০৫:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হিজবুল্লাহর মুহুর্মুহু রকেট হামলা, লাখ লাখ ইসরাইলির পলায়ন

ওয়ারলেস যোগাযোগের যন্ত্র পেজার ও ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণ হামলার প্রতিশোধে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট ছুড়েছে লেবাবনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। মুহুর্মুহু রকেট হামলায় ইসরাইলে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। হামলা থেকে প্রাণে বাঁচতে লাখ লাখ ইসরাইলি আশ্রয় কেন্দ্রে পালিয়েছেন।

হিজবুল্লাহর এ হামলার পর ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলের সব স্কুল ও সমুদ্র সৈকত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলেছে, রোববার স্থানীয় সময় ভোর ৫টার দিকে লেবাননের ভূখণ্ড থেকে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে একযোগে প্রায় ২০টি প্রোজেক্টাইলের প্রবেশ শনাক্ত করা হয়েছে। এরপর সকাল ৬টার দিকে লেবানন থেকে আরও প্রায় ৮৫টি প্রোজেক্টাইল ছোড়া হয়েছে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লে. কর্নেল নাদাভ শোশানি এএফপিকে বলেছেন, রকেটগুলো ধেয়ে আসার সময় ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলজুড়ে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে লাখ লাখ মানুষ ঠাঁই নিয়েছেন।

এর আগে, ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, লেবানন থেকে ছোড়া রকেটে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলের একাধিক স্থাপনা ও বাড়িঘরে আগুন ধরে গেছে।

ইসরাইলি জরুরি মেডিক্যাল সেবা সংস্থা বলেছে, রকেটের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে কমপক্ষে চারজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনই ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলীয় হাইফা শহরের বাসিন্দা।

এদিকে মুহুর্মুহু রকেট হামলার ঘটনায় ইসরাইলের বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা উত্তরাঞ্চলের সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। গত প্রায় এক বছর ধরে চলা গাজা যুদ্ধের মাঝে লেবানন-ইসরাইল সীমান্তে সর্বশেষ এ উত্তেজনায় ইসরাইলজুড়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর হোম ফ্রন্ট কমান্ড বলেছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উত্তর ইজরাইলজুড়ে শিক্ষা কার্যক্রমের অনুমতি দেওয়া হবে না।

লে. কর্নেল শোশানির মতে, এ সংঘাত লাখ লাখ শিশুর ওপর প্রভাব পড়বে।

মেডিক্যাল শিল্পে কর্মরত ইসরাইলি বাসিন্দা প্যাট্রিস ওলফ এএফপিকে বলেন, হাইফায় বহু সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে… আর অফিসগুলোও জনশূন্য।

তিনি বলেন, হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে আরও বেশি চাপ আসছে। ইসরাইলি বাহিনী লেবাননের গোষ্ঠীটির ওপর চাপ প্রয়োগ করায় এটি আরও তীব্র হয়ে উঠছে। রকেট হামলার জবাবে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।

ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর ক্রমবর্ধমান সংঘাতে ওই অঞ্চলে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। চলতি সপ্তাহে ইসরাইলি কর্মকর্তারা হামাস-শাসিত গাজা উপত্যকার বদলে লেবাননের ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর ওপর তাদের সামরিক অভিযানের ফোকাস ঘুরে যাবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। সূত্র: আল-মায়াদিন ও টাইমস অব ইসরাইল

ট্যাগ :

হিজবুল্লাহর মুহুর্মুহু রকেট হামলা, লাখ লাখ ইসরাইলির পলায়ন

প্রকাশিত : ১২:৫৭:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ওয়ারলেস যোগাযোগের যন্ত্র পেজার ও ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণ হামলার প্রতিশোধে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট ছুড়েছে লেবাবনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। মুহুর্মুহু রকেট হামলায় ইসরাইলে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। হামলা থেকে প্রাণে বাঁচতে লাখ লাখ ইসরাইলি আশ্রয় কেন্দ্রে পালিয়েছেন।

হিজবুল্লাহর এ হামলার পর ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলের সব স্কুল ও সমুদ্র সৈকত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলেছে, রোববার স্থানীয় সময় ভোর ৫টার দিকে লেবাননের ভূখণ্ড থেকে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে একযোগে প্রায় ২০টি প্রোজেক্টাইলের প্রবেশ শনাক্ত করা হয়েছে। এরপর সকাল ৬টার দিকে লেবানন থেকে আরও প্রায় ৮৫টি প্রোজেক্টাইল ছোড়া হয়েছে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লে. কর্নেল নাদাভ শোশানি এএফপিকে বলেছেন, রকেটগুলো ধেয়ে আসার সময় ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলজুড়ে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে লাখ লাখ মানুষ ঠাঁই নিয়েছেন।

এর আগে, ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, লেবানন থেকে ছোড়া রকেটে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলের একাধিক স্থাপনা ও বাড়িঘরে আগুন ধরে গেছে।

ইসরাইলি জরুরি মেডিক্যাল সেবা সংস্থা বলেছে, রকেটের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে কমপক্ষে চারজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনই ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলীয় হাইফা শহরের বাসিন্দা।

এদিকে মুহুর্মুহু রকেট হামলার ঘটনায় ইসরাইলের বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা উত্তরাঞ্চলের সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। গত প্রায় এক বছর ধরে চলা গাজা যুদ্ধের মাঝে লেবানন-ইসরাইল সীমান্তে সর্বশেষ এ উত্তেজনায় ইসরাইলজুড়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর হোম ফ্রন্ট কমান্ড বলেছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উত্তর ইজরাইলজুড়ে শিক্ষা কার্যক্রমের অনুমতি দেওয়া হবে না।

লে. কর্নেল শোশানির মতে, এ সংঘাত লাখ লাখ শিশুর ওপর প্রভাব পড়বে।

মেডিক্যাল শিল্পে কর্মরত ইসরাইলি বাসিন্দা প্যাট্রিস ওলফ এএফপিকে বলেন, হাইফায় বহু সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে… আর অফিসগুলোও জনশূন্য।

তিনি বলেন, হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে আরও বেশি চাপ আসছে। ইসরাইলি বাহিনী লেবাননের গোষ্ঠীটির ওপর চাপ প্রয়োগ করায় এটি আরও তীব্র হয়ে উঠছে। রকেট হামলার জবাবে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।

ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর ক্রমবর্ধমান সংঘাতে ওই অঞ্চলে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। চলতি সপ্তাহে ইসরাইলি কর্মকর্তারা হামাস-শাসিত গাজা উপত্যকার বদলে লেবাননের ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর ওপর তাদের সামরিক অভিযানের ফোকাস ঘুরে যাবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। সূত্র: আল-মায়াদিন ও টাইমস অব ইসরাইল