০৪:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

থাইল্যান্ড আমার পছন্দের জায়গা

দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া/ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া কবিগুরুর এই কবিতাটি আমাকে সবসময়ই উদ্বুদ্ধ করে। তাই তো নগরজীবন ছেড়ে মাঝে মধ্যে মন যেতে চায় দূরে কোথাও। ঘর থেকে দু’পা বাইরে নিতে পারলেই মন হারিয়ে যায় অন্য এক জগতে। দেশের মধ্যে ভ্রমণবিলাসী অনেকেরই প্রথম পছন্দ কক্সবাজার। দু’দণ্ড অবসর পেলেই তারা সেখানে ছুটে যান। ঢাকায় থাকলেও এ জায়গাটিকে আমার কাছে নিজের মনে হয়।

কারণ বাবার চাকরির সুবাদে সেখানে অবস্থান করতে হয়েছিল। যে জন্য এই জায়গার প্রতি আলাদা একটা টান অনুভব করি।

কক্সবাজারের সৌন্দর্য লম্বা সময় ধরে উপভোগ করার সুযোগ হয়েছে। সাড়ে তিন বছর বয়সে সেখানের স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম। শৈশবের রঙিন দিনগুলো কক্সবাজারে কেটেছে। পড়াশোনা আর পরিবারের সঙ্গে কাটত মধুর সময়। ওই এলাকার মানুষের লাইফস্টাইল, খাবার-দাবার এখন খুব মিস করি। শৈশবের অনেক স্মৃতিবিজড়িত স্থানে গিয়ে স্মৃতি রোমন্থন করতে খুব মন চায়। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে সেই সুযোগটি আর হয়ে ওঠে না।

দেশের বাইরে থাইল্যান্ড আমার পছন্দের জায়গা। শহরটি এখনও আমার চোখে লেগে আছে। শপিংয়ের জন্যও এই শহর আমার ভীষণ প্রিয়। শোবিজে জড়িত হওয়ার পরই পৃথিবীর অনেক দেশ ভ্রমণের সুযোগ হয়েছে। এই শহরের প্রতি কোনো এক অজানা মোহ কাজ করে। প্রকৃতির ছোঁয়া এবং নির্মল হাওয়া খেতে বারবার সেখানে ফিরে যেতে মন চায়।

থাইল্যান্ডে একটি সফর আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে আছে। কারণ ওই সফরে খুব কাছের বন্ধুকে পেয়েছি। কাছের মানুষরা সঙ্গে থাকলে সময় কাটে অন্যরকম। দুই পরিবারের সদস্যরা একত্রে গিয়েছিলাম বলে আনন্দ আরও দ্বিগুণ হয়েছিল।

এই শহরের অন্যতম আকর্ষণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। শহরের ঝকঝকে রাস্তা, চকচকে আকাশছোঁয়া বহুতল ভবন। অফিস বা বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে যেসব ফুটপাত ফাঁকা, রাতে সেগুলো জমজমাট বাজার হয়ে যায়। চেনাই যায় না যে, দিনে এলাকাটা ফাঁকা ছিল। ব্যাংককের ফুটপাতের অন্যতম আকর্ষণ স্ট্রিট ফুড। দুই পা অন্তর অন্তর চোখে পড়বে হরেকরকমের থাই ফুডের পসরা। বেশিরভাগ স্ট্রিট ফুড বিক্রেতাই ইংরেজি জানেন না। পাহাড়-সমুদ্রঘেরা ছোট শহর পাতায়ার সৌন্দর্য আমাকে বেশ মুগ্ধ করে।

ব্যাংককের মতো এক রঙিন শহর বোধহয় গোটা পৃথিবীতে খুব কম আছে। বাড়িঘর, অফিস-কাচারি থেকে গাড়ি-ঘোড়া সবই নানা রঙে রঙিন। রাস্তার ধারে হরেক রঙের ফুলে শোভা শহরকে আরও রঙিন করে তুলেছে। দোকান, রেস্তোরাঁ, বার, শপিংমল, মার্কেট নিয়ে জমজমাট শহরের রাস্তার সওয়ারি নিয়ে ছুটছে অটোরিকশা।

পথের ধারেই ফেরিওয়ালার জমজমাট বেচাকেনা। যে নতুন জায়গায় গেলে সেখানকার দর্শনীয় স্থান ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। শপিং কোথায় করা যায় তা আগে থেকেই জেনে নিই। কুসংস্কার, গোঁড়ামি এবং সংকীর্ণতার পথ থেকে বের হওয়ার জন্য ভ্রমণ হলো মহৌষধ। তাই সবারই উচিত সময় পেলেই কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাওয়া। ঘোরা মানে যে বিদেশ যেতে হবে তা কিন্তু নয়, দেশেও অনেক সুন্দর জায়গা আছে। আমারও এসব পথের পথিক হতে ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে। মন ছুটে পথ থেকে পথে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

থাইল্যান্ড আমার পছন্দের জায়গা

প্রকাশিত : ০৬:২৬:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২১

দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া/ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া কবিগুরুর এই কবিতাটি আমাকে সবসময়ই উদ্বুদ্ধ করে। তাই তো নগরজীবন ছেড়ে মাঝে মধ্যে মন যেতে চায় দূরে কোথাও। ঘর থেকে দু’পা বাইরে নিতে পারলেই মন হারিয়ে যায় অন্য এক জগতে। দেশের মধ্যে ভ্রমণবিলাসী অনেকেরই প্রথম পছন্দ কক্সবাজার। দু’দণ্ড অবসর পেলেই তারা সেখানে ছুটে যান। ঢাকায় থাকলেও এ জায়গাটিকে আমার কাছে নিজের মনে হয়।

কারণ বাবার চাকরির সুবাদে সেখানে অবস্থান করতে হয়েছিল। যে জন্য এই জায়গার প্রতি আলাদা একটা টান অনুভব করি।

কক্সবাজারের সৌন্দর্য লম্বা সময় ধরে উপভোগ করার সুযোগ হয়েছে। সাড়ে তিন বছর বয়সে সেখানের স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম। শৈশবের রঙিন দিনগুলো কক্সবাজারে কেটেছে। পড়াশোনা আর পরিবারের সঙ্গে কাটত মধুর সময়। ওই এলাকার মানুষের লাইফস্টাইল, খাবার-দাবার এখন খুব মিস করি। শৈশবের অনেক স্মৃতিবিজড়িত স্থানে গিয়ে স্মৃতি রোমন্থন করতে খুব মন চায়। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে সেই সুযোগটি আর হয়ে ওঠে না।

দেশের বাইরে থাইল্যান্ড আমার পছন্দের জায়গা। শহরটি এখনও আমার চোখে লেগে আছে। শপিংয়ের জন্যও এই শহর আমার ভীষণ প্রিয়। শোবিজে জড়িত হওয়ার পরই পৃথিবীর অনেক দেশ ভ্রমণের সুযোগ হয়েছে। এই শহরের প্রতি কোনো এক অজানা মোহ কাজ করে। প্রকৃতির ছোঁয়া এবং নির্মল হাওয়া খেতে বারবার সেখানে ফিরে যেতে মন চায়।

থাইল্যান্ডে একটি সফর আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে আছে। কারণ ওই সফরে খুব কাছের বন্ধুকে পেয়েছি। কাছের মানুষরা সঙ্গে থাকলে সময় কাটে অন্যরকম। দুই পরিবারের সদস্যরা একত্রে গিয়েছিলাম বলে আনন্দ আরও দ্বিগুণ হয়েছিল।

এই শহরের অন্যতম আকর্ষণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। শহরের ঝকঝকে রাস্তা, চকচকে আকাশছোঁয়া বহুতল ভবন। অফিস বা বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে যেসব ফুটপাত ফাঁকা, রাতে সেগুলো জমজমাট বাজার হয়ে যায়। চেনাই যায় না যে, দিনে এলাকাটা ফাঁকা ছিল। ব্যাংককের ফুটপাতের অন্যতম আকর্ষণ স্ট্রিট ফুড। দুই পা অন্তর অন্তর চোখে পড়বে হরেকরকমের থাই ফুডের পসরা। বেশিরভাগ স্ট্রিট ফুড বিক্রেতাই ইংরেজি জানেন না। পাহাড়-সমুদ্রঘেরা ছোট শহর পাতায়ার সৌন্দর্য আমাকে বেশ মুগ্ধ করে।

ব্যাংককের মতো এক রঙিন শহর বোধহয় গোটা পৃথিবীতে খুব কম আছে। বাড়িঘর, অফিস-কাচারি থেকে গাড়ি-ঘোড়া সবই নানা রঙে রঙিন। রাস্তার ধারে হরেক রঙের ফুলে শোভা শহরকে আরও রঙিন করে তুলেছে। দোকান, রেস্তোরাঁ, বার, শপিংমল, মার্কেট নিয়ে জমজমাট শহরের রাস্তার সওয়ারি নিয়ে ছুটছে অটোরিকশা।

পথের ধারেই ফেরিওয়ালার জমজমাট বেচাকেনা। যে নতুন জায়গায় গেলে সেখানকার দর্শনীয় স্থান ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। শপিং কোথায় করা যায় তা আগে থেকেই জেনে নিই। কুসংস্কার, গোঁড়ামি এবং সংকীর্ণতার পথ থেকে বের হওয়ার জন্য ভ্রমণ হলো মহৌষধ। তাই সবারই উচিত সময় পেলেই কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাওয়া। ঘোরা মানে যে বিদেশ যেতে হবে তা কিন্তু নয়, দেশেও অনেক সুন্দর জায়গা আছে। আমারও এসব পথের পথিক হতে ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে। মন ছুটে পথ থেকে পথে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর