১০:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সোনাইমুড়ীতে সাংবাদিকেরে হত্যার হুমকি, বাড়িতে হামলা

সোনাইমুড়ীতে ৪ আগষ্ট’ ২৪ বিকালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী ৫ ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘঠনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিতের উদ্দেশ্যে ও পরিকল্পিত সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতিত ছাত্রীদের বিষয়ে তথ্য-বক্তব্য গ্রহন করার আক্রোশে বজরা ইউপির পূর্ব চাঁদপুর গ্রামের আবেদ হোসেনের পুত্র অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী শাহাদাত হোসেন জনির নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী সাংবাদিক নুর হোসেন লিটনকে অপহরণের চেষ্টা ও বাড়ীতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

উপজেলার ৭নং বজরা ইউপি’র বারাহিনগর মোল্লা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে মামলা হলেও অজ্ঞাত কারনে পুলিশ ঘটনায় জড়িত দের গ্রেফতার না করায় ও আসামীদের হুমকিতে বিপাকে রয়েছে সাংবাদিক নুর হোসেন লিটন।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত জুলাই’২৪ থেকে দেশব্যাপী কোটা ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে জেলার বিভিন্ন স্থানে স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা আন্দোলনকে বেগবান করে সরকারের পদত্যাগের আল্টিমেটামে চলমান আন্দোলনে  ৪ আগষ্ট’ ২৪ বিকালে নোয়াখালীতে কলেজ পড়–য়া ৫ ছাত্রী আন্দোলন শেষে মাইজদী থেকে অটোরিক্সা যোগে সোনাইমুড়ী উপজেলায় নিজ বাড়ীতে যাওয়ার পথে  বজরা ইসলামগঞ্জ বাজারে পৌছালে স্থানীয় আওয়ামীলীগ- ছাত্রলীগ কর্মীরা  কোটা-বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী ঐ ৫ ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন ও মারপিট করে আহত করে। ৫ আগষ্ট সরকার পতন হওয়ায় পর কোটা ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকে দেশ বিদেশে প্রশ্নবিদ্ধ করার আওয়ামী মন্ত্র ও অভিপ্রায়ে বজরা এলাকার অস্ত্রধারী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত হোসেন জনি ১৬ আগষ্ট’ ২৪ বেলা ১১টায় নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে টাকার বিনিময়ে ও অস্ত্রের প্রভাব খাটিয়ে দুই ছাত্রীকে সংবাদ সম্মেলনে আসতে বাধ্য করে।

সংবাদ সম্মেলনে আগত কথিত দুই ছাত্রীরা বক্তব্য দিতে গেলেও তাদেরকে বক্তব্য প্রদানে বাধা দেয়। কিন্তু সাংবাদিক নুর হোসেন লিটনের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে ঐ ছাত্রীরা ৪ আগষ্ট’২৪ ঘটে যাওয়া গঠনার বিস্তারিত প্রকাশ করে। সাংবাদিক নুর হোসেন লিটন ঐ ছাত্রীদের বক্তব্য সহ সংবাদ সম্মেলনের বিস্তারিত সাংবাদ প্রকাশ ও নিজ ফেসবুক পেইজে অপলোড করলে এতে শাহাদাত হোসেন জনি তার ফেসবুক আইডি থেকে শেয়ারও করে। পরবর্তিতে সন্ত্রাসী শাহাদাত হোসেন জনি ১৬ আগষ্ট গভীর রাতে লিটনকে মোবাইলে কল করে প্রানে হত্যার হুমকি,অপহরনের চেষ্টা ও নোয়াখালীতে কর্মরত দৈনিক মাতৃছায়া পত্রিকার সাংবাদিক নুর হোসেন লিটনের বাড়িতে সশস্ত্র  সন্ত্রাসীদেরকে নিয়ে হামলা চালিয়ে ভংচুর ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় নুর হোসেন বাদি হয়ে ১। শাহাদাত হোসেন জনি(৪৫), ২। সাইফুল ইসলাম ওরফে সাহেদ(৩৪), ৩। মোঃ জহির(৩২),৪। মোঃ জাবেদ(৩৫),৫। ইউসুফ মির্জা সহ অজ্ঞতনামা ১৫-২০ জনকে আসামী করে সিনিয়র জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট নোয়াখালী আদালতে সি,আর ২১/২০২৪ ইং মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত নুর হোসেন লিটনের উক্ত অভিযোগ আমলে নিয়ে এফ আই আর হিসেবে গন্য করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা  নিতে ওসি সোনাইমুড়ীকে আদেশ প্রদান করে। তৎপ্রেক্ষিতে উল্লেখিত আসামীদের বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী থানার মামলা নং-২,তারিখ:০১/০৯/২০২৪ ইং, আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ(দ্রুত বিচার) আইন ২০০২ এর ৪/৫ ধারা মতে মামলা রুজু হয়। মামলা রুজুর ১৭ দিন পার হলেও অজ্ঞাত কারনে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই(নিরস্ত্র) শাহ আলম(বিপি নং-৭৮৯৮০৬৩৯৯৩) আসামীদের গ্রেফতার না করায় আসামীরা এলাকা দাবিয়ে বেড়াচ্ছে, অপর দিকে তদন্তকারী কর্মকর্তা স্বাক্ষ্য গ্রহনের নামে বাদী সাংবাদিক লিটনকে বিভিন্নভাবে হয়রানি নাজেহাল করে আসছে। স্থানীয় মোর্শেদ আলম, সুমন সহ নাম প্রকাশে অনি”ছুক অনেকেই জানান,এ দিকে ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক নুর হোসেনকে মামলা তুলে না নিলে গুম,খুন সহ যে কোন মিথ্যা ঘটনায় জড়িয়ে নাস্তানাবুদ করার হুমকি অব্যাহত রাখছে।তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে লিয়াজোঁ থাকায় পুলিশ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার না করায় সন্ত্রাসীরা দিব্যি এলাকা চষে বেড়াচ্ছে। এ বিষয়ে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সাংবাদিক লিটন পুলিশ সুপার নোয়াখালী বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

সোনাইমুড়ীতে সাংবাদিকেরে হত্যার হুমকি, বাড়িতে হামলা

প্রকাশিত : ০৪:২৩:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সোনাইমুড়ীতে ৪ আগষ্ট’ ২৪ বিকালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী ৫ ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘঠনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিতের উদ্দেশ্যে ও পরিকল্পিত সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতিত ছাত্রীদের বিষয়ে তথ্য-বক্তব্য গ্রহন করার আক্রোশে বজরা ইউপির পূর্ব চাঁদপুর গ্রামের আবেদ হোসেনের পুত্র অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী শাহাদাত হোসেন জনির নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী সাংবাদিক নুর হোসেন লিটনকে অপহরণের চেষ্টা ও বাড়ীতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

উপজেলার ৭নং বজরা ইউপি’র বারাহিনগর মোল্লা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে মামলা হলেও অজ্ঞাত কারনে পুলিশ ঘটনায় জড়িত দের গ্রেফতার না করায় ও আসামীদের হুমকিতে বিপাকে রয়েছে সাংবাদিক নুর হোসেন লিটন।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত জুলাই’২৪ থেকে দেশব্যাপী কোটা ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে জেলার বিভিন্ন স্থানে স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা আন্দোলনকে বেগবান করে সরকারের পদত্যাগের আল্টিমেটামে চলমান আন্দোলনে  ৪ আগষ্ট’ ২৪ বিকালে নোয়াখালীতে কলেজ পড়–য়া ৫ ছাত্রী আন্দোলন শেষে মাইজদী থেকে অটোরিক্সা যোগে সোনাইমুড়ী উপজেলায় নিজ বাড়ীতে যাওয়ার পথে  বজরা ইসলামগঞ্জ বাজারে পৌছালে স্থানীয় আওয়ামীলীগ- ছাত্রলীগ কর্মীরা  কোটা-বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী ঐ ৫ ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন ও মারপিট করে আহত করে। ৫ আগষ্ট সরকার পতন হওয়ায় পর কোটা ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকে দেশ বিদেশে প্রশ্নবিদ্ধ করার আওয়ামী মন্ত্র ও অভিপ্রায়ে বজরা এলাকার অস্ত্রধারী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত হোসেন জনি ১৬ আগষ্ট’ ২৪ বেলা ১১টায় নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে টাকার বিনিময়ে ও অস্ত্রের প্রভাব খাটিয়ে দুই ছাত্রীকে সংবাদ সম্মেলনে আসতে বাধ্য করে।

সংবাদ সম্মেলনে আগত কথিত দুই ছাত্রীরা বক্তব্য দিতে গেলেও তাদেরকে বক্তব্য প্রদানে বাধা দেয়। কিন্তু সাংবাদিক নুর হোসেন লিটনের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে ঐ ছাত্রীরা ৪ আগষ্ট’২৪ ঘটে যাওয়া গঠনার বিস্তারিত প্রকাশ করে। সাংবাদিক নুর হোসেন লিটন ঐ ছাত্রীদের বক্তব্য সহ সংবাদ সম্মেলনের বিস্তারিত সাংবাদ প্রকাশ ও নিজ ফেসবুক পেইজে অপলোড করলে এতে শাহাদাত হোসেন জনি তার ফেসবুক আইডি থেকে শেয়ারও করে। পরবর্তিতে সন্ত্রাসী শাহাদাত হোসেন জনি ১৬ আগষ্ট গভীর রাতে লিটনকে মোবাইলে কল করে প্রানে হত্যার হুমকি,অপহরনের চেষ্টা ও নোয়াখালীতে কর্মরত দৈনিক মাতৃছায়া পত্রিকার সাংবাদিক নুর হোসেন লিটনের বাড়িতে সশস্ত্র  সন্ত্রাসীদেরকে নিয়ে হামলা চালিয়ে ভংচুর ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় নুর হোসেন বাদি হয়ে ১। শাহাদাত হোসেন জনি(৪৫), ২। সাইফুল ইসলাম ওরফে সাহেদ(৩৪), ৩। মোঃ জহির(৩২),৪। মোঃ জাবেদ(৩৫),৫। ইউসুফ মির্জা সহ অজ্ঞতনামা ১৫-২০ জনকে আসামী করে সিনিয়র জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট নোয়াখালী আদালতে সি,আর ২১/২০২৪ ইং মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত নুর হোসেন লিটনের উক্ত অভিযোগ আমলে নিয়ে এফ আই আর হিসেবে গন্য করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা  নিতে ওসি সোনাইমুড়ীকে আদেশ প্রদান করে। তৎপ্রেক্ষিতে উল্লেখিত আসামীদের বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী থানার মামলা নং-২,তারিখ:০১/০৯/২০২৪ ইং, আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ(দ্রুত বিচার) আইন ২০০২ এর ৪/৫ ধারা মতে মামলা রুজু হয়। মামলা রুজুর ১৭ দিন পার হলেও অজ্ঞাত কারনে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই(নিরস্ত্র) শাহ আলম(বিপি নং-৭৮৯৮০৬৩৯৯৩) আসামীদের গ্রেফতার না করায় আসামীরা এলাকা দাবিয়ে বেড়াচ্ছে, অপর দিকে তদন্তকারী কর্মকর্তা স্বাক্ষ্য গ্রহনের নামে বাদী সাংবাদিক লিটনকে বিভিন্নভাবে হয়রানি নাজেহাল করে আসছে। স্থানীয় মোর্শেদ আলম, সুমন সহ নাম প্রকাশে অনি”ছুক অনেকেই জানান,এ দিকে ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক নুর হোসেনকে মামলা তুলে না নিলে গুম,খুন সহ যে কোন মিথ্যা ঘটনায় জড়িয়ে নাস্তানাবুদ করার হুমকি অব্যাহত রাখছে।তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে লিয়াজোঁ থাকায় পুলিশ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার না করায় সন্ত্রাসীরা দিব্যি এলাকা চষে বেড়াচ্ছে। এ বিষয়ে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সাংবাদিক লিটন পুলিশ সুপার নোয়াখালী বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে।