০৫:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে নিহত ৪

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্থানগর গ্রামে সোমবার বিকেলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন, যাদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান রতন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার আস্থানগর গ্রামে ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কেরামত আলী বিশ্বাস ও একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ওই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, আস্থানগর গ্রামের মৃত হাসেম আলীর ছেলে কাশেম (৫০), দাউদ মণ্ডলের ছেলে লাল্টু মণ্ডল (৩০), আবুল মালিথার ছেলে রহিম মালিথা (৫০) ও আফজাল মণ্ডলের ছেলে মতিয়ার (৪০)।

এলাকাবাসী জানায়, আস্থানগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কেরামত আলী ও মেহেদী হাসান গ্রুপের মধ্যে বিরোধ অনেকদিন আগে থেকে। এরই জের ধরে সোমবার বিকেলে ওই দুই গ্রুপের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে কেরামত আলী গ্রুপের রহিম মালিথা এবং মেহেদী হাসান গ্রুপের লাল্টু, মতিয়ার ও কাশেম নিহত হয়। তাদের মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ স ম আখতারুজ্জামান মাসুম বলেন, ‘ঝাউদিয়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান সামাজিক দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। এটি দলীয় সংঘর্ষ নয়।’

ওসি মুস্তাফিজুর রহমান রতন বলেন, ‘কেরামত আলী ও মেহেদী হাসান গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিনের কোন্দলের জেরে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে।’ এলাকায় পুলিশের অভিযান চলছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ ঘটনায় ১০ থেকে ১২ জনকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী সমকালকে জানান, রহিম মালিথা বিকেলে স্থানীয় মিলে গম ভাঙাতে যান। এ সময় মেহেদী হাসানের গ্রুপের কাশেম, লাল্টু ও মতিয়ার তার ওপর হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান রহিম। পরে তার পক্ষের লোকজন পাল্টা হামলা চালালে উভয়পক্ষে সংঘর্ষ শুরু যায়। এ সময় কাশেম, লাল্টু ও মতিয়ারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল ইসলাম বলেন, জখম অবস্থায় ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

 

পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনিও জানিয়েছেন, জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ট্যাগ :

কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে নিহত ৪

প্রকাশিত : ১১:৩৫:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ মে ২০২২

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্থানগর গ্রামে সোমবার বিকেলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন, যাদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান রতন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার আস্থানগর গ্রামে ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কেরামত আলী বিশ্বাস ও একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ওই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, আস্থানগর গ্রামের মৃত হাসেম আলীর ছেলে কাশেম (৫০), দাউদ মণ্ডলের ছেলে লাল্টু মণ্ডল (৩০), আবুল মালিথার ছেলে রহিম মালিথা (৫০) ও আফজাল মণ্ডলের ছেলে মতিয়ার (৪০)।

এলাকাবাসী জানায়, আস্থানগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কেরামত আলী ও মেহেদী হাসান গ্রুপের মধ্যে বিরোধ অনেকদিন আগে থেকে। এরই জের ধরে সোমবার বিকেলে ওই দুই গ্রুপের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে কেরামত আলী গ্রুপের রহিম মালিথা এবং মেহেদী হাসান গ্রুপের লাল্টু, মতিয়ার ও কাশেম নিহত হয়। তাদের মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ স ম আখতারুজ্জামান মাসুম বলেন, ‘ঝাউদিয়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান সামাজিক দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। এটি দলীয় সংঘর্ষ নয়।’

ওসি মুস্তাফিজুর রহমান রতন বলেন, ‘কেরামত আলী ও মেহেদী হাসান গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিনের কোন্দলের জেরে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে।’ এলাকায় পুলিশের অভিযান চলছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ ঘটনায় ১০ থেকে ১২ জনকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী সমকালকে জানান, রহিম মালিথা বিকেলে স্থানীয় মিলে গম ভাঙাতে যান। এ সময় মেহেদী হাসানের গ্রুপের কাশেম, লাল্টু ও মতিয়ার তার ওপর হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান রহিম। পরে তার পক্ষের লোকজন পাল্টা হামলা চালালে উভয়পক্ষে সংঘর্ষ শুরু যায়। এ সময় কাশেম, লাল্টু ও মতিয়ারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল ইসলাম বলেন, জখম অবস্থায় ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

 

পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনিও জানিয়েছেন, জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।