১০:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ব্রাজিল কোপার ফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছে

নেইমার

ইউরো ও কোপা আমেরিকা এবার একসঙ্গে হওয়ায় কোপার উত্তেজনাটা তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। খুব ভোরে খেলা হওয়ায় খেলা দেখার সময়টাও আমাদের জন্য আদর্শ নয়।

তবু ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ম্যাচগুলো না দেখলে আফসোসই হয়। সরাসরি না দেখতে পারলেও দেখা হয় হাইলাইটস। আজ রাতে ইউরোর খেলা নেই। নিশ্চিতভাবেই আগামীকাল ভোরে ব্রাজিলের ম্যাচের দিকেই এখন সবার চোখ।

আমার বিশ্বাস, এবার কোপার ফাইনালে খেলবে ব্রাজিল। অন্য সেমিফাইনাল জিতে আসবে ফাইনালে তাদের সঙ্গী হবে আর্জেন্টিনা।

কাল ভোরে প্রথম সেমিফাইনালে পেরুর বিপক্ষে খেলবে ব্রাজিল। প্রতিপক্ষ যেহেতু পেরু, ব্রাজিল ফাইনালে চলে গেছে, তা ধরে নেওয়াই যায়। আমি ব্রাজিলের জয়ের সম্ভাবনা দেখছি ৭০ থেকে ৮০ ভাগ।

পেরুকে আমি ছোট করে দেখছি না। আমি ভবিষ্যদ্বাণীটা করছি গ্রুপ পর্বের কথা চিন্তা করেই। গ্রুপ পর্বে ব্রাজিল ৪–০ গোলে হারিয়েছিল পেরুকে। সেমিতে তাই ব্রাজিল অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী থাকবে। ব্রাজিলের সবচেয়ে ভালো দিক দলীয় ঐক্য। নেইমার দারুণ খেলছে, কিন্তু অন্যরাও তাঁকে দারুণ সহায়তা করে যাচ্ছে।

ব্রাজিলের দলগত শক্তিটা বোঝা যাবে কোয়ার্টার ফাইনালটি দেখলে। চিলির বিপক্ষে গোটা দ্বিতীয়ার্ধটাই তো তারা ১০ জন নিয়ে খেলল। চিলির মতো দলের বিপক্ষে একজন কম নিয়ে খেলাটা মোটেও সহজ কিছু নয়। এটাই ব্রাজিলের দলগত শক্তি। দলগতভাবে তারা একজনের ঘাটতি পুষিয়ে দিয়েছে।

আর্জেন্টিনা যেমন পুরোপুরি লিওনেল মেসিনির্ভর দল, নেইমার থাকলেও ব্রাজিল তা নয়। তবে বলতেই হবে নেইমারই এ দলের মূল শক্তি। এখন পর্যন্ত দুই গোল করার পাশাপাশি গোল করিয়েছেন দুটি।

তিনি মাঠে থাকলে প্রতিপক্ষ ভয়ে থাকে। তাঁকে নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হয় প্রতিপক্ষ রক্ষণভাগকে। ইকুয়েডরের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচটিতে নেইমারকে খেলানো হয়নি। টুর্নামেন্টে সে ম্যাচটিই কেবল জিততে পারেনি ব্রাজিল। ম্যাচটি ছিল ১-১ গোলে ড্র।
ব্রাজিল আগে যে ‘জোগো বনিতো’ খেলত, সেটি না থাকলেও কার্যকর ফুটবল খেলছে তারা। বর্তমান দলে আগের মতো খুব সৃষ্টিশীল মিডফিল্ডার নেই। এখনকার কোচরা আসলে লড়াকু মিডফিল্ডার পছন্দ করেন। যারা পুরো ম্যাচ দৌড়াতে পারবে। প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নিতে পারবে। সে জন্য আগের মতো কোনো দলে কিন্তু সৃষ্টিশীল মিডফিল্ডার বলতে যা বোঝায়, সেটি দেখা যায় না।

আগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ায় পেরুর বিপক্ষে খেলা হচ্ছে না গ্র্যাব্রিয়েল জেসুসের। এতে ব্রাজিলের শক্তি কমবে বলে মনে হয় না।

তিতের সাইড বেঞ্চ অনেক শক্তিশালী। কোয়ার্টার ফাইনালে চিলির বিপক্ষে একমাত্র গোলটি এসেছে বদলি খেলোয়াড় লুকাস পাকেতার পা থেকে। নেইমার ছাড়াও দলে ম্যাচ জেতানোর মতো অনেক খেলোয়াড় আছে।

আমি তো মনে করি ব্রাজিল কোপার ফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

ব্রাজিল কোপার ফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছে

প্রকাশিত : ০৮:২৪:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুলাই ২০২১

ইউরো ও কোপা আমেরিকা এবার একসঙ্গে হওয়ায় কোপার উত্তেজনাটা তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। খুব ভোরে খেলা হওয়ায় খেলা দেখার সময়টাও আমাদের জন্য আদর্শ নয়।

তবু ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ম্যাচগুলো না দেখলে আফসোসই হয়। সরাসরি না দেখতে পারলেও দেখা হয় হাইলাইটস। আজ রাতে ইউরোর খেলা নেই। নিশ্চিতভাবেই আগামীকাল ভোরে ব্রাজিলের ম্যাচের দিকেই এখন সবার চোখ।

আমার বিশ্বাস, এবার কোপার ফাইনালে খেলবে ব্রাজিল। অন্য সেমিফাইনাল জিতে আসবে ফাইনালে তাদের সঙ্গী হবে আর্জেন্টিনা।

কাল ভোরে প্রথম সেমিফাইনালে পেরুর বিপক্ষে খেলবে ব্রাজিল। প্রতিপক্ষ যেহেতু পেরু, ব্রাজিল ফাইনালে চলে গেছে, তা ধরে নেওয়াই যায়। আমি ব্রাজিলের জয়ের সম্ভাবনা দেখছি ৭০ থেকে ৮০ ভাগ।

পেরুকে আমি ছোট করে দেখছি না। আমি ভবিষ্যদ্বাণীটা করছি গ্রুপ পর্বের কথা চিন্তা করেই। গ্রুপ পর্বে ব্রাজিল ৪–০ গোলে হারিয়েছিল পেরুকে। সেমিতে তাই ব্রাজিল অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী থাকবে। ব্রাজিলের সবচেয়ে ভালো দিক দলীয় ঐক্য। নেইমার দারুণ খেলছে, কিন্তু অন্যরাও তাঁকে দারুণ সহায়তা করে যাচ্ছে।

ব্রাজিলের দলগত শক্তিটা বোঝা যাবে কোয়ার্টার ফাইনালটি দেখলে। চিলির বিপক্ষে গোটা দ্বিতীয়ার্ধটাই তো তারা ১০ জন নিয়ে খেলল। চিলির মতো দলের বিপক্ষে একজন কম নিয়ে খেলাটা মোটেও সহজ কিছু নয়। এটাই ব্রাজিলের দলগত শক্তি। দলগতভাবে তারা একজনের ঘাটতি পুষিয়ে দিয়েছে।

আর্জেন্টিনা যেমন পুরোপুরি লিওনেল মেসিনির্ভর দল, নেইমার থাকলেও ব্রাজিল তা নয়। তবে বলতেই হবে নেইমারই এ দলের মূল শক্তি। এখন পর্যন্ত দুই গোল করার পাশাপাশি গোল করিয়েছেন দুটি।

তিনি মাঠে থাকলে প্রতিপক্ষ ভয়ে থাকে। তাঁকে নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হয় প্রতিপক্ষ রক্ষণভাগকে। ইকুয়েডরের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচটিতে নেইমারকে খেলানো হয়নি। টুর্নামেন্টে সে ম্যাচটিই কেবল জিততে পারেনি ব্রাজিল। ম্যাচটি ছিল ১-১ গোলে ড্র।
ব্রাজিল আগে যে ‘জোগো বনিতো’ খেলত, সেটি না থাকলেও কার্যকর ফুটবল খেলছে তারা। বর্তমান দলে আগের মতো খুব সৃষ্টিশীল মিডফিল্ডার নেই। এখনকার কোচরা আসলে লড়াকু মিডফিল্ডার পছন্দ করেন। যারা পুরো ম্যাচ দৌড়াতে পারবে। প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নিতে পারবে। সে জন্য আগের মতো কোনো দলে কিন্তু সৃষ্টিশীল মিডফিল্ডার বলতে যা বোঝায়, সেটি দেখা যায় না।

আগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ায় পেরুর বিপক্ষে খেলা হচ্ছে না গ্র্যাব্রিয়েল জেসুসের। এতে ব্রাজিলের শক্তি কমবে বলে মনে হয় না।

তিতের সাইড বেঞ্চ অনেক শক্তিশালী। কোয়ার্টার ফাইনালে চিলির বিপক্ষে একমাত্র গোলটি এসেছে বদলি খেলোয়াড় লুকাস পাকেতার পা থেকে। নেইমার ছাড়াও দলে ম্যাচ জেতানোর মতো অনেক খেলোয়াড় আছে।

আমি তো মনে করি ব্রাজিল কোপার ফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ