০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রদীপসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা

সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান

মেজর সিনহা হত্যা মামলার আসামি টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট- ৩ আদালতে (টেকনাফ) এজাহার উপস্থাপন করা হয়। বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন শুনানি শেষে এজাহারটি মামলা হিসাবে গ্রহণ করে ওই ঘটনায় অন্য কোনও হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে কিনা তা জানাতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

নিহত মাহমুদুর রহমানের ভাই নুরুল হোসাইন বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, থানায় ধরে নিয়ে ক্রসফায়ারে না মারার শর্তে ১০ লাখ টাকা দাবি করে টেকনাফ মৌলভীপাড়া আলী আকবর পাড়ার মিয়া হোসেনের পুত্র প্রবাসী মাহমুদুর রহমানের কাছ থেকে। পাঁচ লাখ টাকা দিলেও বাকি পাঁচ লাখ টাকা দিতে না পারায় ওই প্রবাসীকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেন নিহতের পরিবার।

বাদি পক্ষের আইনজীবী ইনসাফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ মৌলভীপাড়া আলী আকবর পাড়ার মিয়া হোসেনের পুত্র প্রবাসী মাহমুদুর রহমানকে থানার এসআই দীপকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। পরে দীপক ও ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ক্রসফায়ার না দেয়ার শর্তে প্রবাসীর পরিবারের লোকজন থেকে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন।

পরিবার নিরুপায় হয়ে পাঁচ লাখ টাকা দেন। কিন্তু আরও পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে পুলিশ। দাবির পাঁচ লাখ টাকা না দেয়ায় ৩১ ফেব্রুয়ারি রাতে ক্রসফায়ারের নামে প্রবাসী মাহমুদুর রহমানকে হত্যা করা হয়। মামলার এজাহারে এসআই দীপককে প্রধান ও সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ২ নম্বর আসামি করে মোট ২৩ জনকে মামলায় আসামী করা হয়। এর মধ্যে ১৮ জন পুলিশ সদস্য। বাকি পাঁচজন চৌকিদারসহ স্থানীয় লোকজন রয়েছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

প্রদীপসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা

প্রকাশিত : ০৬:১২:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অগাস্ট ২০২০

মেজর সিনহা হত্যা মামলার আসামি টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট- ৩ আদালতে (টেকনাফ) এজাহার উপস্থাপন করা হয়। বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন শুনানি শেষে এজাহারটি মামলা হিসাবে গ্রহণ করে ওই ঘটনায় অন্য কোনও হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে কিনা তা জানাতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

নিহত মাহমুদুর রহমানের ভাই নুরুল হোসাইন বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, থানায় ধরে নিয়ে ক্রসফায়ারে না মারার শর্তে ১০ লাখ টাকা দাবি করে টেকনাফ মৌলভীপাড়া আলী আকবর পাড়ার মিয়া হোসেনের পুত্র প্রবাসী মাহমুদুর রহমানের কাছ থেকে। পাঁচ লাখ টাকা দিলেও বাকি পাঁচ লাখ টাকা দিতে না পারায় ওই প্রবাসীকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেন নিহতের পরিবার।

বাদি পক্ষের আইনজীবী ইনসাফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ মৌলভীপাড়া আলী আকবর পাড়ার মিয়া হোসেনের পুত্র প্রবাসী মাহমুদুর রহমানকে থানার এসআই দীপকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। পরে দীপক ও ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ক্রসফায়ার না দেয়ার শর্তে প্রবাসীর পরিবারের লোকজন থেকে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন।

পরিবার নিরুপায় হয়ে পাঁচ লাখ টাকা দেন। কিন্তু আরও পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে পুলিশ। দাবির পাঁচ লাখ টাকা না দেয়ায় ৩১ ফেব্রুয়ারি রাতে ক্রসফায়ারের নামে প্রবাসী মাহমুদুর রহমানকে হত্যা করা হয়। মামলার এজাহারে এসআই দীপককে প্রধান ও সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ২ নম্বর আসামি করে মোট ২৩ জনকে মামলায় আসামী করা হয়। এর মধ্যে ১৮ জন পুলিশ সদস্য। বাকি পাঁচজন চৌকিদারসহ স্থানীয় লোকজন রয়েছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ