০৫:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

৯৪ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামছে দুদক

করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগে দেশের বিভিন্ন জেলার ৯৪ জনপ্রতিনিধির (ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার) বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

প্রকৃত উপকারভোগীদের বঞ্চিত করে বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ ও ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে এসব জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে।

আজ রবিবার (২৭ জুন) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছেন দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিশনের অভিযোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক এ কে এম সোহেলের নেতৃত্বাধীন যাচাই-বাছাই কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ওই ৯৪ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরকারি ত্রাণ আত্মসাৎ, ভুয়া মাস্টাররোলের মাধ্যমে সরকারি চাল আত্মসাৎ, সরকারি ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণ না করে কালোবাজারে বিক্রি, জেলেদের ভিজিএফ-এর চাল আত্মসাৎ, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়নে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম, উপকারভোগীদের ভুয়া তালিকা প্রণয়ন করে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির খাদ্যসামগ্রী আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

অভিযুক্ত ৯৪ জনপ্রতিনিধির মধ্যে ৩০ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ৬৪ জন ইউপি সদস্য রয়েছেন। ইতোমধ্যে সাময়িকভাবে তাঁদেরকে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে এরইমধ্যে ২১টি মামলা দায়ের করেছে দুদক। এসব মামলায় অনেকে গ্রেপ্তারও হয়েছেন। মামলাগুলোর তদন্ত চলছে। নতুন করে এই ৯৪ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আরও ২৪৮ জন

৯৪ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামছে দুদক

প্রকাশিত : ০৪:০৪:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুন ২০২০

করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগে দেশের বিভিন্ন জেলার ৯৪ জনপ্রতিনিধির (ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার) বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

প্রকৃত উপকারভোগীদের বঞ্চিত করে বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ ও ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে এসব জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে।

আজ রবিবার (২৭ জুন) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছেন দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিশনের অভিযোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক এ কে এম সোহেলের নেতৃত্বাধীন যাচাই-বাছাই কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ওই ৯৪ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরকারি ত্রাণ আত্মসাৎ, ভুয়া মাস্টাররোলের মাধ্যমে সরকারি চাল আত্মসাৎ, সরকারি ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণ না করে কালোবাজারে বিক্রি, জেলেদের ভিজিএফ-এর চাল আত্মসাৎ, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়নে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম, উপকারভোগীদের ভুয়া তালিকা প্রণয়ন করে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির খাদ্যসামগ্রী আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

অভিযুক্ত ৯৪ জনপ্রতিনিধির মধ্যে ৩০ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ৬৪ জন ইউপি সদস্য রয়েছেন। ইতোমধ্যে সাময়িকভাবে তাঁদেরকে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে এরইমধ্যে ২১টি মামলা দায়ের করেছে দুদক। এসব মামলায় অনেকে গ্রেপ্তারও হয়েছেন। মামলাগুলোর তদন্ত চলছে। নতুন করে এই ৯৪ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ