১২:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ আহতদের দেখতে ঢামেকে ৩ উপদেষ্টা

বাংলাদেশ সচিবালয় এলাকায় রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে আনসার সদস্য ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা।

সোমবার (২৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আহতদের দেখতে উপদেষ্টারা ঢাকা মেডিকেলে যান। এ সময় তারা কেবিনে থাকা সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে থাকা আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।

আহতদের দেখে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘কালকের ঘটনায় আমরা খুবই ব্যথিত। আহত সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ আগের চেয়ে ভালো আছে।’

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা আনসারের ছদ্মবেশে এসেছিল, তাদের দাবি আদায়ের এজেন্ডা ছিল না। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল। লাঠি তাদের স্টকে ছিল। আমরা দেখেছি কীভাবে তারা ছাত্রদের ওপর হামলা করেছে। যেসব ছাত্র স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে, যারা আমাদের স্বপ্ন ও ভবিষ্যৎ, তাদের রাস্তায় ফেলে নির্মমভাবে মেরেছে। আনসারদের দাবি ছিল রাত ১০টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন করে চাকরি জাতীয়করণ করতে হবে। অসম্ভব ও অবাস্তব দাবি তুলেছিল অনসাররা।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই জাগ্রত ছাত্রসমাজ যারা আন্দোলন করে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে, তারা আবারও তাদের অপরিসীম ত্যাগের ভূমিকা রাখে। পুরা পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে তারা। যারা ষড়যন্ত্র করবে, তারা সফল হবে না। প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে যারা সঠিক পথে দাবি আদায়ের আন্দোলন করছেন, আপনাদের কাছে অনুরোধ, বিবেচনা করে দেখবেন ১৭ বছরের বৈষম্য ও শোষণ ১৭ দিনে কি সমাধান করা যায়?’

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘ধৈর্য ধরেন, নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় দাবি জানান। আমরা জনগণের পক্ষ থেকে এসেছি, কোনো দলের প্রতিনিধি না। সবার স্বার্থ নিশ্চিত হয় এমনভাবে কাজ করব। তবে সেটা সময় লাগবে। আহত হাসনাতের অবস্থা মোটামুটি ভালো। দুজন পথচারীও আহত আছে।’

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘মনে হচ্ছে দাবি আদায়ের মৌসুম শুরু হয়েছে, ধান কাটার মৌসুমের মতো। প্রতিটা দাবির সঙ্গে আর্থিক সংশ্লিষ্টতা আছে। যেখানে সরকারের ব্যয় বাড়বে। সরকারের রাজস্ব তো হঠাৎ করে রাতারাতি বেড়ে যাবে না। কীভাবে দাবি মেটাব, টাকা ছাপতে পারি, তবে টাকা ছাপলে মূল্যস্ফিতি বেড়ে যাবে। তখন সবকিছুর দাম বেড়ে যাবে। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে সবকিছু হবে।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার বানের জলে ভেসে আসে নাই। ছাত্র-জনতা রাজপথে রক্ত দিয়ে এই সরকারকে এনেছে। এটা জনপ্রত্যাশার সরকার। আমরা গত সরকারের সবকিছু জানি। তবে আমাদের সময় দিতে হবে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানসহ অনেকে।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ আহতদের দেখতে ঢামেকে ৩ উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ০৪:১১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪

বাংলাদেশ সচিবালয় এলাকায় রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে আনসার সদস্য ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা।

সোমবার (২৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আহতদের দেখতে উপদেষ্টারা ঢাকা মেডিকেলে যান। এ সময় তারা কেবিনে থাকা সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে থাকা আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।

আহতদের দেখে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘কালকের ঘটনায় আমরা খুবই ব্যথিত। আহত সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ আগের চেয়ে ভালো আছে।’

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা আনসারের ছদ্মবেশে এসেছিল, তাদের দাবি আদায়ের এজেন্ডা ছিল না। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল। লাঠি তাদের স্টকে ছিল। আমরা দেখেছি কীভাবে তারা ছাত্রদের ওপর হামলা করেছে। যেসব ছাত্র স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে, যারা আমাদের স্বপ্ন ও ভবিষ্যৎ, তাদের রাস্তায় ফেলে নির্মমভাবে মেরেছে। আনসারদের দাবি ছিল রাত ১০টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন করে চাকরি জাতীয়করণ করতে হবে। অসম্ভব ও অবাস্তব দাবি তুলেছিল অনসাররা।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই জাগ্রত ছাত্রসমাজ যারা আন্দোলন করে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে, তারা আবারও তাদের অপরিসীম ত্যাগের ভূমিকা রাখে। পুরা পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে তারা। যারা ষড়যন্ত্র করবে, তারা সফল হবে না। প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে যারা সঠিক পথে দাবি আদায়ের আন্দোলন করছেন, আপনাদের কাছে অনুরোধ, বিবেচনা করে দেখবেন ১৭ বছরের বৈষম্য ও শোষণ ১৭ দিনে কি সমাধান করা যায়?’

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘ধৈর্য ধরেন, নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় দাবি জানান। আমরা জনগণের পক্ষ থেকে এসেছি, কোনো দলের প্রতিনিধি না। সবার স্বার্থ নিশ্চিত হয় এমনভাবে কাজ করব। তবে সেটা সময় লাগবে। আহত হাসনাতের অবস্থা মোটামুটি ভালো। দুজন পথচারীও আহত আছে।’

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘মনে হচ্ছে দাবি আদায়ের মৌসুম শুরু হয়েছে, ধান কাটার মৌসুমের মতো। প্রতিটা দাবির সঙ্গে আর্থিক সংশ্লিষ্টতা আছে। যেখানে সরকারের ব্যয় বাড়বে। সরকারের রাজস্ব তো হঠাৎ করে রাতারাতি বেড়ে যাবে না। কীভাবে দাবি মেটাব, টাকা ছাপতে পারি, তবে টাকা ছাপলে মূল্যস্ফিতি বেড়ে যাবে। তখন সবকিছুর দাম বেড়ে যাবে। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে সবকিছু হবে।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার বানের জলে ভেসে আসে নাই। ছাত্র-জনতা রাজপথে রক্ত দিয়ে এই সরকারকে এনেছে। এটা জনপ্রত্যাশার সরকার। আমরা গত সরকারের সবকিছু জানি। তবে আমাদের সময় দিতে হবে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানসহ অনেকে।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে