০৬:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গজারিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষিকার সংবাদ সম্মেলন

গজারিয়া উপজেলার ৪নং চরবলাকী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষিকা নুরুন নাহার এক বৎসরের এল.পি.আর ফুল পেনশন, চিকিৎসা ভাতা, অর্জিত ছুটি এবং জি.পি.এফ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পাওয়ার দাবী ও জোর পূর্বক অবসরে পাঠানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন।

রবিবার ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় গজারিয়া গণমাধ্যম কমিশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ওই শিক্ষিকা দাবী করেন,গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলাম। আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব কর্তব্য অত্যন্ত সততা নিষ্ঠার সহিত পালন করি। এমতাবস্থায়, আমাকে উক্ত উপজেলার কয়েকটি স্কুলে অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে বদলি করা হয়। যা আমার শিক্ষকতা পেশার জীবন অত্যন্ত কষ্ট ও পীরাদায়ক করে তোলে।

তথাপিও আমি আমার পেশার দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠার সহিত পালন করতে সক্ষম হই। এক পর্যায়ে আমাকে জোড় পূর্বকভাবে বিনা নোটিশে অবসরে পাঠানো হয়। যোগদানের তারিখ হইতে সরকারী বিধিমোতাবেক ২০২৪ ইং সনে আমার ৩৭ বৎসর চাকুরী মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। তাই সরকারী সকল প্রকার সুবিধা পাওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসক মুন্সিগঞ্জ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এ বিভিন্ন সময় চিঠির মাধ্যমে আবেদন পত্র পাঠিয়েছি। কিন্তু কোন অদৃশ্য শক্তির বলে আমার আবেদন পত্রটি আমলে নেওয়া হয়নি।

গজারিয়া উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় সূত্র জানায়, চাকুরীবিধি বর্হিভুত কার্যক্রমে অভিযোগে ২০১০ সালের ৩ নভেম্বর ওই শিক্ষিকাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাধ্যতামুলক অবসরে পাঠায়।

২০১৫ সালের ২৪ মার্চ তিনি জিপিএফ ফান্ডের ২ লাখ ৫৬ হাজার ১৬৫ টাকা, এককালীন আনুতোশিক হিসেবে ৬ লাখ ৬৬ হাজার ১৫০ টাকা। (২৩ বছর চাকুরী কালীন হিসেবে ৪৬℅) এবং সরকারী অবসর প্রাপ্ত কর্মচারীর নিয়ম মোতাবেক পেনশন ও মেডিকেল ভাতা পেয়ে আসছেন।

গজারিয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা আজমল হোসাইন গতকাল রবিবার জানান, বাধ্যতামুলক অবসরে যাওয়া ওই সহকারী শিক্ষিকার কেন পাওনা বকেয়া নেই।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস

ট্যাগ :

৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব কর্মচারীকে সম্পদের হিসাব দিতে হবে 

গজারিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষিকার সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত : ০২:১৫:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গজারিয়া উপজেলার ৪নং চরবলাকী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষিকা নুরুন নাহার এক বৎসরের এল.পি.আর ফুল পেনশন, চিকিৎসা ভাতা, অর্জিত ছুটি এবং জি.পি.এফ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পাওয়ার দাবী ও জোর পূর্বক অবসরে পাঠানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন।

রবিবার ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় গজারিয়া গণমাধ্যম কমিশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ওই শিক্ষিকা দাবী করেন,গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলাম। আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব কর্তব্য অত্যন্ত সততা নিষ্ঠার সহিত পালন করি। এমতাবস্থায়, আমাকে উক্ত উপজেলার কয়েকটি স্কুলে অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে বদলি করা হয়। যা আমার শিক্ষকতা পেশার জীবন অত্যন্ত কষ্ট ও পীরাদায়ক করে তোলে।

তথাপিও আমি আমার পেশার দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠার সহিত পালন করতে সক্ষম হই। এক পর্যায়ে আমাকে জোড় পূর্বকভাবে বিনা নোটিশে অবসরে পাঠানো হয়। যোগদানের তারিখ হইতে সরকারী বিধিমোতাবেক ২০২৪ ইং সনে আমার ৩৭ বৎসর চাকুরী মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। তাই সরকারী সকল প্রকার সুবিধা পাওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসক মুন্সিগঞ্জ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এ বিভিন্ন সময় চিঠির মাধ্যমে আবেদন পত্র পাঠিয়েছি। কিন্তু কোন অদৃশ্য শক্তির বলে আমার আবেদন পত্রটি আমলে নেওয়া হয়নি।

গজারিয়া উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় সূত্র জানায়, চাকুরীবিধি বর্হিভুত কার্যক্রমে অভিযোগে ২০১০ সালের ৩ নভেম্বর ওই শিক্ষিকাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাধ্যতামুলক অবসরে পাঠায়।

২০১৫ সালের ২৪ মার্চ তিনি জিপিএফ ফান্ডের ২ লাখ ৫৬ হাজার ১৬৫ টাকা, এককালীন আনুতোশিক হিসেবে ৬ লাখ ৬৬ হাজার ১৫০ টাকা। (২৩ বছর চাকুরী কালীন হিসেবে ৪৬℅) এবং সরকারী অবসর প্রাপ্ত কর্মচারীর নিয়ম মোতাবেক পেনশন ও মেডিকেল ভাতা পেয়ে আসছেন।

গজারিয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা আজমল হোসাইন গতকাল রবিবার জানান, বাধ্যতামুলক অবসরে যাওয়া ওই সহকারী শিক্ষিকার কেন পাওনা বকেয়া নেই।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস