১১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লক্ষ্মীপুরে বর্তমানে আতংকের অপর নাম কিশোর গ্যাং

সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরও নেই প্রশাসনের তৎপরতা! আটক হচ্ছে না কিশোর গ্যাং
লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন পয়েন্টে ৪-৫ জনের গ্রুপ কিশোর গ্যাং বেপরোয়া বাড়ছে অপরাধের চিত্র। এমন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরেও নেই প্রশাসনের তৎপরতা! আটক হচ্ছে না কিশোর গ্যাং। বিপথগামিতার পথে চলে যাচ্ছে কিশোররা।

লক্ষ্মীপুর ও জেলার অন্যান স্থানে খুনখারাপি, ধর্ষণ মাদক সেবন মাদক বেচাকিনা ও সন্ত্রাসী কিশোর-যুবকদের সংঘবদ্ধ অপতৎপরতার খবর জাতীয় দৈনিক আজকের বিজনেস বাংলাদেশ এ প্রকাশিত হয়েছে । কিশোর গ্যাং এখন আতঙ্কের অপর নাম। আত্মঘাতমূলক ঝোঁক এখন উঠতি বয়সী কিশোর-যুবকদের গ্রাস করেছে। কেন এমন হচ্ছে? তাদের সামনে কি ভালো স্বপ্ন এবং ভালো দিন নেই? উন্নতির আকাঙ্খা নেই? কল্যানমূলক অভিভাবক নেই?

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এখন থেকে সমাজে এই ধরনের গ্যাং কে আইনের আওতাধীন না আনলে দিন দিন সমাজে অপরাধের মাএা বাড়তে থাকবে. তখন অসম্ভব হয়ে পড়বে এদের ঠেকানো।এ কিশোর গ্যাং গুলো সংগঠিত হওয়া স্থান গুলো তুলে ধরা হলো। কলেজ রোড়. সামাদ মোড়.সদর হাসপাতালে সামনে
ইমবুলেন্স এর নবাগত কিশোর ড্রাইভার গ্যাং. ইষ্টেডিয়াম রোড়, মজুপুর, উত্তর তেমুহনী কালী
বাজার রোড, মিয়া রাস্তা তিন রাস্তার মোড়. আয়ুব আলী পোল এলাকা.বিসিক বাগবাড়ী এলাকা.জেলা
এল. জি. ই. ডি. এলাকাসহ শহরে বিভিন্ন জায়গা গুলোতে কিশোর গ্যাং বেপরোয়া। নিজেরা নিজেদেরকে এবং একই সাথে পরিবার, সমাজ ও দেশের ভবিষ্যতকে ধ্বংস করছে। আইনকানুন, ধর্মীয় মূল্যবোধ, নীতি-নৈতিকতা ও মানবিকতার বাইরে এদের বসবাস। বিকৃত তারুণ্যের উচ্ছাস নষ্টামির আকারে উৎকট রূপে মুর্তমান হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ওদের সংঘবদ্ধ অপতৎপরতার ফলে কিশোর গ্যাং জনজীবনকে বিপন্ন করছে।

কিশোর-তরুণরা এখন সন্ধ্যা হলেই ঘরমুখী হয় না। ছাত্র হলেও পড়ার টেবিলে বসে না। রাস্তার মোড়ে
মোড়ে ওদের আড্ডা। আড্ডা শেষে খুব রাত করেই ওদের ঘরে ফেরা হয়। রাতের খাবারের পর আবার
রাতভর বন্ধুদের সাথে মোবাইল চলে তাদের আড্ডা। অনেক সময় সন্তানের উপর মা-বাবার নিয়ন্ত্রণও থাকে না। সন্তানের অস্বাভাবিক চলাফেরা নিয়ে তাকে কিছু করার ক্ষমতাও অনেক অভিভাবকের । আবার অনেক মাতা-পিতা সন্তানের এসব আচরণকে তারুণ্যের স্বাভাবিক উচ্ছলতা বলে উপভোগ করেন বা এড়িয়ে যায়। কিন্তু এতে পরিবার, সমাজ এর ভয়াবহ ক্ষতি হচ্ছে, সেটা ভেবে দেখেন না অভিভাবকরা।

এসব কিশোর রা অনেকেই অভ্যস্থ বিভিন্ন রকম নেশা দ্রব্যে। পিতামাতার অজান্তে উঠতি বয়সে প্রথমে
সিগারোট তারপর ধীরে ধীরে নেশার জগতে পা ফেলা।ধীরে ধীরে মাদক গ্রহণ করে। এতে করে অভ্যস্থ
হয়ে পড়ে নেশাই। ইয়াবা ওদের এখন নতুন ক্রেজ। সেবন করে করে কালক্রমে পাকা হয়ে অনেকেই
আবার এসবের ব্যবসায়ও জড়িয়ে পড়ে। আর এভাবেই প্রতিনিয়ত আশংকাজনক হারে বাড়ে নেশাদ্রব্য
সেবনকারি এবং তাদের সংখ্যা।

চিন্তার বিষয় হলো, আজকাল বহু অভিভাবক সন্তানকে চাহিবামাত্র টাকা দেন। কিন্তু খরচের হিসাব নেন
না। কিছু যুবক ছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে একক পরিবারের পিতা-মাতার অবৈধ আয়ের অঢেল বিত্তে বেড়ে
ওঠা সন্তানেরাই বিপথগামি হয় বর্তমানে বেশী। এ কিশোর এরাই সহজেই নেশার বা অপরাধ বা
অনিয়মের পথে পা বাড়ায়। পার্ক এবং নদীর পাড়ে ডেটিংয়ের নামে তরুণ তরুণীদের অবাধ চলাফেরা
সব আয়োজন যেমন আছে। এতে করে সুযোগ নিচ্ছে অসাধু চক্র নানাভাবে সহযোগীতা দিচ্ছে তরুণ-
যুবকদের।

নানা লক্ষ্যে উপলেক্ষ্যে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা উপস্থিতির মধ্যে অনেক অপরাধ ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।
অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বড় ভাইয়েরা সুযোগ নিয়ে তরুণদের আরো বেপরোয়া করে তুলেছে।
রাজনীতির মাঠে অনেক খারাপ মনোবৃত্তিসম্পন্ন অসৎ লোকও আছেন, যারা কিশোর-যুবকদের
বিপথগামী করেন। কিশোর-যুবকদের ক্ষমতা ও পদের মোহে উন্মত্ত করে তাদের দিয়ে অনেক অপকর্ম
করিয়ে নেয়। অপরাজনীতিক নেতারা।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম সালাহ্ উদ্দিন টিপু বলেন
শিক্ষা প্রতিষ্টান গুলো দির্ঘদিন বন্ধ থাকার কারনে লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন পাড়া মহল্লা এবং রাস্তার মোড়ে
মোড়ে এই কিশোর গ্যাং গুলো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে. গত কিছু দিন আগে আজকের বিজনেস বাংলাদেশ পত্রিকায় নিউজ প্রকাশ হওয়ার পর তিনি শহরে কালিবাজার রোড মজুপুর এলাকা ইষ্টেডিয়াম রোড়ে অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং এর অনেক ছেলে তাদের গার্ডিয়ানদের কাছে নিয়ে সর্তক করে এবং
তাদের বেপরোয়া হতে বাধা দিত তাদের আচরণে বিনয়ী, সৎ এবং সুশৃংখল থাকতে সাহায্য করা কথা
বলে তাদের পরিবারকে। বিপজ্জনক পথে চলে যাচ্ছে, কিশোর গ্যাং নামের বেপরোয়া প্রজন্ম বতমান উঠতি বয়সী কিশোররা।

বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

লক্ষ্মীপুরে বর্তমানে আতংকের অপর নাম কিশোর গ্যাং

প্রকাশিত : ০৫:১৪:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২০

সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরও নেই প্রশাসনের তৎপরতা! আটক হচ্ছে না কিশোর গ্যাং
লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন পয়েন্টে ৪-৫ জনের গ্রুপ কিশোর গ্যাং বেপরোয়া বাড়ছে অপরাধের চিত্র। এমন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরেও নেই প্রশাসনের তৎপরতা! আটক হচ্ছে না কিশোর গ্যাং। বিপথগামিতার পথে চলে যাচ্ছে কিশোররা।

লক্ষ্মীপুর ও জেলার অন্যান স্থানে খুনখারাপি, ধর্ষণ মাদক সেবন মাদক বেচাকিনা ও সন্ত্রাসী কিশোর-যুবকদের সংঘবদ্ধ অপতৎপরতার খবর জাতীয় দৈনিক আজকের বিজনেস বাংলাদেশ এ প্রকাশিত হয়েছে । কিশোর গ্যাং এখন আতঙ্কের অপর নাম। আত্মঘাতমূলক ঝোঁক এখন উঠতি বয়সী কিশোর-যুবকদের গ্রাস করেছে। কেন এমন হচ্ছে? তাদের সামনে কি ভালো স্বপ্ন এবং ভালো দিন নেই? উন্নতির আকাঙ্খা নেই? কল্যানমূলক অভিভাবক নেই?

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এখন থেকে সমাজে এই ধরনের গ্যাং কে আইনের আওতাধীন না আনলে দিন দিন সমাজে অপরাধের মাএা বাড়তে থাকবে. তখন অসম্ভব হয়ে পড়বে এদের ঠেকানো।এ কিশোর গ্যাং গুলো সংগঠিত হওয়া স্থান গুলো তুলে ধরা হলো। কলেজ রোড়. সামাদ মোড়.সদর হাসপাতালে সামনে
ইমবুলেন্স এর নবাগত কিশোর ড্রাইভার গ্যাং. ইষ্টেডিয়াম রোড়, মজুপুর, উত্তর তেমুহনী কালী
বাজার রোড, মিয়া রাস্তা তিন রাস্তার মোড়. আয়ুব আলী পোল এলাকা.বিসিক বাগবাড়ী এলাকা.জেলা
এল. জি. ই. ডি. এলাকাসহ শহরে বিভিন্ন জায়গা গুলোতে কিশোর গ্যাং বেপরোয়া। নিজেরা নিজেদেরকে এবং একই সাথে পরিবার, সমাজ ও দেশের ভবিষ্যতকে ধ্বংস করছে। আইনকানুন, ধর্মীয় মূল্যবোধ, নীতি-নৈতিকতা ও মানবিকতার বাইরে এদের বসবাস। বিকৃত তারুণ্যের উচ্ছাস নষ্টামির আকারে উৎকট রূপে মুর্তমান হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ওদের সংঘবদ্ধ অপতৎপরতার ফলে কিশোর গ্যাং জনজীবনকে বিপন্ন করছে।

কিশোর-তরুণরা এখন সন্ধ্যা হলেই ঘরমুখী হয় না। ছাত্র হলেও পড়ার টেবিলে বসে না। রাস্তার মোড়ে
মোড়ে ওদের আড্ডা। আড্ডা শেষে খুব রাত করেই ওদের ঘরে ফেরা হয়। রাতের খাবারের পর আবার
রাতভর বন্ধুদের সাথে মোবাইল চলে তাদের আড্ডা। অনেক সময় সন্তানের উপর মা-বাবার নিয়ন্ত্রণও থাকে না। সন্তানের অস্বাভাবিক চলাফেরা নিয়ে তাকে কিছু করার ক্ষমতাও অনেক অভিভাবকের । আবার অনেক মাতা-পিতা সন্তানের এসব আচরণকে তারুণ্যের স্বাভাবিক উচ্ছলতা বলে উপভোগ করেন বা এড়িয়ে যায়। কিন্তু এতে পরিবার, সমাজ এর ভয়াবহ ক্ষতি হচ্ছে, সেটা ভেবে দেখেন না অভিভাবকরা।

এসব কিশোর রা অনেকেই অভ্যস্থ বিভিন্ন রকম নেশা দ্রব্যে। পিতামাতার অজান্তে উঠতি বয়সে প্রথমে
সিগারোট তারপর ধীরে ধীরে নেশার জগতে পা ফেলা।ধীরে ধীরে মাদক গ্রহণ করে। এতে করে অভ্যস্থ
হয়ে পড়ে নেশাই। ইয়াবা ওদের এখন নতুন ক্রেজ। সেবন করে করে কালক্রমে পাকা হয়ে অনেকেই
আবার এসবের ব্যবসায়ও জড়িয়ে পড়ে। আর এভাবেই প্রতিনিয়ত আশংকাজনক হারে বাড়ে নেশাদ্রব্য
সেবনকারি এবং তাদের সংখ্যা।

চিন্তার বিষয় হলো, আজকাল বহু অভিভাবক সন্তানকে চাহিবামাত্র টাকা দেন। কিন্তু খরচের হিসাব নেন
না। কিছু যুবক ছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে একক পরিবারের পিতা-মাতার অবৈধ আয়ের অঢেল বিত্তে বেড়ে
ওঠা সন্তানেরাই বিপথগামি হয় বর্তমানে বেশী। এ কিশোর এরাই সহজেই নেশার বা অপরাধ বা
অনিয়মের পথে পা বাড়ায়। পার্ক এবং নদীর পাড়ে ডেটিংয়ের নামে তরুণ তরুণীদের অবাধ চলাফেরা
সব আয়োজন যেমন আছে। এতে করে সুযোগ নিচ্ছে অসাধু চক্র নানাভাবে সহযোগীতা দিচ্ছে তরুণ-
যুবকদের।

নানা লক্ষ্যে উপলেক্ষ্যে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা উপস্থিতির মধ্যে অনেক অপরাধ ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।
অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বড় ভাইয়েরা সুযোগ নিয়ে তরুণদের আরো বেপরোয়া করে তুলেছে।
রাজনীতির মাঠে অনেক খারাপ মনোবৃত্তিসম্পন্ন অসৎ লোকও আছেন, যারা কিশোর-যুবকদের
বিপথগামী করেন। কিশোর-যুবকদের ক্ষমতা ও পদের মোহে উন্মত্ত করে তাদের দিয়ে অনেক অপকর্ম
করিয়ে নেয়। অপরাজনীতিক নেতারা।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম সালাহ্ উদ্দিন টিপু বলেন
শিক্ষা প্রতিষ্টান গুলো দির্ঘদিন বন্ধ থাকার কারনে লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন পাড়া মহল্লা এবং রাস্তার মোড়ে
মোড়ে এই কিশোর গ্যাং গুলো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে. গত কিছু দিন আগে আজকের বিজনেস বাংলাদেশ পত্রিকায় নিউজ প্রকাশ হওয়ার পর তিনি শহরে কালিবাজার রোড মজুপুর এলাকা ইষ্টেডিয়াম রোড়ে অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং এর অনেক ছেলে তাদের গার্ডিয়ানদের কাছে নিয়ে সর্তক করে এবং
তাদের বেপরোয়া হতে বাধা দিত তাদের আচরণে বিনয়ী, সৎ এবং সুশৃংখল থাকতে সাহায্য করা কথা
বলে তাদের পরিবারকে। বিপজ্জনক পথে চলে যাচ্ছে, কিশোর গ্যাং নামের বেপরোয়া প্রজন্ম বতমান উঠতি বয়সী কিশোররা।

বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত