০৩:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

যা ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করবে

ক্যানসার একটি মরণব্যাধি। এই রোগ থেকে প্রথম পর্যায়ে চিকিৎসা নিলে অনেকটাই মুক্তি পাওয়ার সম্ভবনা থাকে। তবে যেকোনো রোগেই প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। আর ক্যানসারের বেলাতেও প্রতিরোধ গুরুত্বপূর্ণ। ক্যানসার প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা।

যা ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করবে সে বিষয়ে কিছুগুলো জেনে নেয়া যাক।

স্বাস্থ্যকর খাবার: ক্যানসার প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ক্যামিক্যালমুক্ত হলুদ ফলমূল ও রঙিন শাকসবজি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখতে হবে।

ফাস্টফুড এড়িয়ে চলা: ফাস্টফুডে ট্রান্সফ্যাট থাকে। বিভিন্ন ক্যামিক্যালের সংস্পর্শে আসে বলে এতে ক্ষতিকর এরোমেটিক হাইড্রোকার্বন তৈরি হয়। এটি স্বাভাবিক ডিএনএ- এর গঠনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এতে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই ফাস্টফুডকে এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম।

অস্বাস্থ্যকর রঙিন খাবার: অনেক সময় খাদ্য ব্যবসায়ীরা লাভবান হওয়ার জন্য খাবারে ফুড কালার না ব্যবহার করে টেক্সটাইল কালার ব্যবহার করে। এ ধরনের খাবারের মধ্যে রয়েছে আইসক্রিম, চকলেট, মিষ্টি, লাড্ডু, বাইরের খোলা চটকদার খাবার, রঙিন খাবার ইত্যাদি। এগুলো ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

স্থূলতা: অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারণে স্থূলতা হয়। এতে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি অনেকগুণ বেড়ে যায়। খাদ্যনালীর ক্যানসার, লিভার ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

পরিবেশ দূষণ: পরিবেশ দূষণ থেকেও ফুসফুসের ক্যানসার, ত্বকের ক্যানসার, হাড়ের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, গাড়ির কালো ধোঁয়া নিঃসরণকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে, বনায়নের পরিমাণ বাড়াতে হবে এবং যতটুকু সম্ভব দূষিত এলাকা থেকে দূরে থাকতে হবে।

এ ছাড়া অতিরিক্ত রেডিয়েশনও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। অনেকে অযথাই এক্সরে করে। অতিরিক্ত এক্সরে করার জন্য জিনগত বিবর্তন ঘটে। এতে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।

নিয়মিত হাঁটা: ক্যানসার প্রতিরোধ করতে নিয়মিত হাঁটতে হবে বা ব্যায়াম করতে হবে। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, অসুখ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।

ক্যানসার প্রতিরোধে ভ্যাক্সিন: কিছু কিছু ক্যানসার প্রতিরোধে এখন বাজারে ভ্যাক্সিন রয়েছে। যেমন, জরায়ুর ক্যানসার বা লিভার ক্যানসার। তাই ক্যানসার প্রতিরোধে ভ্যাক্সিনও ব্যবহার করতে পারেন।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে আপিল শুনানি চলছে

যা ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করবে

প্রকাশিত : ১২:১৮:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

ক্যানসার একটি মরণব্যাধি। এই রোগ থেকে প্রথম পর্যায়ে চিকিৎসা নিলে অনেকটাই মুক্তি পাওয়ার সম্ভবনা থাকে। তবে যেকোনো রোগেই প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। আর ক্যানসারের বেলাতেও প্রতিরোধ গুরুত্বপূর্ণ। ক্যানসার প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা।

যা ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করবে সে বিষয়ে কিছুগুলো জেনে নেয়া যাক।

স্বাস্থ্যকর খাবার: ক্যানসার প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ক্যামিক্যালমুক্ত হলুদ ফলমূল ও রঙিন শাকসবজি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখতে হবে।

ফাস্টফুড এড়িয়ে চলা: ফাস্টফুডে ট্রান্সফ্যাট থাকে। বিভিন্ন ক্যামিক্যালের সংস্পর্শে আসে বলে এতে ক্ষতিকর এরোমেটিক হাইড্রোকার্বন তৈরি হয়। এটি স্বাভাবিক ডিএনএ- এর গঠনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এতে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই ফাস্টফুডকে এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম।

অস্বাস্থ্যকর রঙিন খাবার: অনেক সময় খাদ্য ব্যবসায়ীরা লাভবান হওয়ার জন্য খাবারে ফুড কালার না ব্যবহার করে টেক্সটাইল কালার ব্যবহার করে। এ ধরনের খাবারের মধ্যে রয়েছে আইসক্রিম, চকলেট, মিষ্টি, লাড্ডু, বাইরের খোলা চটকদার খাবার, রঙিন খাবার ইত্যাদি। এগুলো ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

স্থূলতা: অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারণে স্থূলতা হয়। এতে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি অনেকগুণ বেড়ে যায়। খাদ্যনালীর ক্যানসার, লিভার ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

পরিবেশ দূষণ: পরিবেশ দূষণ থেকেও ফুসফুসের ক্যানসার, ত্বকের ক্যানসার, হাড়ের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, গাড়ির কালো ধোঁয়া নিঃসরণকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে, বনায়নের পরিমাণ বাড়াতে হবে এবং যতটুকু সম্ভব দূষিত এলাকা থেকে দূরে থাকতে হবে।

এ ছাড়া অতিরিক্ত রেডিয়েশনও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। অনেকে অযথাই এক্সরে করে। অতিরিক্ত এক্সরে করার জন্য জিনগত বিবর্তন ঘটে। এতে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।

নিয়মিত হাঁটা: ক্যানসার প্রতিরোধ করতে নিয়মিত হাঁটতে হবে বা ব্যায়াম করতে হবে। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, অসুখ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।

ক্যানসার প্রতিরোধে ভ্যাক্সিন: কিছু কিছু ক্যানসার প্রতিরোধে এখন বাজারে ভ্যাক্সিন রয়েছে। যেমন, জরায়ুর ক্যানসার বা লিভার ক্যানসার। তাই ক্যানসার প্রতিরোধে ভ্যাক্সিনও ব্যবহার করতে পারেন।