০৪:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেন

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর দুইদিন শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টানা দুই কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর বাজারে কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বর্তমানে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ভালো পরিবেশ রয়েছে।

ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, আজ যে দরপতন হয়েছে তা স্বাভাবিক মূল্য সংশোধন। টানা দাম বাড়ার কারণে এখন কিছুটা মূল্য সংশোধন হলো। এতে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কের কোনো কারণ নেই।

ডিএসইর এক সদস্য বলেন, শেয়ারবাজারের ওপরে বিনিয়োগকারীদের আস্থা এখনও সেভাবে ফেরেনি। যে কারণে বাজার একটু ঊর্ধ্বমুখী থাকলেই বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়াচ্ছেন। আজও তেমনটি ঘটেছে। লেনদেনের শুরুতে বেশিরভাগ প্রতষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় এক পর্যায়ে বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। এ কারণেই সূচকের পতন হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার শেয়ারবাজার ভালো করতে চায় এটা এখন অনেকটাই স্পষ্ট। বাজার ভালো করতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু সবকিছু কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। ফলে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে তা নিয়ে বিনিয়োগকারীরা এক ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) লেনদেনের শুরুতে ডিএসইতে প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। এতে সূচকেও দেখা দেয় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

কিন্তু শেষ দেড় ঘণ্টার লেনদেনে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমতে থাকে। ফলে নিম্নমুখী হয়ে পড়ে সূচক। সেই সঙ্গে পতন হয় ডিএসইর সবকটি মূল্য সূচকের।

দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার বিপরীতে কমে ১৭৭টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টির দাম। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের এ দরপতনের ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট কমে চার হাজার ৪৭৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৫২৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সবকটি মূল্য সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারে লেনদেন হয়েছে ৪৫৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।। আগের দিন লেনদেন হয় ৫০৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৫২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জাহোলসিমের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিবিএস কেবলসর শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকার। ১২ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সামিট পাওয়ার।

এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল, গ্রামীণফোন, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল, খুলনা পাওয়ার, এডিএন টেলিকম, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোড এবং ভিএফএস থ্রেড ডাইং।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৬৪২ পয়েন্টে। বাজারে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ২৪৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৮টির, কমেছে ১৩২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির।

বিজনেস বাংলাদেশ/এম মিজান

সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেন

প্রকাশিত : ০৪:৩৯:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর দুইদিন শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টানা দুই কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর বাজারে কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বর্তমানে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ভালো পরিবেশ রয়েছে।

ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, আজ যে দরপতন হয়েছে তা স্বাভাবিক মূল্য সংশোধন। টানা দাম বাড়ার কারণে এখন কিছুটা মূল্য সংশোধন হলো। এতে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কের কোনো কারণ নেই।

ডিএসইর এক সদস্য বলেন, শেয়ারবাজারের ওপরে বিনিয়োগকারীদের আস্থা এখনও সেভাবে ফেরেনি। যে কারণে বাজার একটু ঊর্ধ্বমুখী থাকলেই বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়াচ্ছেন। আজও তেমনটি ঘটেছে। লেনদেনের শুরুতে বেশিরভাগ প্রতষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় এক পর্যায়ে বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। এ কারণেই সূচকের পতন হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার শেয়ারবাজার ভালো করতে চায় এটা এখন অনেকটাই স্পষ্ট। বাজার ভালো করতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু সবকিছু কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। ফলে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে তা নিয়ে বিনিয়োগকারীরা এক ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) লেনদেনের শুরুতে ডিএসইতে প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। এতে সূচকেও দেখা দেয় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

কিন্তু শেষ দেড় ঘণ্টার লেনদেনে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমতে থাকে। ফলে নিম্নমুখী হয়ে পড়ে সূচক। সেই সঙ্গে পতন হয় ডিএসইর সবকটি মূল্য সূচকের।

দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার বিপরীতে কমে ১৭৭টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টির দাম। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের এ দরপতনের ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট কমে চার হাজার ৪৭৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৫২৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সবকটি মূল্য সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারে লেনদেন হয়েছে ৪৫৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।। আগের দিন লেনদেন হয় ৫০৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৫২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জাহোলসিমের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিবিএস কেবলসর শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকার। ১২ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সামিট পাওয়ার।

এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল, গ্রামীণফোন, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল, খুলনা পাওয়ার, এডিএন টেলিকম, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোড এবং ভিএফএস থ্রেড ডাইং।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৬৪২ পয়েন্টে। বাজারে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ২৪৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৮টির, কমেছে ১৩২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির।

বিজনেস বাংলাদেশ/এম মিজান