০২:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

সাবরিনা ও আরিফসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রস্তুত

ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও আরিফুল হক চৌধুরী

করোনাভাইরাস পরীক্ষায় জালিয়াতি করার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফুল হক চৌধুরী ও চেয়ারম্যান সাবরিনা আরিফ চৌধুরীসহ আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করেছে তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি। বুধবার (৫ আগস্ট) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক লিয়াকত আলী আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেবেন। মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) গোয়েন্দা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ মামলায় অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলো—আবু সাঈদ চৌধুরী, হিমু, তানজিলা, বিপুল, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা। তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে হিমু, তানজিলা ও রোমিও দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবি তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘আমরা আট জনের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা নিয়ে জাল জালিয়াতি ও প্রতারণা করার প্রমাণ পেয়েছি। এজন্য আট জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দেওয়া হচ্ছে।’

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, অভিযোগপত্রে আরিফ ও সাবরিনাকে মূল হোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জাল জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছে। তদন্তে জেকেজি হেলথ কেয়ারের কম্পিউটারে এক হাজার ৯৮৫টি ভুয়া রিপোর্ট ও ৩৪টি ভুয়া সার্টিফিকেট পাওয়া গেছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমোদন নিয়ে করোনাভাইরাসের স্যাম্পল সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা শুরু করেছিল জেকেজি হেলথ কেয়ার। কিন্তু করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রচুর চাহিদা থাকায় প্রতারণা শুরু করে জেকেজি সংশ্লিষ্টরা। অর্থ আদায়ের অনুমতি না থাকলেও অর্থের বিনিময়ে নমুনা সংগ্রহ করতো তারা। সেসব নমুনা কোনও ল্যাবে না পাঠিয়ে নিজেরাই অনুমানের ওপর ভিত্তি করে পজিটিভ বা নেগেটিভ রিপোর্ট দিয়ে দিতো। এছাড়া করোনাভাইরাসের নেগেটিভ সার্টিফিকেটের চাহিদা থাকায় অর্থের বিনিময়ে ভুয়া ল্যাব সার্টিফিকেট তৈরি করে দিতো।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, সাবরিনা আরিফ চৌধুরী প্রথমে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করলেও জেকেজির জালিয়াতি শুরু করার বিষয়ে সবকিছু জানতেন। এমনকি জেকেজি হেলথ কেয়ার ছাড়ার আগ পর্যন্ত তিনি জালিয়াতির অর্থের ভাগও নিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলার তদন্তে জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনার নাম এলে গত ১২ জুলাই তাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ । মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে তা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। জেকেজির জালিয়াতি সামনে আসার পর স্বাস্থ্য অধিদফতর জেকেজির সঙ্গে করা তাদের চুক্তি বাতিল করে। অপরদিকে ডা. সাবরিনাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

সাবরিনা ও আরিফসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রস্তুত

প্রকাশিত : ০৩:২৪:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ অগাস্ট ২০২০

করোনাভাইরাস পরীক্ষায় জালিয়াতি করার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফুল হক চৌধুরী ও চেয়ারম্যান সাবরিনা আরিফ চৌধুরীসহ আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করেছে তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি। বুধবার (৫ আগস্ট) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক লিয়াকত আলী আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেবেন। মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) গোয়েন্দা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ মামলায় অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলো—আবু সাঈদ চৌধুরী, হিমু, তানজিলা, বিপুল, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা। তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে হিমু, তানজিলা ও রোমিও দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবি তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘আমরা আট জনের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা নিয়ে জাল জালিয়াতি ও প্রতারণা করার প্রমাণ পেয়েছি। এজন্য আট জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দেওয়া হচ্ছে।’

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, অভিযোগপত্রে আরিফ ও সাবরিনাকে মূল হোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জাল জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছে। তদন্তে জেকেজি হেলথ কেয়ারের কম্পিউটারে এক হাজার ৯৮৫টি ভুয়া রিপোর্ট ও ৩৪টি ভুয়া সার্টিফিকেট পাওয়া গেছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমোদন নিয়ে করোনাভাইরাসের স্যাম্পল সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা শুরু করেছিল জেকেজি হেলথ কেয়ার। কিন্তু করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রচুর চাহিদা থাকায় প্রতারণা শুরু করে জেকেজি সংশ্লিষ্টরা। অর্থ আদায়ের অনুমতি না থাকলেও অর্থের বিনিময়ে নমুনা সংগ্রহ করতো তারা। সেসব নমুনা কোনও ল্যাবে না পাঠিয়ে নিজেরাই অনুমানের ওপর ভিত্তি করে পজিটিভ বা নেগেটিভ রিপোর্ট দিয়ে দিতো। এছাড়া করোনাভাইরাসের নেগেটিভ সার্টিফিকেটের চাহিদা থাকায় অর্থের বিনিময়ে ভুয়া ল্যাব সার্টিফিকেট তৈরি করে দিতো।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, সাবরিনা আরিফ চৌধুরী প্রথমে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করলেও জেকেজির জালিয়াতি শুরু করার বিষয়ে সবকিছু জানতেন। এমনকি জেকেজি হেলথ কেয়ার ছাড়ার আগ পর্যন্ত তিনি জালিয়াতির অর্থের ভাগও নিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলার তদন্তে জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনার নাম এলে গত ১২ জুলাই তাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ । মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে তা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। জেকেজির জালিয়াতি সামনে আসার পর স্বাস্থ্য অধিদফতর জেকেজির সঙ্গে করা তাদের চুক্তি বাতিল করে। অপরদিকে ডা. সাবরিনাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর