০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাষ্টায়ত্ত ব্যাংকের সংখ্যা পাঁচে নামিয়ে আনছে ভারত

ব্যাংকিং খাতকে ঢেলে সাজাতে অর্ধেকেরও বেশি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক বেসরকারিকরণের পরিকল্পনা করছে ভারত। সরকার ও ব্যাংকিং খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরাতে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স। তাতে বলা হচ্ছে, ভারত সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সংখ্যা পাঁচটিতে নামিয়ে আনার খসড়া তৈরি শেষে তা মন্ত্রিসভায় তোলা হবে।

সরকারি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রথম দফায় ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংক, ইউসিও ব্যাংক, ব্যাংক অব মহারাষ্ট্র এবং পাঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাংকের বেশিরভাগ শেয়ার বিক্রি করা হবে।

বর্তমানে ভারতে রাষ্ট্রমালিকাধীন ব্যাংকের সংখ্যা ১২টি। মোদি সরকারের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘সরকারি পরিকল্পনা হচ্ছে, রাষ্ট্রমালিকাধীন ব্যাংকের সংখ্যা ৪ থেকে ৫টিতে নামিয়ে আনা।‘ বেসরকারিকরণের নতুন যে প্রস্তাবনার খসড়া সরকার তৈরি করছে, এটি তারই অংশ বলে জানান তিনি।

পরিকল্পনাটি এখন খসড়া আকারে রয়েছে। খসড়াটি চূড়ান্ত হওয়ার পর অনুমোদনের জন্য তা মন্ত্রিসভায় তোলা হবে। সরকারি এই পরিকল্পনার বিষয়ে অবগত হওয়ার পর রয়টার্সের পক্ষ থেকে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতেই কেউ রাজি হয়নি।

করোনার আগে থেকেই ভারতের অর্থনীতির অবস্থা নাজুক। তাই সরকার তহবিল সংগ্রহের লক্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোকে বেসরকারিকরণের পরিকল্পনা করছে। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন কমিটি এবং রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়াও ভারতে রাষ্ট্রমালিকাধীন ব্যাংকের সংখ্যা পাঁচের বেশি হওয়া উচিত নয় বলে সুপারিশ করেছে।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাওয়া হিসাবে ভারতীয় ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯৩ লাখ ৫০ হাজার কোটি রুপি; যা ব্যাংকগুলোর মোট সম্পত্তির ৯ দশমিক ১ শতাংশ। ফলে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি কাটাতে সরকারকে দুইশো কোটি ডলার অর্থ দিতে হবে।

জনপ্রিয়

রাষ্টায়ত্ত ব্যাংকের সংখ্যা পাঁচে নামিয়ে আনছে ভারত

প্রকাশিত : ০২:৩৪:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুলাই ২০২০

ব্যাংকিং খাতকে ঢেলে সাজাতে অর্ধেকেরও বেশি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক বেসরকারিকরণের পরিকল্পনা করছে ভারত। সরকার ও ব্যাংকিং খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরাতে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স। তাতে বলা হচ্ছে, ভারত সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সংখ্যা পাঁচটিতে নামিয়ে আনার খসড়া তৈরি শেষে তা মন্ত্রিসভায় তোলা হবে।

সরকারি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রথম দফায় ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংক, ইউসিও ব্যাংক, ব্যাংক অব মহারাষ্ট্র এবং পাঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাংকের বেশিরভাগ শেয়ার বিক্রি করা হবে।

বর্তমানে ভারতে রাষ্ট্রমালিকাধীন ব্যাংকের সংখ্যা ১২টি। মোদি সরকারের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘সরকারি পরিকল্পনা হচ্ছে, রাষ্ট্রমালিকাধীন ব্যাংকের সংখ্যা ৪ থেকে ৫টিতে নামিয়ে আনা।‘ বেসরকারিকরণের নতুন যে প্রস্তাবনার খসড়া সরকার তৈরি করছে, এটি তারই অংশ বলে জানান তিনি।

পরিকল্পনাটি এখন খসড়া আকারে রয়েছে। খসড়াটি চূড়ান্ত হওয়ার পর অনুমোদনের জন্য তা মন্ত্রিসভায় তোলা হবে। সরকারি এই পরিকল্পনার বিষয়ে অবগত হওয়ার পর রয়টার্সের পক্ষ থেকে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতেই কেউ রাজি হয়নি।

করোনার আগে থেকেই ভারতের অর্থনীতির অবস্থা নাজুক। তাই সরকার তহবিল সংগ্রহের লক্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোকে বেসরকারিকরণের পরিকল্পনা করছে। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন কমিটি এবং রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়াও ভারতে রাষ্ট্রমালিকাধীন ব্যাংকের সংখ্যা পাঁচের বেশি হওয়া উচিত নয় বলে সুপারিশ করেছে।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাওয়া হিসাবে ভারতীয় ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯৩ লাখ ৫০ হাজার কোটি রুপি; যা ব্যাংকগুলোর মোট সম্পত্তির ৯ দশমিক ১ শতাংশ। ফলে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি কাটাতে সরকারকে দুইশো কোটি ডলার অর্থ দিতে হবে।