০১:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

চবিতে ৩৫১ কোটি ৮৫ টাকার বাজেট অনুমোদন, গবেষণায় অপ্রতুল বাজেট

বরাবরের মতই শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ রেখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৫১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু গবেষণা খাতে গত বছরের চেয়ে কম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে চলতি অর্থবছরে গবেষণা ও উন্নয়নকে প্রধান্য দিবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।

রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এ আর মল্লিক ভবনের সিনেট কক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে ৩২তম সিনেট সভায় এ বাজেট ঘোষণা করা হয়। এসময় বাজেট পেশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান।

এতে মোট বাজেটের বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা বাজেট ছিল ৫১৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা সমন্বয় করে ৩২৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা নীট বরাদ্দসহ এই বাজেট প্রণয়ন করা হয়। ঘাটতি বাজেট রয়েছে ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের ৩৩৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা সংশোধিত বাজেট ঘোষিত হয়।

২০২০-২১ অর্থ বছরের সর্বোচ্চ বাজেট ঘোষিত হয়েছে শিক্ষক ও কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খাতে। এতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২২২ কোটি ২০ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ৬৪.১৬ শতাংশ। তবে গবেষণা খাতে গত বছরের মাত্র ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ অপরিবর্তিত রয়েছে। যা মোট বাজেটের মাত্র ১.২১ শতাংশ। যা গতবছরের বাজেটে ১.২৪ শতাংশ ছিল।

বাজেটে প্রতি শিক্ষার্থীর পিছনে বাৎসরিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৭ টাকা। এর বিপরীতে আয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪৩৫ টাকা। বাজেটের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতের মধ্যে চিকিৎসায় ৫৬ লাখ, পরিবহন ২ কোটি ১৫ লাখ, বইপত্র, সংবাদপত্র ও সাময়িকী খাতে ৮৮ লাখ টাকা ও প্রকাশনা খাতে ১৭ লাখ টাকা বাজেট ধরা হয়েছে।

এসময় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, আগামী অর্থবছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দু’টি বিষয়কে গুরুত্বারোপ করে সকল পরিকল্পনা তৈরি করেছে। তা হচ্ছে গবেষণা ও উন্নয়ন। আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিংয়ে চবির অবস্থানকে একটি সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য গবেষণা মান ও পরিমাণ বাড়ানোর জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হচ্ছে।

এসময় বন ও পরিবেশবিদ্যা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক সিনেটর দানেশ মিয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রস্তাবনা দিয়ে বলেন শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ট্যুরিস্ট স্পটসহ হাট-বাজার সমস্ত কিছুই খোলা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা তো সেখানে গিয়েও করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। অতএব স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হোক।

জবাবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারি নির্দেশনাও রয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী দুই মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ালিটি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, কোয়ালিটির ব্যাপারে আমরা কোন সমঝোতা করি না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো র‍্যাংকিংয়ে উঠতে পারছে না, কারণ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর গবেষণা বাইরে যায় না। কিন্তু আমরা মানে উঠে দেখাব ইনশাআল্লাহ। আশা করব চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েই এটি শুরু হবে।

সিনেট অধিবেশনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এসএম মনিরুল হাসান, প্রক্টর রবিউল হাসান ভুঁইয়া, বিভিন্ন হলের প্রভোস্টসহ সিনেট সদস্যরা। এছাড়াও অনলাইনে যুক্ত হয়েছিলেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান, বাংলা একাডেমীর পরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজীসহ অন্য সিনেট সদস্যগণ।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

চবিতে ৩৫১ কোটি ৮৫ টাকার বাজেট অনুমোদন, গবেষণায় অপ্রতুল বাজেট

প্রকাশিত : ০৬:০১:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

বরাবরের মতই শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ রেখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৫১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু গবেষণা খাতে গত বছরের চেয়ে কম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে চলতি অর্থবছরে গবেষণা ও উন্নয়নকে প্রধান্য দিবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।

রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এ আর মল্লিক ভবনের সিনেট কক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে ৩২তম সিনেট সভায় এ বাজেট ঘোষণা করা হয়। এসময় বাজেট পেশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান।

এতে মোট বাজেটের বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা বাজেট ছিল ৫১৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা সমন্বয় করে ৩২৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা নীট বরাদ্দসহ এই বাজেট প্রণয়ন করা হয়। ঘাটতি বাজেট রয়েছে ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের ৩৩৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা সংশোধিত বাজেট ঘোষিত হয়।

২০২০-২১ অর্থ বছরের সর্বোচ্চ বাজেট ঘোষিত হয়েছে শিক্ষক ও কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খাতে। এতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২২২ কোটি ২০ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ৬৪.১৬ শতাংশ। তবে গবেষণা খাতে গত বছরের মাত্র ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ অপরিবর্তিত রয়েছে। যা মোট বাজেটের মাত্র ১.২১ শতাংশ। যা গতবছরের বাজেটে ১.২৪ শতাংশ ছিল।

বাজেটে প্রতি শিক্ষার্থীর পিছনে বাৎসরিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৭ টাকা। এর বিপরীতে আয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪৩৫ টাকা। বাজেটের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতের মধ্যে চিকিৎসায় ৫৬ লাখ, পরিবহন ২ কোটি ১৫ লাখ, বইপত্র, সংবাদপত্র ও সাময়িকী খাতে ৮৮ লাখ টাকা ও প্রকাশনা খাতে ১৭ লাখ টাকা বাজেট ধরা হয়েছে।

এসময় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, আগামী অর্থবছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দু’টি বিষয়কে গুরুত্বারোপ করে সকল পরিকল্পনা তৈরি করেছে। তা হচ্ছে গবেষণা ও উন্নয়ন। আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিংয়ে চবির অবস্থানকে একটি সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য গবেষণা মান ও পরিমাণ বাড়ানোর জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হচ্ছে।

এসময় বন ও পরিবেশবিদ্যা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক সিনেটর দানেশ মিয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রস্তাবনা দিয়ে বলেন শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ট্যুরিস্ট স্পটসহ হাট-বাজার সমস্ত কিছুই খোলা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা তো সেখানে গিয়েও করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। অতএব স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হোক।

জবাবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারি নির্দেশনাও রয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী দুই মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ালিটি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, কোয়ালিটির ব্যাপারে আমরা কোন সমঝোতা করি না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো র‍্যাংকিংয়ে উঠতে পারছে না, কারণ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর গবেষণা বাইরে যায় না। কিন্তু আমরা মানে উঠে দেখাব ইনশাআল্লাহ। আশা করব চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েই এটি শুরু হবে।

সিনেট অধিবেশনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এসএম মনিরুল হাসান, প্রক্টর রবিউল হাসান ভুঁইয়া, বিভিন্ন হলের প্রভোস্টসহ সিনেট সদস্যরা। এছাড়াও অনলাইনে যুক্ত হয়েছিলেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান, বাংলা একাডেমীর পরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজীসহ অন্য সিনেট সদস্যগণ।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর