০৫:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাউজানে নোয়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থোকায় থোকায় ঝুলছে আম

রাউজানের নোয়াপাড়া রাজার দিঘীর দক্ষিণ-পূর্ব পাড় জুড়ে প্রতিষ্ঠিত আছে নোয়াপাড়া বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। ফুলের সৌরভে মধ্যে থাকা কলেজের কয়েকটি বহুতল ভবনের সামনে পিছনে আছে বিভিন্ন জাতের দেশি বিদেশি ফলের বাগান।

সামনে থাকা নীল জলরাশির রাজার দিঘীর চার পাড়ে সহস্রাধিক আম,লিচু,পেয়ারা, জাম,কাঠাল গাছে এখন থোকায় থোকায় ঝুলছে ফল। আর ক’দিন পরে সুবাস ছড়াবে এসব গাছের পাকা আম,জাম,লিচু,কাঁঠাল।

সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, প্রায় পাঁচ থেকে সাত একর জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত নোয়াপাড়া কলেজ ক্যাম্পসটি এখন মৌসুমী ফুলে ফলে সজ্জিত। ফলে ভারে প্রতিটি আম গাছের ঢাল ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম।

পাকা বিদেশি জাম গাছ থেকে ঝড়ে পড়ে মাটিতে পঁচে যাচ্ছে। দেখা যায় কলেজ ক্যাম্পাসের বুকের মধ্যে আগলে রাখা ঐতিহ্যবাহী রাজার দিঘীর চারিপাশ আরসিসি ঢালাই দিয়ে সৌন্দর্য বর্ধনে সাঁটানো আছে সিরামিক দিয়ে।

দিঘির চারি পাশে লাগানো বৃক্ষরাজির ফাঁকে ফাঁকে ওয়াক ওয়ে। গ্রীষ্মের খরাতাপে গাছের ছায়া সাময়িক প্রশান্তি নেয়ার জন্য এখানে স্থাপন করা আছে বিশ্রম বেঞ্চ। শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফাঁকে ফাঁকে এখানে এসে শীতল পরশে ক্ষণিকের জন্য প্রাণ জুড়ায় বলে সংশিলষ্টরা জানায়।

কলেজ বাইর থেকে দৃষ্টি দিলে মনে হবে পুরো ক্যাম্পাস দৃষ্টিনন্দন একটি বোটানিক্যাল গার্ডেন। পরিস্কার, পরিছন্ন পরিবেশে থাকা এই কলেজের সাথে সংশিলষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কলেজটির এই পরিবর্তন এসেছে প্রায় এক যুগ থেকে।

কলেজ গভর্ণিং কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী নোয়াপাড়া কলেজকে নিজের রঙের মত করে সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগ নেন। এই কাজ বাস্তবায়ন করতে যোগ্য সহযোগি হিসাবে বেঁচে নেন কলেজ অধ্যক্ষ এম.কফিল উদ্দিন চৌধুরীকে।

দুজনের মেধা ও সৃজনশীল রুচিবোধের সমন্বয় ঘটিয়ে অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন চৌধুরী সাংসদের নিদ্দেশনা অনুসরণ করে কলেজটিকে সর্বক্ষেত্রে মর্যদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যান। একই সাথে ক্যাম্পাসটি সাজিয়ে করেন দৃষ্টিনন্দন ।

তিনি কাজ করতে সহযোগিতা পান গর্ভণিং কমিটির সদস্য, সহযোগি শিক্ষক ও কর্মচারী সকলের কাছ থেকে। কলেজের বর্তমান পরিবেশ সম্পর্কে কথা বলতে গেলে কলেজ অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন চৌধুরী বলেন স্বাধীনতাপূর্ব সময়ে এই রাজার দীঘি ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন ঝোপঝাড়পূর্ণ।

দিঘীর এই অন্ধকারচ্ছন্ন পরিবেশে ১৯৬৯ সালের দিকে প্রথম আলোর মশাল জ্বালিয়েছিলেন এ অঞ্চলের কয়েকজন কৃতি সন্তান ও শিক্ষানুরাগি। তাদের শ্রম ও ত্যাগের উপর প্রতিষ্ঠিত নোয়াপাড়া কলেজটি আধুনিক রূপ দিতে গত প্রায় এক যুগ আগে থেকে কাজ শুরু করেন বধিষ্ণু রাউজানে স্থপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি।

তিনি কলেজের দায়িত্ব ভার নিয়ে কলেজ এর প্রশাসনিক কাঠামো মজবুত, শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত ও ক্যাম্পাসকে সাজানোর উদ্যোগ নেন। একাজে প্রায় প্রতি সপ্তাহে এখানে আসা যাওয়া করেন তিনি নিজ পরিকল্পনা নিয়ে। তার পরিকল্পনায় তিনি কলেজটিতে কয়েকটি বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন।

সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতসহ ক্যাম্পাস সাজিয়ে চট্টগ্রামের সেরা কলেজ গুলোর কাতারে দাঁড় করিয়েছেন। তিনি জানান সাংসদের অনুপ্রেরণায় ক্যাম্পাসের চারিদিকে লাগানো হয় সহস্রাধিক ফল ফুলের গাছ। সেই গাছ গুলোতেই গত কয়েক বছর থেকে প্রচুর ফল দিচ্ছে।

কলেজ সভাপতি সাংসদ ফজলে করিম এখানে এসে গাছ ও ঝুলন্ত ফল ঘুরে ঘুরে দেখেন। তিনি প্রতিবছর পাকা ফলের স্বাদ নিতে উম্মুক্ত করে দেন কলেজ শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ সংশিলষ্টদের জন্য। তবে গাছে ফল পাকার আগে হাত দেয়ার ব্যাপারে বিধিনিষেধ রয়েছে বলে কলেজ অধ্যক্ষ জানান।

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

রাউজানে নোয়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থোকায় থোকায় ঝুলছে আম

প্রকাশিত : ০১:০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জুন ২০২০

রাউজানের নোয়াপাড়া রাজার দিঘীর দক্ষিণ-পূর্ব পাড় জুড়ে প্রতিষ্ঠিত আছে নোয়াপাড়া বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। ফুলের সৌরভে মধ্যে থাকা কলেজের কয়েকটি বহুতল ভবনের সামনে পিছনে আছে বিভিন্ন জাতের দেশি বিদেশি ফলের বাগান।

সামনে থাকা নীল জলরাশির রাজার দিঘীর চার পাড়ে সহস্রাধিক আম,লিচু,পেয়ারা, জাম,কাঠাল গাছে এখন থোকায় থোকায় ঝুলছে ফল। আর ক’দিন পরে সুবাস ছড়াবে এসব গাছের পাকা আম,জাম,লিচু,কাঁঠাল।

সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, প্রায় পাঁচ থেকে সাত একর জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত নোয়াপাড়া কলেজ ক্যাম্পসটি এখন মৌসুমী ফুলে ফলে সজ্জিত। ফলে ভারে প্রতিটি আম গাছের ঢাল ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম।

পাকা বিদেশি জাম গাছ থেকে ঝড়ে পড়ে মাটিতে পঁচে যাচ্ছে। দেখা যায় কলেজ ক্যাম্পাসের বুকের মধ্যে আগলে রাখা ঐতিহ্যবাহী রাজার দিঘীর চারিপাশ আরসিসি ঢালাই দিয়ে সৌন্দর্য বর্ধনে সাঁটানো আছে সিরামিক দিয়ে।

দিঘির চারি পাশে লাগানো বৃক্ষরাজির ফাঁকে ফাঁকে ওয়াক ওয়ে। গ্রীষ্মের খরাতাপে গাছের ছায়া সাময়িক প্রশান্তি নেয়ার জন্য এখানে স্থাপন করা আছে বিশ্রম বেঞ্চ। শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফাঁকে ফাঁকে এখানে এসে শীতল পরশে ক্ষণিকের জন্য প্রাণ জুড়ায় বলে সংশিলষ্টরা জানায়।

কলেজ বাইর থেকে দৃষ্টি দিলে মনে হবে পুরো ক্যাম্পাস দৃষ্টিনন্দন একটি বোটানিক্যাল গার্ডেন। পরিস্কার, পরিছন্ন পরিবেশে থাকা এই কলেজের সাথে সংশিলষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কলেজটির এই পরিবর্তন এসেছে প্রায় এক যুগ থেকে।

কলেজ গভর্ণিং কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী নোয়াপাড়া কলেজকে নিজের রঙের মত করে সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগ নেন। এই কাজ বাস্তবায়ন করতে যোগ্য সহযোগি হিসাবে বেঁচে নেন কলেজ অধ্যক্ষ এম.কফিল উদ্দিন চৌধুরীকে।

দুজনের মেধা ও সৃজনশীল রুচিবোধের সমন্বয় ঘটিয়ে অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন চৌধুরী সাংসদের নিদ্দেশনা অনুসরণ করে কলেজটিকে সর্বক্ষেত্রে মর্যদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যান। একই সাথে ক্যাম্পাসটি সাজিয়ে করেন দৃষ্টিনন্দন ।

তিনি কাজ করতে সহযোগিতা পান গর্ভণিং কমিটির সদস্য, সহযোগি শিক্ষক ও কর্মচারী সকলের কাছ থেকে। কলেজের বর্তমান পরিবেশ সম্পর্কে কথা বলতে গেলে কলেজ অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন চৌধুরী বলেন স্বাধীনতাপূর্ব সময়ে এই রাজার দীঘি ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন ঝোপঝাড়পূর্ণ।

দিঘীর এই অন্ধকারচ্ছন্ন পরিবেশে ১৯৬৯ সালের দিকে প্রথম আলোর মশাল জ্বালিয়েছিলেন এ অঞ্চলের কয়েকজন কৃতি সন্তান ও শিক্ষানুরাগি। তাদের শ্রম ও ত্যাগের উপর প্রতিষ্ঠিত নোয়াপাড়া কলেজটি আধুনিক রূপ দিতে গত প্রায় এক যুগ আগে থেকে কাজ শুরু করেন বধিষ্ণু রাউজানে স্থপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি।

তিনি কলেজের দায়িত্ব ভার নিয়ে কলেজ এর প্রশাসনিক কাঠামো মজবুত, শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত ও ক্যাম্পাসকে সাজানোর উদ্যোগ নেন। একাজে প্রায় প্রতি সপ্তাহে এখানে আসা যাওয়া করেন তিনি নিজ পরিকল্পনা নিয়ে। তার পরিকল্পনায় তিনি কলেজটিতে কয়েকটি বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন।

সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতসহ ক্যাম্পাস সাজিয়ে চট্টগ্রামের সেরা কলেজ গুলোর কাতারে দাঁড় করিয়েছেন। তিনি জানান সাংসদের অনুপ্রেরণায় ক্যাম্পাসের চারিদিকে লাগানো হয় সহস্রাধিক ফল ফুলের গাছ। সেই গাছ গুলোতেই গত কয়েক বছর থেকে প্রচুর ফল দিচ্ছে।

কলেজ সভাপতি সাংসদ ফজলে করিম এখানে এসে গাছ ও ঝুলন্ত ফল ঘুরে ঘুরে দেখেন। তিনি প্রতিবছর পাকা ফলের স্বাদ নিতে উম্মুক্ত করে দেন কলেজ শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ সংশিলষ্টদের জন্য। তবে গাছে ফল পাকার আগে হাত দেয়ার ব্যাপারে বিধিনিষেধ রয়েছে বলে কলেজ অধ্যক্ষ জানান।