতার আতঙ্কে পড়েছে ৪টি ইউনিয়নের ৫২ গ্রামের লাখ লাখ মানুষ। উপজেলার দক্ষিণে সুন্দরবন উপক‚ল সংলগ্ন এলাকা কুমখালীর খুদখালী এলাকা। শিবসা, মিনহাজ ও ঢাকী নদীর মোহনা বার বার ভাঙনের কারণে ৫০ এর অধিক পরিবার ভিটেমাটি ছেড়ে চলে গেছে অন্যত্র।

এরআগে বর্ষা মৌসুমে ভাঙন লাগলেও চলতি বছর লেগেছে গরম মৌসুমে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম কেরু সংসদ সদস্যের নির্দেশে তাৎক্ষণিক লক্ষাধিক টাকা ব্যায়ে সাময়িক বিকল্প বাঁধ দিয়েছেন। গত বুধবার প্রায় হাফ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ইউনিয়নের প্রধান পাকা সড়ক ভাঙন কবলে। স্থানীয়রা জানায় আমাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।

আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়া হলে পাইকগাছায় গড়ইখালী, চাঁদখালী, কয়রায় আমাদী ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের ৫২টি গ্রামের লাখ লাখ মানুষ রাতদিন জলাবদ্ধতার আতঙ্কে রয়েছে। স্থানীয় সেলিম শেখ জানান, বিগত প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইলার পর থেকে প্রতি বছর আমরা ভাঙনের কবলে পড়েছি। কর্তৃপক্ষ বালির বস্তা ফেলে ভাঙন সাময়িক বন্ধ করলেও স্থায়ী কোনো সমাধানের ব্যবস্থা নেয়নি।

শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও খুলনা জেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. মো. সোহরাব আলী সানা। সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জেলা কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করার পর তারা সম্প্রতি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। দ্রুত ভাঙনরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব