০১:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

সরকারের সাথে বসতে চান হল মালিকরা

বন্ধ প্রেক্ষাগৃহ (সিনেমা হল) পুনরায় চালু করতে চাইলে আর্থিকসহ নীতি সহায়তা দেয়ার কথা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা। গত মঙ্গলবার একনেক সভায় সিনেমা হল মালিকদের সহায়তা করতে বিশেষ তহবিল গঠনের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। এ সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বন্ধ প্রেক্ষাগৃহ বাঁচাতে সরকার আর্থিক ঋণ সহায়তার ব্যবস্থা করে দেবে। এ জন্য প্রেক্ষাগৃহ মালিকদের আবেদন করতে হবে।

তবে আবেদন কোথায় এবং কবে থেকে করা যাবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান, মাত্র একনেকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। এটা নথি আকারে মন্ত্রণালয়ে আসবে। তারপর কার্যক্রম শুরু হবে। আমাদের হাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই প্রক্রিয়াগত কাজ শুরু হয়। এর চেয়ে বিস্তারিত কিছু আমাদের জানা নেই এখনো। আমরা খবরের মাধ্যমে জেনেছি।

এ দিকে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও প্রদর্শক সমিতির নেতাদের সাথে বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বন্ধ থাকা সিনেমা হলগুলো খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের পর।

তথ্যমন্ত্রীর ওই বৈঠকে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ কুমার দাস, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু উপস্থিত ছিলেন। তবে এতে প্রেক্ষাগৃহ মালিকদের সরাসরি কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি।

এ সম্পর্কে মধুমতি সিনেমা হলের কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ। পাশাপাশি ধন্যবাদ দিতে চাই ঢাকা চেম্বারের আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাবটা দিয়েছিলেন। তবে আর্থিক সহায়তার ব্যাপারে সরকারকে হল মালিকদের নিয়ে একটি কমিটি করতে হবে এবং তাদের সাথে আলোচনা করে করণীয় ঠিক করতে হবে। তা না হলে সিনেমা হলের বাস্তবিক কোনো পরিবর্তন হবে না।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

সরকারের সাথে বসতে চান হল মালিকরা

প্রকাশিত : ০৩:৪৫:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২০

বন্ধ প্রেক্ষাগৃহ (সিনেমা হল) পুনরায় চালু করতে চাইলে আর্থিকসহ নীতি সহায়তা দেয়ার কথা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা। গত মঙ্গলবার একনেক সভায় সিনেমা হল মালিকদের সহায়তা করতে বিশেষ তহবিল গঠনের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। এ সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বন্ধ প্রেক্ষাগৃহ বাঁচাতে সরকার আর্থিক ঋণ সহায়তার ব্যবস্থা করে দেবে। এ জন্য প্রেক্ষাগৃহ মালিকদের আবেদন করতে হবে।

তবে আবেদন কোথায় এবং কবে থেকে করা যাবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান, মাত্র একনেকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। এটা নথি আকারে মন্ত্রণালয়ে আসবে। তারপর কার্যক্রম শুরু হবে। আমাদের হাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই প্রক্রিয়াগত কাজ শুরু হয়। এর চেয়ে বিস্তারিত কিছু আমাদের জানা নেই এখনো। আমরা খবরের মাধ্যমে জেনেছি।

এ দিকে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও প্রদর্শক সমিতির নেতাদের সাথে বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বন্ধ থাকা সিনেমা হলগুলো খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের পর।

তথ্যমন্ত্রীর ওই বৈঠকে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ কুমার দাস, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু উপস্থিত ছিলেন। তবে এতে প্রেক্ষাগৃহ মালিকদের সরাসরি কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি।

এ সম্পর্কে মধুমতি সিনেমা হলের কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ। পাশাপাশি ধন্যবাদ দিতে চাই ঢাকা চেম্বারের আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাবটা দিয়েছিলেন। তবে আর্থিক সহায়তার ব্যাপারে সরকারকে হল মালিকদের নিয়ে একটি কমিটি করতে হবে এবং তাদের সাথে আলোচনা করে করণীয় ঠিক করতে হবে। তা না হলে সিনেমা হলের বাস্তবিক কোনো পরিবর্তন হবে না।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর