০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

কানাডায় ২০৩৪ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

কানাডায় আরও ১০ বছর শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। জুন মাসে দেশটির পার্লামেন্টে একটি বিল পাশ হওয়ায় ২০৩৪ সাল পর্যন্ত তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। কানাডা সরকারের অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কানাডার বাজারে জেনারেল প্রেফারেনশিয়াল ট্যারিফ (জিপিটি) সুবিধা পেয়ে আসছে বাংলাদেশ। ২০০৩ সাল থেকে এ সুবিধা পাওয়ায় শুল্কমুক্তভাবে তৈরি পোশাক রপ্তানির সুবিধা পায়। এটি ২০২৪ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এরমধ্যেই এ সুবিধা আরো ১০ বছর বাড়ছে।
কানাডার অর্থ বিভাগের তথ্য বলছে, ২০২৬ সালে এলডিসি বা স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উত্তরণ হওয়ার পর সমস্ত উন্নয়নশীল দেশের জন্য শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা বাড়িয়েছে কানাডা সরকার। এ সুবিধার আওতায় বাংলাদেশও উপকৃত হবে।

উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জেনারেল প্রেফারেনশিয়াল ট্যারিফ (জিপিটি) স্কিমের আওতায় শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা প্রদান অব্যাহত রাখার উদ্যোগ নিয়েছে কানাডা সরকার। এ স্কিমের আওতায় পোশাক আইটেম উৎপাদনের নিয়ম শিথিল করাসহ অন্যান্য পণ্যকেও দেশটিতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির অন্যতম বড় বাজার কানাডা। সম্প্রতি গত হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে আগের অর্থবছরের তুলনায় কানাডার বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আর গত অর্থবছরে কানাডায় ১ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

জেনারেল প্রেফারেনশিয়াল ট্যারিফের (জিপিটি) আওতায় কানাডার সরকার আরও একটি বিশেষ স্কিম চালু করেছে, যা জিপিটি প্লাস নামে পরিচিত। এই জিপিটি প্লাসের আওতায় উন্নয়নশীল দেশগুলো যদি শ্রমিকের অধিকার ও পরিবেশ সুরক্ষার মতো বিষয়গুলো মেনে চলে, তাহলে জেনারেল প্রেফারেনশিয়াল ট্যারিফের (জিপিটি) বাইরে আরও অতিরিক্ত অর্থনৈতিক সুবিধা পাবে। যদিও সেই সুবিধাগুলো কী সেটি এখনো জানা যায়নি।

বিজনেস বাংলাদেশ/এনআই

জনপ্রিয়

কানাডায় ২০৩৪ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ০৮:২৫:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩

কানাডায় আরও ১০ বছর শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। জুন মাসে দেশটির পার্লামেন্টে একটি বিল পাশ হওয়ায় ২০৩৪ সাল পর্যন্ত তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। কানাডা সরকারের অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কানাডার বাজারে জেনারেল প্রেফারেনশিয়াল ট্যারিফ (জিপিটি) সুবিধা পেয়ে আসছে বাংলাদেশ। ২০০৩ সাল থেকে এ সুবিধা পাওয়ায় শুল্কমুক্তভাবে তৈরি পোশাক রপ্তানির সুবিধা পায়। এটি ২০২৪ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এরমধ্যেই এ সুবিধা আরো ১০ বছর বাড়ছে।
কানাডার অর্থ বিভাগের তথ্য বলছে, ২০২৬ সালে এলডিসি বা স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উত্তরণ হওয়ার পর সমস্ত উন্নয়নশীল দেশের জন্য শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা বাড়িয়েছে কানাডা সরকার। এ সুবিধার আওতায় বাংলাদেশও উপকৃত হবে।

উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জেনারেল প্রেফারেনশিয়াল ট্যারিফ (জিপিটি) স্কিমের আওতায় শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা প্রদান অব্যাহত রাখার উদ্যোগ নিয়েছে কানাডা সরকার। এ স্কিমের আওতায় পোশাক আইটেম উৎপাদনের নিয়ম শিথিল করাসহ অন্যান্য পণ্যকেও দেশটিতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির অন্যতম বড় বাজার কানাডা। সম্প্রতি গত হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে আগের অর্থবছরের তুলনায় কানাডার বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আর গত অর্থবছরে কানাডায় ১ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

জেনারেল প্রেফারেনশিয়াল ট্যারিফের (জিপিটি) আওতায় কানাডার সরকার আরও একটি বিশেষ স্কিম চালু করেছে, যা জিপিটি প্লাস নামে পরিচিত। এই জিপিটি প্লাসের আওতায় উন্নয়নশীল দেশগুলো যদি শ্রমিকের অধিকার ও পরিবেশ সুরক্ষার মতো বিষয়গুলো মেনে চলে, তাহলে জেনারেল প্রেফারেনশিয়াল ট্যারিফের (জিপিটি) বাইরে আরও অতিরিক্ত অর্থনৈতিক সুবিধা পাবে। যদিও সেই সুবিধাগুলো কী সেটি এখনো জানা যায়নি।

বিজনেস বাংলাদেশ/এনআই