১২:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এমপিরা পাবেন ছয় হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সারাদেশে এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমের গতি বাড়াতে দেশের ২৮০টি সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্যরা (এমপি) বরাদ্দ পাবেন ছয় হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা।

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ‘পলস্নী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২৮০ এমপি বরাদ্দ পাবেন। প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও প্রায় ৯ হাজার ৪৬০ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয়-সংবলিত ১০টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী এবং একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রোববার গণভবনের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।

সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার করোনাভাইরাসের মধ্যেও উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জানি, করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। এরপরও অন্ততপক্ষে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, ধারাবাহিকতা বজায় রেখে উন্নয়নের মূল গতিটা ধরে রাখার। যে কারণে আমরা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’

প্রধানমন্ত্রী ও একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা সংক্ষিপ্ত ভাষণে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশবাসীর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘দেশবাসীকে আমি এই অনুরোধ করব, সবাই স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলবেন। কারণ, জীবন চলতে থাকবে, এটি স্থবির থাকতে পারে না। এরপরও স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলার জন্য সবাইকে আমি আহ্বান জানাব।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশে নয়, সমগ্র বিশ্বেই আজ এই সমস্যাটা চলছে। কাজেই এর হাত থেকে মুক্তি পেয়ে মানুষ যাতে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে, সেটাই আমরা চাই।’

সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সাবেক ও বর্তমান সংসদ সদস্যসহ দেশে ও প্রবাসে করোনাভাইরাসের কারণে মৃতু্যবরণকারী বাংলাদেশিদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এর কবল থেকে সবার মুক্তির জন্য মহান আলস্নাহর দরবারে প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে আমরা আমাদের মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্যসহ দেশে ও প্রবাসে অনেককে হারিয়েছি। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আলস্নাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে এই দোয়া করি, তিনি যেন আমাদের এই করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি দেন।’

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান উপস্থিত ছিলেন। একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়ে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে প্রত্যন্ত পলস্নী অঞ্চলেও আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারিত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এমপিরা তৃতীয়বারের মতো বরাদ্দ পাচ্ছেন। এই দফায় বরাদ্দের পরিমাণ ২০ কোটি টাকা। এই টাকা দিয়ে তারা এলাকার রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট, হাটবাজার এবং বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন করতে পারবেন। তবে একবারে নয়, চার ভাগে প্রতিবছর পাঁচ কোটি টাকা করে এই টাকা বরাদ্দ পাবেন তারা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে করোনা সংকট মোকাবিলায় অবদান রাখবে। সাধারণত গ্রামীণ এলাকায় প্রকল্পের কাজ হবে।

তৃতীয় দফায় এই প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ৩০৫ কিলোমিটার উপজেলা সড়ক, ৩৬০ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক উন্নয়ন, পাঁচ হাজার ৭৫ কিলোমিটার গ্রাম সড়ক উন্নয়ন, এক হাজার ৯০ কিলামিটার গ্রামীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ, সাত হাজার ৯৯২ মিটার গ্রামীণ সড়কে (১০০ মিটারের কম দৈর্ঘ্যের) সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। এমপিদের জন্য এটি তৃতীয় ধাপের বরাদ্দ।

এর আগে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রত্যেক এমপি নিজ আসনের অবকাঠামো উন্নয়নে ১৫ কোটি টাকা করে বরাদ্দ পেয়েছিলেন। এ সময় ব্যয় ছিল চার হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। এটি ২০১০ সালের মার্চ থেকে ২০১৬ সালে জুনে শেষ হয়। আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করলে নিজ নিজ আসনের জন্য এমপিরা আরও ২০ কোটি টাকা করে বরাদ্দ পান। এ সময় ছয় হাজার ৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদে ওই প্রকল্প চলমান।

দেশে সংসদীয় আসন ৩০০টি হলেও এই প্রকল্পের আওতায় থাকছে ২৮০টি আসন। মূলত দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন এলাকায় যে ২০টি সংসদীয় আসন রয়েছে, সেই আসনগুলোকে এই প্রকল্পের বাইরে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী এমপিদেরও এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো- ‘জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি (দ্বিতীয় সংশোধিত)’, ‘মনু নদীর ভাঙন থেকে মৌলভীবাজার জেলার সদর, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলা রক্ষা’, ‘বৃহত্তর পটুয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (পটুয়াখালী ও বরগুন জেলা) (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ এবং ‘হাওড় অঞ্চলে টেকসই পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও হাইজিন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প’।

‘জামালপুর জেলা কারাগার পুনর্নির্মাণ’, ‘গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (চট্টগ্রাম জোন) (প্রথম সংশোধিত)’, ‘টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ (হরিদাসপুর)-মোলস্নাহাট (ঘোনাপাড়া) আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প’ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

‘বাংলাদেশ রেলওয়ের ১০০টি মিটার গেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ পুনর্বাসন (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প’, ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিএএফও বঙ্গবন্ধু কমপেস্নক্স নির্মাণ’ এবং ‘যশোর (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্পটি ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বৃদ্ধি’র অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

এমপিরা পাবেন ছয় হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা

প্রকাশিত : ০৫:৩৪:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জুন ২০২০

সারাদেশে এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমের গতি বাড়াতে দেশের ২৮০টি সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্যরা (এমপি) বরাদ্দ পাবেন ছয় হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা।

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ‘পলস্নী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২৮০ এমপি বরাদ্দ পাবেন। প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও প্রায় ৯ হাজার ৪৬০ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয়-সংবলিত ১০টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী এবং একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রোববার গণভবনের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।

সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার করোনাভাইরাসের মধ্যেও উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জানি, করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। এরপরও অন্ততপক্ষে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, ধারাবাহিকতা বজায় রেখে উন্নয়নের মূল গতিটা ধরে রাখার। যে কারণে আমরা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’

প্রধানমন্ত্রী ও একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা সংক্ষিপ্ত ভাষণে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশবাসীর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘দেশবাসীকে আমি এই অনুরোধ করব, সবাই স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলবেন। কারণ, জীবন চলতে থাকবে, এটি স্থবির থাকতে পারে না। এরপরও স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলার জন্য সবাইকে আমি আহ্বান জানাব।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশে নয়, সমগ্র বিশ্বেই আজ এই সমস্যাটা চলছে। কাজেই এর হাত থেকে মুক্তি পেয়ে মানুষ যাতে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে, সেটাই আমরা চাই।’

সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সাবেক ও বর্তমান সংসদ সদস্যসহ দেশে ও প্রবাসে করোনাভাইরাসের কারণে মৃতু্যবরণকারী বাংলাদেশিদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এর কবল থেকে সবার মুক্তির জন্য মহান আলস্নাহর দরবারে প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে আমরা আমাদের মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্যসহ দেশে ও প্রবাসে অনেককে হারিয়েছি। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আলস্নাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে এই দোয়া করি, তিনি যেন আমাদের এই করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি দেন।’

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান উপস্থিত ছিলেন। একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়ে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে প্রত্যন্ত পলস্নী অঞ্চলেও আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারিত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এমপিরা তৃতীয়বারের মতো বরাদ্দ পাচ্ছেন। এই দফায় বরাদ্দের পরিমাণ ২০ কোটি টাকা। এই টাকা দিয়ে তারা এলাকার রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট, হাটবাজার এবং বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন করতে পারবেন। তবে একবারে নয়, চার ভাগে প্রতিবছর পাঁচ কোটি টাকা করে এই টাকা বরাদ্দ পাবেন তারা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে করোনা সংকট মোকাবিলায় অবদান রাখবে। সাধারণত গ্রামীণ এলাকায় প্রকল্পের কাজ হবে।

তৃতীয় দফায় এই প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ৩০৫ কিলোমিটার উপজেলা সড়ক, ৩৬০ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক উন্নয়ন, পাঁচ হাজার ৭৫ কিলোমিটার গ্রাম সড়ক উন্নয়ন, এক হাজার ৯০ কিলামিটার গ্রামীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ, সাত হাজার ৯৯২ মিটার গ্রামীণ সড়কে (১০০ মিটারের কম দৈর্ঘ্যের) সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। এমপিদের জন্য এটি তৃতীয় ধাপের বরাদ্দ।

এর আগে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রত্যেক এমপি নিজ আসনের অবকাঠামো উন্নয়নে ১৫ কোটি টাকা করে বরাদ্দ পেয়েছিলেন। এ সময় ব্যয় ছিল চার হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। এটি ২০১০ সালের মার্চ থেকে ২০১৬ সালে জুনে শেষ হয়। আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করলে নিজ নিজ আসনের জন্য এমপিরা আরও ২০ কোটি টাকা করে বরাদ্দ পান। এ সময় ছয় হাজার ৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদে ওই প্রকল্প চলমান।

দেশে সংসদীয় আসন ৩০০টি হলেও এই প্রকল্পের আওতায় থাকছে ২৮০টি আসন। মূলত দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন এলাকায় যে ২০টি সংসদীয় আসন রয়েছে, সেই আসনগুলোকে এই প্রকল্পের বাইরে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী এমপিদেরও এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো- ‘জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি (দ্বিতীয় সংশোধিত)’, ‘মনু নদীর ভাঙন থেকে মৌলভীবাজার জেলার সদর, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলা রক্ষা’, ‘বৃহত্তর পটুয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (পটুয়াখালী ও বরগুন জেলা) (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ এবং ‘হাওড় অঞ্চলে টেকসই পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও হাইজিন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প’।

‘জামালপুর জেলা কারাগার পুনর্নির্মাণ’, ‘গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (চট্টগ্রাম জোন) (প্রথম সংশোধিত)’, ‘টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ (হরিদাসপুর)-মোলস্নাহাট (ঘোনাপাড়া) আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প’ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

‘বাংলাদেশ রেলওয়ের ১০০টি মিটার গেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ পুনর্বাসন (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প’, ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিএএফও বঙ্গবন্ধু কমপেস্নক্স নির্মাণ’ এবং ‘যশোর (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্পটি ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বৃদ্ধি’র অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর