১০:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

টাঙ্গাইলে বিবেকানন্দ কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

টাঙ্গাইল শহরের বিবেকানন্দ হাইস্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে’র অপসারণ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষক, কর্মচারী, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি, মাদকসেবন, স্বেচ্ছাচারি, স্বজনপ্রীতি, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক-কর্মচারিকে হেনাস্থা করার অভিযোগ তুলেন। মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

পরে অডিটোরিয়াম হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলেজ শাখার প্রভাষক আবু দাউদ। তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভনিং বডির সভাপতি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রওশন আরা খান দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ঐ আওয়ামী পরিবার কেন্দ্রিক সভাপতির ছত্র ছায়ায় অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে একটি রাজনৈতিক কার্যালয়ে পরিণত করেন। অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে গভনিং বডির সভাপতি জোয়াহেরুল ইসলামের হাত ধরে জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদকের পদে নিযুক্ত হন। এর পর হতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। রাজনৈতিক পদ পদবি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন দুনীর্তি, স্বজন-প্রীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্ব্যবহার, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অর্থ তছরুপ ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মচারী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন।

অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন, বোনাস, পিএফ, কলেজের সঞ্চয়ী হিসাব, একাদশ শ্রেনীতে ম্যানুয়াল ভর্তি, বিভিন্ন পরীক্ষার ফি, শিক্ষক কল্যাণ তহবিল ও শিক্ষক সংসদ তহবিল ও কলেজের পশ্চিম পাশে দু’তলা দোকান ও শিক্ষক নিয়োগ বানিজ্যসহ বিভিন্ন খাত থেকে ৬,১৫,৫৫,৪৩৭ টাকা আত্নসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেন।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামী এবং পলাতক অবস্থায়ও তিনি শিক্ষকদের ভয়-ভীতি ও হুমকি দিতেছেন। তিনি তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও দুনীর্তিসহ সকল অনিয়মের এর সাথে একাত্বতা প্রকাশ না করায় শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের ফেসবুক-ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে অসভ্য, কুচক্রি ও কুলাঙ্গার বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাই শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীবৃন্দ তার অধীনে কোন অবস্থাতেই চাকুরি করতে ইচ্ছুক নয় এবং সবাই মিলে অনাস্থা প্রকাশ করেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রভাষক রুনা লায়লা, সুমী আক্তার, মো. মাজহারুল ইসলাম, ফয়সাল আহমেদ, স্মৃতি প্রামানিক, মো. শফিকুল ইসলাম, মো. রোকনুজ্জামান প্রমুখ।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

টাঙ্গাইলে বিবেকানন্দ কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত : ০২:৫৭:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

টাঙ্গাইল শহরের বিবেকানন্দ হাইস্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে’র অপসারণ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষক, কর্মচারী, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি, মাদকসেবন, স্বেচ্ছাচারি, স্বজনপ্রীতি, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক-কর্মচারিকে হেনাস্থা করার অভিযোগ তুলেন। মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

পরে অডিটোরিয়াম হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলেজ শাখার প্রভাষক আবু দাউদ। তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভনিং বডির সভাপতি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রওশন আরা খান দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ঐ আওয়ামী পরিবার কেন্দ্রিক সভাপতির ছত্র ছায়ায় অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে একটি রাজনৈতিক কার্যালয়ে পরিণত করেন। অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে গভনিং বডির সভাপতি জোয়াহেরুল ইসলামের হাত ধরে জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদকের পদে নিযুক্ত হন। এর পর হতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। রাজনৈতিক পদ পদবি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন দুনীর্তি, স্বজন-প্রীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্ব্যবহার, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অর্থ তছরুপ ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মচারী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন।

অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন, বোনাস, পিএফ, কলেজের সঞ্চয়ী হিসাব, একাদশ শ্রেনীতে ম্যানুয়াল ভর্তি, বিভিন্ন পরীক্ষার ফি, শিক্ষক কল্যাণ তহবিল ও শিক্ষক সংসদ তহবিল ও কলেজের পশ্চিম পাশে দু’তলা দোকান ও শিক্ষক নিয়োগ বানিজ্যসহ বিভিন্ন খাত থেকে ৬,১৫,৫৫,৪৩৭ টাকা আত্নসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেন।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামী এবং পলাতক অবস্থায়ও তিনি শিক্ষকদের ভয়-ভীতি ও হুমকি দিতেছেন। তিনি তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও দুনীর্তিসহ সকল অনিয়মের এর সাথে একাত্বতা প্রকাশ না করায় শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের ফেসবুক-ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে অসভ্য, কুচক্রি ও কুলাঙ্গার বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাই শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীবৃন্দ তার অধীনে কোন অবস্থাতেই চাকুরি করতে ইচ্ছুক নয় এবং সবাই মিলে অনাস্থা প্রকাশ করেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রভাষক রুনা লায়লা, সুমী আক্তার, মো. মাজহারুল ইসলাম, ফয়সাল আহমেদ, স্মৃতি প্রামানিক, মো. শফিকুল ইসলাম, মো. রোকনুজ্জামান প্রমুখ।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস