০৬:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

‘মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে ভারত-চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ নেওয়া উচিত’

মিয়ানমার পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের উপ নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এ বিষয়ে ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে একটা যৌথ উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে দেওয়া বক্তব্যে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এ সব কথা বলেন।
এ সময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা যে সংকট মিয়ানমার সমস্যা, রাখাইনের যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি থিংট্যাংক আলোচনার করার সময় বলেছেন, যে পরিস্থিতি এখন মিয়ানমারে আছে, এই পরিস্থিতির কারণে বিশেষ করে রাখাইনের সাথে যে যুদ্ধ চলছে, এর কারণে আমাদের দেশের নিরাপত্তা, আমাদের এবং ভারতের দুইটা দেশেই নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। এই ব্যাপারে আমাদের আরও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক যে সব গোষ্ঠী আছে, যারা এখানে আছেন। বিশেষ করে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চায়না এদের সাথে আমার মনে হয় এ বিষয়টা উপস্থাপন করা উচিত। এখানে যেটা দেখা যাচ্ছে রাখাইনরা তাদের যুদ্ধ আমাদের সীমান্তের উপর তারা ফোকাস করেছে। এইটার একটা কারণ হলো যে সীমান্ত চৌকিগুলো আছে, এই গুলো বিচ্ছিন্নভাবে আছে, খুব সহজে তারা দখল করতে পারে। আরেকটা জিনিস হচ্ছে যে তাদের এই যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বাংলাদেশ যদি এর সাথে জড়িয়ে যায় সেইখানে রাখাইনরা এইটার একটা এডভানটেস নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। কেবল সেটা না দুই বছর আগে একটা ভিডিও গণমাধ্যমে এসেছিল যেখানে কিছু রোহিঙ্গা নারীদেরকে এনে ভিডিওটা নিয়েছে এবং যিনি প্রশ্ন করছিলেন, প্রশ্নটা ছিল আপনারা কি মিয়ানমারের না কি। তখন নারীরা সাথে সাথে উত্তর দিয়েছে আমরা মিয়ানমার চিনি না, আমরা এখানে এবং এখানেই থাকব।

তিনি বলেন, এই জন্য আমি জিনিসটা উপস্থাপন করলাম কারণ এখানে অনেক রকম দুরভিসদ্ধি আছে। এবং তখনকার কিছু ঘটনায় আমরা দেখেছি পাকিস্তানি নাগরিকরাও এই মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা যারা এসেছে সেই ক্যাম্পে তারা বেশ একটিভ ছিল এবং দুই তিন জন ধরাও পড়েছিল। সুতরাং আমি মনে করি বিশেষ করে যেহেতু কক্সবাজার আর মিয়ানমার পাশাপাশি এবং ১২ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের এখানে বর্তমানে আছে। যার কারণে সেখানে সন্ত্রাস কিছু হচ্ছে, কিছু জঙ্গিবাদ উত্থান হচ্ছে। এই গুলো পরবর্তীতে আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে বলে অনেকেই মনে করে যেটা ডোলান্ড লু তার বক্তব্যে বলেছেন। তাই আমি বলব এই ব্যাপারটা নিয়ে আমার মনে হয়, বিশেষ করে এখানে চারটি দেশ, ভারত অতপ্রতভাবে জড়িত কারণ ভারতেরও নিরাপত্তা বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতে এইটার একটা ইমপ্যাক্ট হতে পারে। সুতরাং ভারত, আমরা, মিয়ানমার, চায়না এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এদের মধ্যে আমার মনে হয় একটা যৌথ উদ্যোগ নেওয়া উচিত এই জিনিসগুলো দেখার জন্য।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭

‘মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে ভারত-চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ নেওয়া উচিত’

প্রকাশিত : ০৯:২৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মিয়ানমার পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের উপ নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এ বিষয়ে ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে একটা যৌথ উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে দেওয়া বক্তব্যে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এ সব কথা বলেন।
এ সময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা যে সংকট মিয়ানমার সমস্যা, রাখাইনের যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি থিংট্যাংক আলোচনার করার সময় বলেছেন, যে পরিস্থিতি এখন মিয়ানমারে আছে, এই পরিস্থিতির কারণে বিশেষ করে রাখাইনের সাথে যে যুদ্ধ চলছে, এর কারণে আমাদের দেশের নিরাপত্তা, আমাদের এবং ভারতের দুইটা দেশেই নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। এই ব্যাপারে আমাদের আরও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক যে সব গোষ্ঠী আছে, যারা এখানে আছেন। বিশেষ করে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চায়না এদের সাথে আমার মনে হয় এ বিষয়টা উপস্থাপন করা উচিত। এখানে যেটা দেখা যাচ্ছে রাখাইনরা তাদের যুদ্ধ আমাদের সীমান্তের উপর তারা ফোকাস করেছে। এইটার একটা কারণ হলো যে সীমান্ত চৌকিগুলো আছে, এই গুলো বিচ্ছিন্নভাবে আছে, খুব সহজে তারা দখল করতে পারে। আরেকটা জিনিস হচ্ছে যে তাদের এই যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বাংলাদেশ যদি এর সাথে জড়িয়ে যায় সেইখানে রাখাইনরা এইটার একটা এডভানটেস নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। কেবল সেটা না দুই বছর আগে একটা ভিডিও গণমাধ্যমে এসেছিল যেখানে কিছু রোহিঙ্গা নারীদেরকে এনে ভিডিওটা নিয়েছে এবং যিনি প্রশ্ন করছিলেন, প্রশ্নটা ছিল আপনারা কি মিয়ানমারের না কি। তখন নারীরা সাথে সাথে উত্তর দিয়েছে আমরা মিয়ানমার চিনি না, আমরা এখানে এবং এখানেই থাকব।

তিনি বলেন, এই জন্য আমি জিনিসটা উপস্থাপন করলাম কারণ এখানে অনেক রকম দুরভিসদ্ধি আছে। এবং তখনকার কিছু ঘটনায় আমরা দেখেছি পাকিস্তানি নাগরিকরাও এই মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা যারা এসেছে সেই ক্যাম্পে তারা বেশ একটিভ ছিল এবং দুই তিন জন ধরাও পড়েছিল। সুতরাং আমি মনে করি বিশেষ করে যেহেতু কক্সবাজার আর মিয়ানমার পাশাপাশি এবং ১২ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের এখানে বর্তমানে আছে। যার কারণে সেখানে সন্ত্রাস কিছু হচ্ছে, কিছু জঙ্গিবাদ উত্থান হচ্ছে। এই গুলো পরবর্তীতে আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে বলে অনেকেই মনে করে যেটা ডোলান্ড লু তার বক্তব্যে বলেছেন। তাই আমি বলব এই ব্যাপারটা নিয়ে আমার মনে হয়, বিশেষ করে এখানে চারটি দেশ, ভারত অতপ্রতভাবে জড়িত কারণ ভারতেরও নিরাপত্তা বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতে এইটার একটা ইমপ্যাক্ট হতে পারে। সুতরাং ভারত, আমরা, মিয়ানমার, চায়না এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এদের মধ্যে আমার মনে হয় একটা যৌথ উদ্যোগ নেওয়া উচিত এই জিনিসগুলো দেখার জন্য।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ