০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মোবাইল ক্ষতিকর জেনেও কেনো সরে আসতে পারছে না তরুণ প্রজন্ম?

যদি ১০০ তরুণকে প্রশ্ন করা হয়, হালের আধুনিকতা সবচেয়ে অগ্রাধিকার কোন বস্তুতে। নিঃসন্দেহে উঠে আসবে মোবাইল ফোনের নাম। আসক্তি কিংবা নির্ভরতা, যাই হোক না কেনো, ফোন ছাড়া এখনকার তরুণদের এক মিনিটও কাটানো সম্ভব নয়। তবে বিষয়টি বেশ উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, এই আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে ব্যক্তি উদ্যোগেই।

ঘুম থেকে উঠেই তরুণদের চোখ মোবাইল ফোনে। সারাদিনই প্রযুক্তির ওপর নির্ভরতা। ফলশ্রুতিতে সামাজিকতা কমছে। হালের এই প্রযুক্তি মানুষের মাঝে সৃজনশীলতার হার কমিয়েছে। একই সাথে বাড়িয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও। বাংলাদেশের তরুণদের জানা আছে সবই। তবে কে মেনেছে কবে সেই গণ্ডি? তরুণদের কাছে মুঠোফোনই বিশ্ব। মুঠোফোনেই আড্ডার রসদ।

তারা বলছেন, এটি শুধু ১-২ জনের ক্ষেত্রে নয়, পুরো প্রজন্মই এখন মোবাইল ফোনে বুঁদ। বিষয়টি ক্ষতিকর বুঝতে পেরেও ফোনে আসক্তি কমছেই না। কারণ এখন সবকিছুই প্রযুক্তি নির্ভর।

ক্লাস টেস্ট, অ্যাসাইনমেন্ট, পরীক্ষার তারিখ, গ্রুপ স্টাডি এমনকি চাকরির বিজ্ঞপ্তির নোটিফিকেশন সকল উপাদানই মেলে এখানে। একই সাথে ব্যবহারের ফলে যোগাযোগও বাড়ে। ভার্চুয়ালের মানুষ আর সামনের মানুষ যেন আলাদা। তরুণরা বলছেন, ফেসবুকে ম্যাসেজ আদানপ্রদানের সময় অনেক সময় মনে হয় অপর মানুষটি কথা বলতে খুব পছন্দ করে। তবে বাস্তব জীবনে দেখা যায়, এমনটি নয়।

মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার এ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাবের পাশাপাশি একাকিত্ব আর হতাশা বাড়িয়েছে। সেই সাথে বাড়ছে আত্মহত্যার ঘটনাও। বিষয়গুলোকে উদ্বেগের মনে করেন মনোরগ বিশেষজ্ঞরা।

মনরোগ বিশেষজ্ঞ হেলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, মোবাইলে আসক্তি কমিয়ে বই পড়া, ঘরোয়া খেলাধুলা বাড়ানো এবং সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান করতে হবে। সামাজিক দক্ষতা বাড়াতে হবে। পরিমিত ব্যবহারে ইতিবাচক জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে তরুণদেরই অংশ নিতে হবে বলেও জানান তিনি।

বিজনেস বাংলাদেশ/এস/আর

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

মোবাইল ক্ষতিকর জেনেও কেনো সরে আসতে পারছে না তরুণ প্রজন্ম?

প্রকাশিত : ১১:২৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

যদি ১০০ তরুণকে প্রশ্ন করা হয়, হালের আধুনিকতা সবচেয়ে অগ্রাধিকার কোন বস্তুতে। নিঃসন্দেহে উঠে আসবে মোবাইল ফোনের নাম। আসক্তি কিংবা নির্ভরতা, যাই হোক না কেনো, ফোন ছাড়া এখনকার তরুণদের এক মিনিটও কাটানো সম্ভব নয়। তবে বিষয়টি বেশ উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, এই আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে ব্যক্তি উদ্যোগেই।

ঘুম থেকে উঠেই তরুণদের চোখ মোবাইল ফোনে। সারাদিনই প্রযুক্তির ওপর নির্ভরতা। ফলশ্রুতিতে সামাজিকতা কমছে। হালের এই প্রযুক্তি মানুষের মাঝে সৃজনশীলতার হার কমিয়েছে। একই সাথে বাড়িয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও। বাংলাদেশের তরুণদের জানা আছে সবই। তবে কে মেনেছে কবে সেই গণ্ডি? তরুণদের কাছে মুঠোফোনই বিশ্ব। মুঠোফোনেই আড্ডার রসদ।

তারা বলছেন, এটি শুধু ১-২ জনের ক্ষেত্রে নয়, পুরো প্রজন্মই এখন মোবাইল ফোনে বুঁদ। বিষয়টি ক্ষতিকর বুঝতে পেরেও ফোনে আসক্তি কমছেই না। কারণ এখন সবকিছুই প্রযুক্তি নির্ভর।

ক্লাস টেস্ট, অ্যাসাইনমেন্ট, পরীক্ষার তারিখ, গ্রুপ স্টাডি এমনকি চাকরির বিজ্ঞপ্তির নোটিফিকেশন সকল উপাদানই মেলে এখানে। একই সাথে ব্যবহারের ফলে যোগাযোগও বাড়ে। ভার্চুয়ালের মানুষ আর সামনের মানুষ যেন আলাদা। তরুণরা বলছেন, ফেসবুকে ম্যাসেজ আদানপ্রদানের সময় অনেক সময় মনে হয় অপর মানুষটি কথা বলতে খুব পছন্দ করে। তবে বাস্তব জীবনে দেখা যায়, এমনটি নয়।

মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার এ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাবের পাশাপাশি একাকিত্ব আর হতাশা বাড়িয়েছে। সেই সাথে বাড়ছে আত্মহত্যার ঘটনাও। বিষয়গুলোকে উদ্বেগের মনে করেন মনোরগ বিশেষজ্ঞরা।

মনরোগ বিশেষজ্ঞ হেলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, মোবাইলে আসক্তি কমিয়ে বই পড়া, ঘরোয়া খেলাধুলা বাড়ানো এবং সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান করতে হবে। সামাজিক দক্ষতা বাড়াতে হবে। পরিমিত ব্যবহারে ইতিবাচক জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে তরুণদেরই অংশ নিতে হবে বলেও জানান তিনি।

বিজনেস বাংলাদেশ/এস/আর