০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মিতু হত্যা: মামলার নথি পুলিশের পরিবর্তে আদালতের হেফাজতে রাখার আদেশ

মাহমুদা খানম মিতু

বহুল আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার সমস্ত কাগজপত্র বা নথিপত্র পুলিশের পরিবর্তে আদালতের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন বলে জানান সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।

তিনি বলেন, বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার সব কাগজপত্র জুডিশিয়াল হেফাজতে রাখার আদেশ চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত শুনানি শেষে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি ও মামলার ফাইনাল রিপোর্টসহ সব কাগজপত্র জুডিশিয়াল হেফাজতে রাখার আদেশ দিয়েছেন।

অন্যদিকে আরেকটি আবেদনে সোমবার বাবুল আক্তারকে আসামি করার মামলার সহি-মুহুরি নকল প্রদানেরও আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার জাহানের আদালত।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রী খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। হত্যাকাণ্ডের পরের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন প্রথম এই খুনে বাবুলের জড়িত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেন। নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার তদন্তভার পড়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ওপর। এরপর থেকে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হলে গত ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের লক্ষ্যে ১২ মে ওই মামলার ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

মিতু হত্যা: মামলার নথি পুলিশের পরিবর্তে আদালতের হেফাজতে রাখার আদেশ

প্রকাশিত : ০৮:৫২:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অগাস্ট ২০২১

বহুল আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার সমস্ত কাগজপত্র বা নথিপত্র পুলিশের পরিবর্তে আদালতের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন বলে জানান সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।

তিনি বলেন, বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার সব কাগজপত্র জুডিশিয়াল হেফাজতে রাখার আদেশ চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত শুনানি শেষে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি ও মামলার ফাইনাল রিপোর্টসহ সব কাগজপত্র জুডিশিয়াল হেফাজতে রাখার আদেশ দিয়েছেন।

অন্যদিকে আরেকটি আবেদনে সোমবার বাবুল আক্তারকে আসামি করার মামলার সহি-মুহুরি নকল প্রদানেরও আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার জাহানের আদালত।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রী খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। হত্যাকাণ্ডের পরের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন প্রথম এই খুনে বাবুলের জড়িত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেন। নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার তদন্তভার পড়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ওপর। এরপর থেকে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হলে গত ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের লক্ষ্যে ১২ মে ওই মামলার ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ