০৫:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

মানবতার অনন্য নজির গড়লেন ইউএনও খালেদা খাতুন

করোনায় মৃত নারীর গোসলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. খালেদা খাতুন (বাঁ থেকে প্রথম)। শুক্রবার রাতে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার উজিয়ালখান গ্রামে ।ছবি: মো: কামরুল খানের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে

করোনায় মৃত নারীকে যখন পরিবারের কেউ দাফনের জন্য গোসল করাতে সাহস পাচ্ছিল না তখন এই কাজে এগিয়ে এসে মানবতার অনন্য নজরি গড়লেন পিরোজপুরের কাউখালি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. খালেদা খাতুন রেখা। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় প্রশংসায় ভাসছেন এই ইউএনও। এর আগেও নানা মানবিক কাজে এগিয়ে আসায় প্রশংসিত হয়েছেন খালেদা খাতুন।

জানা গেছে, রেখা সুলতানা (৪৮) নামের এক নারী করোনায় সংক্রমিত হয়ে শুক্রবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। লাশ বাড়িতে নেওয়ার পর গোসলের জন্য পরিচিত ব্যক্তিরা কেউ এগিয়ে আসেনি। বিকেল গড়িয়ে রাত হয়ে যায়। গোসল না হওয়ায় দাফন পিছিয়ে যাচ্ছিল। খবর শুনে রাত আটটার দিকে ওই নারীর বাড়িতে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. খালেদা খাতুন। তিনি গোসল করান। তাঁকে দেখে মাহফুজা মিলি ও শামীমা আক্তার নামে প্রতিবেশী দুই নারীও এগিয়ে আসেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে জানাজা শেষে রেখার লাশ দাফন করা হয়। মৃত রেখা সুলতানা পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার উজিয়ালখান গ্রামের সোলায়মান হোসেনের স্ত্রী। সোলায়মান হোসেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সুপারভাইজার। এই দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার করোনার উপসর্গ নিয়ে রেখা সুলতানা কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। পরদিন বৃহস্পতিবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনা শনাক্ত হয়। শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এরপর পরিবারের লোকজন তাঁর লাশ বাড়িতে নিয়ে যান। লাশের গোসলের জন্য কোনো নারীকে পাওয়া যাচ্ছিল না। করোনায় মৃত্যু হয়েছে শুনে কেউ লাশের কাছে যাচ্ছিলেন না। রাত আটটা পর্যন্ত লাশ বাড়ির উঠানে ছিল। পরে ইউএনও মোসা. খালেদা খাতুন মৃত নারীর বাড়িতে গিয়ে গোসল করান।

মৃত রেখা সুলতানার স্বামী সোলায়মান হোসেন বলেন, ‘আমার স্ত্রী করোনায় মারা যাওয়ার খবর শুনে ভয়ে তাঁর লাশের গোসল করাতে কেউ আসেনি। রাতে ইউএনও মহোদয় এসে গোসল করালেন। আমি তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ।’ এ প্রসঙ্গে কাউখালী ইউএনও মোসা. খালেদা খাতুন বলেন, ‘আমি খবর পেলাম, করোনায় মৃত এক নারীর লাশের গোসল করানোর জন্য কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। তখন আমি মৃত নারীর বাড়িতে গিয়ে গোসলের উদ্যোগ নিই। একজন মানুষ হিসেবে এ কাজ করেছি। জনগণের সেবা করার পাশাপাশি দুঃসময় ও সংকটে তাদের পাশে দাঁড়ানো ইউএনও হিসেবে আমার দায়িত্ব।’

এটাই তাঁর জীবনের প্রথম কোনো মৃত নারীকে গোসল করানোর কাজে অংশ নেওয়ার ঘটনা বলে জানিয়েছেন খালেদা খাতুন। অভিজ্ঞতা না থাকলেও শিখে নেন লাশ গোসলের নিয়মকানুন। সুরক্ষা সামগ্রী (গাউন, হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক, ক্যাপ ও বুটজুতা) পরে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দুই নারীর সহযোগিতায় গোসল ও কাপনের কাপড় পরানোর কজ সম্পন্ন করা হয়।

এই ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা খাতুন রেখাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দেশের সর্বস্তরের মানুষ। করোনায় মৃত নারীর লাশ গোসল করানোর সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এই ঘটনা নিয়ে দুই স্বেচ্ছাসেবীর প্রসংশা করে শনিবার বিকেলে ইউএনও খালেদা খাতুন তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, “করোনা আক্রান্ত এক বোনের মৃত্যুর পরে আমি এবং কাউখালী উপজেলার দুজন বোন তাকে পৃথিবীর শেষ গোসল করিয়ে দিলাম। আমার এ বিষয়ে পূর্ব অভিজ্ঞতা নাই। তারপরেও কাজ করেছি। একইসাথে অভিভূত হয়েছি সংশ্লিষ্ট দুই বোনের কার্যক্রম দেখে। মানুষ মানুষের জন্য সে কথা তাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হতে পারে। অনেকদিন পরে পিপিই পড়ে কাউকে জড়িয়ে ধরেছিলাম প্রাণের আবেগে। ভালো থাকুক শামীমা আপা , ভালো থাকুক মিলি আপা।”

মুহূর্তের মধ্যে এই পোস্টে অসংখ্য প্রশংসামূলক কমেন্ট পড়ে। ইউএনও বিরামপুর লিখেছেন, “আপনাকে চিনি ও জানি স্যার। আপনার পক্ষেই সম্ভব এ ধরণের সাহসী ও ভাল কাজ করা। অবিরাম শুভকামনা আপনার জন্য।” ইউএনও নলসিটি লিখেছেন, “সারাজীবন কাউখালিবাসী তোমাকে স্মরণ করবে, তোমার কাজের মধ্য দিয়ে।” জাহিদুল ইসলাম সোহাগ নামে একজন লিখেছেন, “আপনা কর্মকাণ্ড যত দেখি তত মুগ্ধ হই। দোয়া করি সারা জীবন এভাবে মানুষ এর সেবায় নিজেকে যেন বিলিয়ে দিতে পারেন।”

সুজা আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, “আমরা কাউখালিবাসী গর্বিত ও কৃতজ্ঞ আপনার প্রতি। এমন একজন মানুষ বা অবিভাবক কাউখালিতে খুব দরকার ছিল। যত দেখি তত মুগ্ধ হচ্ছি। কেন জানিনা মন থেকে আপনার জন্য বারবার দুয়া আসতেছে। আল্লাহ অপনাকে নেক হায়াত দান করুক। এভাবেই যেন মানুষের কল্যানে নিজেকে উৎসর্গ করতে পারেন। ছোট জীবনে মানুষ বাঁচে কতদিন আর, মানুষ বাঁচে মানুষের ভালবাসায়, ইতিহাসের মাঝে। আপনাকে দেখে অনুপ্রেরণা পাই। যদিওবা থাকতে পারতাম আপনার কাছে তাহলে নিজ চোখে মানবতাকে দেখার সৌভাগ্য হতো।”

এসি ল্যান্ড হাতিবান্ধা লিখেছেন, “স্যার গর্বে বুক ভরে যাচ্ছে আর আনন্দে চোখ ভিজে যাচ্ছে!! আল্লাহ আপনাকে সবসময় সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন।” এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় কাউখালি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল আহম্মেদ সুমন বলেছেন, “করোনায় মৃত নারীর দাফনের ব্যবস্থা করে মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়া। তিনি করোনাকালের শুরু থেকে গর্ব করার মতো মহতী কাজ করে চলেছেন। তার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।”

উল্লেখ্য, মোসাম্মৎ খালেদা খাতুন রেখা ২০১৯ সালের ২১ জুলাই কাউখালি উপজেলার ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন সেবামূলক কাজের কারণে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন তিনি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

মানবতার অনন্য নজির গড়লেন ইউএনও খালেদা খাতুন

প্রকাশিত : ১০:৩৯:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১

করোনায় মৃত নারীকে যখন পরিবারের কেউ দাফনের জন্য গোসল করাতে সাহস পাচ্ছিল না তখন এই কাজে এগিয়ে এসে মানবতার অনন্য নজরি গড়লেন পিরোজপুরের কাউখালি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. খালেদা খাতুন রেখা। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় প্রশংসায় ভাসছেন এই ইউএনও। এর আগেও নানা মানবিক কাজে এগিয়ে আসায় প্রশংসিত হয়েছেন খালেদা খাতুন।

জানা গেছে, রেখা সুলতানা (৪৮) নামের এক নারী করোনায় সংক্রমিত হয়ে শুক্রবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। লাশ বাড়িতে নেওয়ার পর গোসলের জন্য পরিচিত ব্যক্তিরা কেউ এগিয়ে আসেনি। বিকেল গড়িয়ে রাত হয়ে যায়। গোসল না হওয়ায় দাফন পিছিয়ে যাচ্ছিল। খবর শুনে রাত আটটার দিকে ওই নারীর বাড়িতে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. খালেদা খাতুন। তিনি গোসল করান। তাঁকে দেখে মাহফুজা মিলি ও শামীমা আক্তার নামে প্রতিবেশী দুই নারীও এগিয়ে আসেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে জানাজা শেষে রেখার লাশ দাফন করা হয়। মৃত রেখা সুলতানা পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার উজিয়ালখান গ্রামের সোলায়মান হোসেনের স্ত্রী। সোলায়মান হোসেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সুপারভাইজার। এই দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার করোনার উপসর্গ নিয়ে রেখা সুলতানা কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। পরদিন বৃহস্পতিবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনা শনাক্ত হয়। শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এরপর পরিবারের লোকজন তাঁর লাশ বাড়িতে নিয়ে যান। লাশের গোসলের জন্য কোনো নারীকে পাওয়া যাচ্ছিল না। করোনায় মৃত্যু হয়েছে শুনে কেউ লাশের কাছে যাচ্ছিলেন না। রাত আটটা পর্যন্ত লাশ বাড়ির উঠানে ছিল। পরে ইউএনও মোসা. খালেদা খাতুন মৃত নারীর বাড়িতে গিয়ে গোসল করান।

মৃত রেখা সুলতানার স্বামী সোলায়মান হোসেন বলেন, ‘আমার স্ত্রী করোনায় মারা যাওয়ার খবর শুনে ভয়ে তাঁর লাশের গোসল করাতে কেউ আসেনি। রাতে ইউএনও মহোদয় এসে গোসল করালেন। আমি তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ।’ এ প্রসঙ্গে কাউখালী ইউএনও মোসা. খালেদা খাতুন বলেন, ‘আমি খবর পেলাম, করোনায় মৃত এক নারীর লাশের গোসল করানোর জন্য কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। তখন আমি মৃত নারীর বাড়িতে গিয়ে গোসলের উদ্যোগ নিই। একজন মানুষ হিসেবে এ কাজ করেছি। জনগণের সেবা করার পাশাপাশি দুঃসময় ও সংকটে তাদের পাশে দাঁড়ানো ইউএনও হিসেবে আমার দায়িত্ব।’

এটাই তাঁর জীবনের প্রথম কোনো মৃত নারীকে গোসল করানোর কাজে অংশ নেওয়ার ঘটনা বলে জানিয়েছেন খালেদা খাতুন। অভিজ্ঞতা না থাকলেও শিখে নেন লাশ গোসলের নিয়মকানুন। সুরক্ষা সামগ্রী (গাউন, হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক, ক্যাপ ও বুটজুতা) পরে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দুই নারীর সহযোগিতায় গোসল ও কাপনের কাপড় পরানোর কজ সম্পন্ন করা হয়।

এই ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা খাতুন রেখাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দেশের সর্বস্তরের মানুষ। করোনায় মৃত নারীর লাশ গোসল করানোর সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এই ঘটনা নিয়ে দুই স্বেচ্ছাসেবীর প্রসংশা করে শনিবার বিকেলে ইউএনও খালেদা খাতুন তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, “করোনা আক্রান্ত এক বোনের মৃত্যুর পরে আমি এবং কাউখালী উপজেলার দুজন বোন তাকে পৃথিবীর শেষ গোসল করিয়ে দিলাম। আমার এ বিষয়ে পূর্ব অভিজ্ঞতা নাই। তারপরেও কাজ করেছি। একইসাথে অভিভূত হয়েছি সংশ্লিষ্ট দুই বোনের কার্যক্রম দেখে। মানুষ মানুষের জন্য সে কথা তাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হতে পারে। অনেকদিন পরে পিপিই পড়ে কাউকে জড়িয়ে ধরেছিলাম প্রাণের আবেগে। ভালো থাকুক শামীমা আপা , ভালো থাকুক মিলি আপা।”

মুহূর্তের মধ্যে এই পোস্টে অসংখ্য প্রশংসামূলক কমেন্ট পড়ে। ইউএনও বিরামপুর লিখেছেন, “আপনাকে চিনি ও জানি স্যার। আপনার পক্ষেই সম্ভব এ ধরণের সাহসী ও ভাল কাজ করা। অবিরাম শুভকামনা আপনার জন্য।” ইউএনও নলসিটি লিখেছেন, “সারাজীবন কাউখালিবাসী তোমাকে স্মরণ করবে, তোমার কাজের মধ্য দিয়ে।” জাহিদুল ইসলাম সোহাগ নামে একজন লিখেছেন, “আপনা কর্মকাণ্ড যত দেখি তত মুগ্ধ হই। দোয়া করি সারা জীবন এভাবে মানুষ এর সেবায় নিজেকে যেন বিলিয়ে দিতে পারেন।”

সুজা আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, “আমরা কাউখালিবাসী গর্বিত ও কৃতজ্ঞ আপনার প্রতি। এমন একজন মানুষ বা অবিভাবক কাউখালিতে খুব দরকার ছিল। যত দেখি তত মুগ্ধ হচ্ছি। কেন জানিনা মন থেকে আপনার জন্য বারবার দুয়া আসতেছে। আল্লাহ অপনাকে নেক হায়াত দান করুক। এভাবেই যেন মানুষের কল্যানে নিজেকে উৎসর্গ করতে পারেন। ছোট জীবনে মানুষ বাঁচে কতদিন আর, মানুষ বাঁচে মানুষের ভালবাসায়, ইতিহাসের মাঝে। আপনাকে দেখে অনুপ্রেরণা পাই। যদিওবা থাকতে পারতাম আপনার কাছে তাহলে নিজ চোখে মানবতাকে দেখার সৌভাগ্য হতো।”

এসি ল্যান্ড হাতিবান্ধা লিখেছেন, “স্যার গর্বে বুক ভরে যাচ্ছে আর আনন্দে চোখ ভিজে যাচ্ছে!! আল্লাহ আপনাকে সবসময় সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন।” এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় কাউখালি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল আহম্মেদ সুমন বলেছেন, “করোনায় মৃত নারীর দাফনের ব্যবস্থা করে মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়া। তিনি করোনাকালের শুরু থেকে গর্ব করার মতো মহতী কাজ করে চলেছেন। তার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।”

উল্লেখ্য, মোসাম্মৎ খালেদা খাতুন রেখা ২০১৯ সালের ২১ জুলাই কাউখালি উপজেলার ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন সেবামূলক কাজের কারণে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন তিনি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর