ফরম্যাট বদলে যাচ্ছে বিশ্বকাপের। ৩২ দলের বদলে ৪৮ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ। সব মহাদেশ থেকেই বাড়ছে অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা। ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচ তাই এবার শুরু হয়েছে কিছুটা আগেভাগেই। লাতিন আমেরিকা বা ইউরোপে আরও আগেই এই বাছাই শুরু হলেও, বাংলাদেশের জন্য এর সূচনা আজ থেকেই। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ মালদ্বীপ।
ফুটবল ভক্তদের চোখে তো বটেই, বাংলাদেশ দলের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরাও মানছেন, আজকেই বছরের সবচেয়ে বড় ম্যাচে মাঠে নামছে তার শিষ্যরা। প্রাক-বাছাইপর্বে ঘরের মাঠে ফিরতি ম্যাচ থাকলেও এই ম্যাচকেই গুরুত্বপূর্ণ ভাবছেন কোচ ক্যাবরেরা। প্রতিপক্ষের মাঠে জয় ফুটবলারদের বাড়তি অণুপ্রেরণা দিবে এমনটাই ভাবনা তার।
যদিও এই ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলে আছে দুঃসংবাদ। মদকাণ্ডের জেরে এই ম্যাচে নেই জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ চার ফুটবলার। আনিসুর রহমান জিকো, তপু বর্মণ, মোরসালিন এবং রিমনকে ছাড়াই মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
গত মাসে এএফসি কাপে এএফসি কাপের ম্যাচ শেষে মালদ্বীপ থেকে ফেরার পথে ব্যাগে করে মদ এনেছিলেন অভিযুক্ত পাঁচ ফুটবলার। মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্ট অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের বিপক্ষে খেলেছিল বসুন্ধরা কিংস। ১৯ সেপ্টেম্বর ম্যাচ খেলে পরদিন ঢাকায় ফিরেছিল দল। বিমানবন্দরে তাদের কাছে মদ পান কাস্টমস কর্মকর্তারা।
প্রতিপক্ষ মালদ্বীপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আছে অম্লমধুর স্মৃতি। ১৯৮৫ সালে এই মালদ্বীপকেই ৮-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশে। ২০০৩ সালে তাদেরকে ফাইনালে হারিয়েই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ঘরে তোলে আরিফ খান জয়রা। তবে সেখানেই শেষ। এরপর পুরো দেড়যুগ অপেক্ষা করতে হয়েছে মালদ্বীপকে হারাতে।
২০১১ সালের দিল্লি সাফে বাংলাদেশকে ৩–১ গোলে হারিয়েছিল মালদ্বীপ। ২০১৫ সালে কেরালা সাফেও মালদ্বীপ জিতেছিল ৩–১ গোলে। ২০১৬ সালে মালেতে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ৫-০ গোলের বিশাল পরাজয় বরণ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ফুটবলের অন্ধকার যুগও বলা চলে সেই সময়কে।
অবশ্য শেষবারের দেখায় বাংলাদেশ পেয়েছিল স্বস্তির জয়। জুনে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ৩–১ গোলে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারদের ছাড়া এই ম্যাচে বাংলাদেশ ঠিক কতটা সফলতা পাবে, তা নিয়েই এখন ভাবনা।
বিজনেস বাংলাদেশ/একে