১০:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

তরুণদের বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন পরিদর্শনের আহবান

জাতির পিতাকে এবং বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস জানতে তরূণদের বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন পরিদর্শনের আহবান জানিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর)মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সংসদ ভবনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন পরিদর্শনকালে তিনি এ আহবান জানান।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের জন্য গৌরবের, এই ভাষণের মধ্য দিয়েই মহান স্বাধীনতার স্থপতি মুক্তি সংগ্রামের প্রয়োজনীয়তা ও ইতিহাস তুলে ধরেছিলেন। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ আয়োজিত এই বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নে রয়েছে রাজনীতির মহান কবির সংগ্রামী জীবনের প্রতিচ্ছবি।

তিনি বলেন, জাতি ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস হিসেবে উদযাপন করে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু এর আগেই ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমেই মূলত স্বাধীনতার ঘোষণা দেন তিনি। আর স্বাধীনতার বীজ রোপণ করা হয় ১৯৪৮ সালে, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪ এর যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ৬ দফা, আগরতলা মামলা ও ৭০ এর নির্বাচনসহ সকল ধাপই স্বাধীনতা সংগ্রামের অংশ।

ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘একজন মানুষ হিসেবে আমি গোটা মানবজাতি নিয়েই চিন্তিত। একজন বাঙালি হিসেবে বাঙালিদের সাথে সম্পৃক্ত সবকিছুই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। আমার এই নিরন্তর সম্পৃক্ততার পেছনে রয়েছে ভালবাসা, অক্ষয় ভালবাসা, এই ভালবাসা আমার রাজনীতি ও অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।” রাজনীতির মহান কবির অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে নেয়া এই উক্তিটির উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু একটি নাম নয় তিনি একটি প্রতিষ্ঠান। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা প্রতিটি ব্যক্তির পড়া উচিৎ।

ডেপুটি স্পিকার আরো বলেন, এই প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন না করলে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের অনেক কিছুই জানা হতো না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রতিফলন এত সুন্দরভাবে তুলে ধরার জন্য স্পিকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। পরিদর্শনকালে সংসদ সচিবালয়, সংসদ টেলিভিশন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত

জনপ্রিয়

বিল্ডিং এ ডিজাবিলিটি ইনক্লুসিভ ওয়ার্কফোর্স শীর্ষক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

তরুণদের বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন পরিদর্শনের আহবান

প্রকাশিত : ০৮:৪২:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০২০

জাতির পিতাকে এবং বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস জানতে তরূণদের বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন পরিদর্শনের আহবান জানিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর)মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সংসদ ভবনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন পরিদর্শনকালে তিনি এ আহবান জানান।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের জন্য গৌরবের, এই ভাষণের মধ্য দিয়েই মহান স্বাধীনতার স্থপতি মুক্তি সংগ্রামের প্রয়োজনীয়তা ও ইতিহাস তুলে ধরেছিলেন। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ আয়োজিত এই বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নে রয়েছে রাজনীতির মহান কবির সংগ্রামী জীবনের প্রতিচ্ছবি।

তিনি বলেন, জাতি ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস হিসেবে উদযাপন করে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু এর আগেই ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমেই মূলত স্বাধীনতার ঘোষণা দেন তিনি। আর স্বাধীনতার বীজ রোপণ করা হয় ১৯৪৮ সালে, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪ এর যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ৬ দফা, আগরতলা মামলা ও ৭০ এর নির্বাচনসহ সকল ধাপই স্বাধীনতা সংগ্রামের অংশ।

ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘একজন মানুষ হিসেবে আমি গোটা মানবজাতি নিয়েই চিন্তিত। একজন বাঙালি হিসেবে বাঙালিদের সাথে সম্পৃক্ত সবকিছুই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। আমার এই নিরন্তর সম্পৃক্ততার পেছনে রয়েছে ভালবাসা, অক্ষয় ভালবাসা, এই ভালবাসা আমার রাজনীতি ও অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।” রাজনীতির মহান কবির অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে নেয়া এই উক্তিটির উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু একটি নাম নয় তিনি একটি প্রতিষ্ঠান। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা প্রতিটি ব্যক্তির পড়া উচিৎ।

ডেপুটি স্পিকার আরো বলেন, এই প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন না করলে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের অনেক কিছুই জানা হতো না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রতিফলন এত সুন্দরভাবে তুলে ধরার জন্য স্পিকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। পরিদর্শনকালে সংসদ সচিবালয়, সংসদ টেলিভিশন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত