১১:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

টুং টাং শব্দে মুখরিত কামারপল্লী

ঈদুল আজহা আসলেই কোরবানির পশুর মাংস কাটার সরঞ্জাম তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার কামারপল্লীগুলো। টুং টাং শব্দে মুখরিত হয় কামারপল্লী। তবে এবার একটু ব্যতিক্রম। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গতবারের চেয়ে এবার একটু বেচা-বিক্রি তুলনামূলক কম।

বোচাগঞ্জ উপজেলায় কামারপাড়া এলাকায় বেশকিছু প্রান্তিক পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে। একমাত্র কামারের কাজ করে তারা পরিবারের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে। দীর্ঘদিন ধরে তারা এই পেশায় নিয়োজিত। দিনরাত পরিশ্রম করে জীবন-জীর্বিকা নির্বাহ করে থাকে।

কামারপল্লীতে তারা লোহা পুড়িয়ে লাল করে হাতুড় দ্বারা পিটিয়ে ছুরি, দা, বটি ও চাপাতি তৈরি করে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রিয় করে থাকে। বিশেষ করে প্রতিবছর ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বাড়তি আয়ের আশায় দিনরাত পরিশ্রম করে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সেতাবগঞ্জ বাজারের কামার পল্লী, রামপুর, মাধবপুর, পুলহাট, পিড়িতি বাজার, চরঙ্গীবাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারের কামারপল্লীতে হচ্ছে। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দা, বটি, ছুরি, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি ও মেরামতের কাজ করছে কামার শিল্পীরা। কোরবানিতে পশু জবাই ও মাংস কাটতে এসব জিনিস স্থানীয়রা কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

সেতাবগঞ্জ বাজারের ভড়লা এলাকার কামার শিল্পী শফিকুল ইসলাম বলেন, এবার করোনাভাইরাসের কারণে গত ঈদের চেয়ে বেচা-বিক্রি কম। তিনি আরো বলেন, ঈদের ২/৩ দিন আগে বেচা-বিক্রি বাড়তে পারে বলে ধারণা করছি। কামার শিল্পী মুসা বলেন, গত বছর কোরবানির পশু কাটতে ছোট বড় চাকু, ছোরা ও চাপাতি দাম বেশি ছিল। এবার তুলনামূলক দাম অনেক কম। তবু এবার বেচা-বিক্রি অনেক কম হচ্ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ / ইমরান মাসুদ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

ভারী বৃষ্টিপাতের পর তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধস, নিহত অন্তত ১৫৫

টুং টাং শব্দে মুখরিত কামারপল্লী

প্রকাশিত : ০৩:০৯:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুলাই ২০২০

ঈদুল আজহা আসলেই কোরবানির পশুর মাংস কাটার সরঞ্জাম তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার কামারপল্লীগুলো। টুং টাং শব্দে মুখরিত হয় কামারপল্লী। তবে এবার একটু ব্যতিক্রম। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গতবারের চেয়ে এবার একটু বেচা-বিক্রি তুলনামূলক কম।

বোচাগঞ্জ উপজেলায় কামারপাড়া এলাকায় বেশকিছু প্রান্তিক পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে। একমাত্র কামারের কাজ করে তারা পরিবারের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে। দীর্ঘদিন ধরে তারা এই পেশায় নিয়োজিত। দিনরাত পরিশ্রম করে জীবন-জীর্বিকা নির্বাহ করে থাকে।

কামারপল্লীতে তারা লোহা পুড়িয়ে লাল করে হাতুড় দ্বারা পিটিয়ে ছুরি, দা, বটি ও চাপাতি তৈরি করে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রিয় করে থাকে। বিশেষ করে প্রতিবছর ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বাড়তি আয়ের আশায় দিনরাত পরিশ্রম করে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সেতাবগঞ্জ বাজারের কামার পল্লী, রামপুর, মাধবপুর, পুলহাট, পিড়িতি বাজার, চরঙ্গীবাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারের কামারপল্লীতে হচ্ছে। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দা, বটি, ছুরি, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি ও মেরামতের কাজ করছে কামার শিল্পীরা। কোরবানিতে পশু জবাই ও মাংস কাটতে এসব জিনিস স্থানীয়রা কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

সেতাবগঞ্জ বাজারের ভড়লা এলাকার কামার শিল্পী শফিকুল ইসলাম বলেন, এবার করোনাভাইরাসের কারণে গত ঈদের চেয়ে বেচা-বিক্রি কম। তিনি আরো বলেন, ঈদের ২/৩ দিন আগে বেচা-বিক্রি বাড়তে পারে বলে ধারণা করছি। কামার শিল্পী মুসা বলেন, গত বছর কোরবানির পশু কাটতে ছোট বড় চাকু, ছোরা ও চাপাতি দাম বেশি ছিল। এবার তুলনামূলক দাম অনেক কম। তবু এবার বেচা-বিক্রি অনেক কম হচ্ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ / ইমরান মাসুদ