০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিশুর খাবারে অনীহা

আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই শৈশব থেকেই শিশুর শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা অত্যন্ত প্রয়োজন। শিশুর সুস্থতা ও সঠিকভাবে বেড়ে উঠা নিশ্চিত করতে শিশুর পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন।

তবে বেশিরভাগ বাবা-মা অভিযোগ করে থাকেন বাচ্চার খাবারে অনীহা নিয়ে। এই বিষয়টি নিয়ে বাবা-মা প্রায়ই উৎকণ্ঠায় থাকেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিষয়টি জটিল কিছু নয়। বয়স অনুযায়ী শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশ অন্য বাচ্চাদের মত হলে শিশুর খাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই।

তবে কিছু কিছু বাচ্চা সত্যিই খাবার খেতে বেশ অনীহা প্রকাশ করে। ফলে অপুষ্টির শিকার হয়ে ধীরে ধীরে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। আক্রান্ত হয় নানা রোগব্যাধিতে। তাই সমস্যা গুরুতর মনে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষানিরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা একান্ত জরুরি। এছাড়া অন্যান্য কিছু বিষয়ের প্রতি বাবা-মায়ের লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।

যেমন: শিশুকে জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা না করা। প্রথমে অল্প অল্প খাবার দিয়ে অভ্যস্ত করা। শুরুতেই শক্ত খাবার না দিয়ে নরম খাবার দিয়ে অভ্যাস তৈরি করা উচিত। প্রতিদিন একই ধরনের খাবার দেওয়া একদম উচিত নয়। শিশু কোনো খাবার বেশি পছন্দ করলে তা বারবার শিশুকে দিবেন না। এতে শিশুর খাবার একঘেয়েমি লাগবে। পরিবারের সকলের সাথে শিশুর খাবার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে সে উত্সাহ পাবে।

মোবাইল কিংবা খেলনা ইত্যাদি খাবার সময় দূরে রাখুন। শিশুকে খাবারে মনযোগী হতে দিন। এতে তার মধ্যে আগ্রহ বাড়বে। শিশুকে কখনই বাইরের খাবার যেমন: চকলেট, চিপস, জুস ইত্যাদিতে অভ্যাস করবেন না। শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশ লক্ষ্য রাখুন। বয়সের সাথে এগুলো ঠিক থাকলে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই।

বিবি/রেআ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭

শিশুর খাবারে অনীহা

প্রকাশিত : ০১:০১:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জানুয়ারী ২০১৯

আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই শৈশব থেকেই শিশুর শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা অত্যন্ত প্রয়োজন। শিশুর সুস্থতা ও সঠিকভাবে বেড়ে উঠা নিশ্চিত করতে শিশুর পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন।

তবে বেশিরভাগ বাবা-মা অভিযোগ করে থাকেন বাচ্চার খাবারে অনীহা নিয়ে। এই বিষয়টি নিয়ে বাবা-মা প্রায়ই উৎকণ্ঠায় থাকেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিষয়টি জটিল কিছু নয়। বয়স অনুযায়ী শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশ অন্য বাচ্চাদের মত হলে শিশুর খাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই।

তবে কিছু কিছু বাচ্চা সত্যিই খাবার খেতে বেশ অনীহা প্রকাশ করে। ফলে অপুষ্টির শিকার হয়ে ধীরে ধীরে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। আক্রান্ত হয় নানা রোগব্যাধিতে। তাই সমস্যা গুরুতর মনে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষানিরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা একান্ত জরুরি। এছাড়া অন্যান্য কিছু বিষয়ের প্রতি বাবা-মায়ের লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।

যেমন: শিশুকে জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা না করা। প্রথমে অল্প অল্প খাবার দিয়ে অভ্যস্ত করা। শুরুতেই শক্ত খাবার না দিয়ে নরম খাবার দিয়ে অভ্যাস তৈরি করা উচিত। প্রতিদিন একই ধরনের খাবার দেওয়া একদম উচিত নয়। শিশু কোনো খাবার বেশি পছন্দ করলে তা বারবার শিশুকে দিবেন না। এতে শিশুর খাবার একঘেয়েমি লাগবে। পরিবারের সকলের সাথে শিশুর খাবার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে সে উত্সাহ পাবে।

মোবাইল কিংবা খেলনা ইত্যাদি খাবার সময় দূরে রাখুন। শিশুকে খাবারে মনযোগী হতে দিন। এতে তার মধ্যে আগ্রহ বাড়বে। শিশুকে কখনই বাইরের খাবার যেমন: চকলেট, চিপস, জুস ইত্যাদিতে অভ্যাস করবেন না। শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশ লক্ষ্য রাখুন। বয়সের সাথে এগুলো ঠিক থাকলে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই।

বিবি/রেআ