হিমেল হাওয়া ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহে শীতে কাঁপছে সারাদেশ। গত ৫০ বছরের মধ্যে সোমবার দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল। এদিন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় তাপমাত্রা ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। তবে মঙ্গলবার সে তুলনায় সারা দেশেই শীতের তীব্রতা কিছুটা হলে কমেছে।সারাদেশে এখনো তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইছে। আজ সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে তেঁতুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ঢাকার তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ থেকে বেড়ে আজ ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে।
এদিকে প্রচণ্ড শীতে কুড়িগ্রামে এক সপ্তাহে বিভিন্ন রোগে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে ৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এই হাসপাতালে শীতের সময় বিভিন্ন রোগে ভর্তি হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন, সাবিহা (৪ দিন), আমেনা (৬৫), জাহানারা (৩০), খাদিজা (একদিন), মিম (দেড় বছর), এমরাত জাহান (১৫ দিন), নয়নমনি (একদিন), জিতিয়া (৬০ দিন), মিরাজ (৫ দিন), মাজেদা (এক দিন) ও শিউলী (পাঁচদিন)। শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবার পর্যন্ত ১৮০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১৮ শিশু ভর্তি হয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আনোয়ারুল হক প্রামাণিক জানান, গত এক সপ্তাহে হাসপাতালে ১১ জন রোগী মারা গেছে। এদের মধ্যে দুজন বয়স্ক, তাদের হার্টের ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল। বাকীরা শিশু। লোবাকোয়েট, নিউমেনিয়া ও জন্মের সময় নানান সমস্যার কারণে মারা গেছে।
























