বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-জিপি টেন্ডারে ভুয়া অভিজ্ঞতা সনদ দাখিল করেছে তাসনিম এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বিষয়টি ধরা পরার পর প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলীকে রেলভবন থেকে লিখিত পত্রের মাধ্যমে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের উপপরিচালক (সংগ্রহ) মো. হাসিবুল মাহমুদ। একই পত্রের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে জিএম পুর্বাঞ্চলকেও। রেলভবন সুত্রে জানা যায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ১,২ ও ৩ নং প্লাটফর্মের একটি কাজের ( টেন্ডার আইডি নং- ৬৪৭২৯৪) টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স তাসনিম এন্টারপ্রাইজ জালিয়াতি করে মিথ্যা অভিজ্ঞতা সনদ দাখিল করেছেন। কর্তৃপক্ষের নিকট এই জালিয়াতি ধরা পরায় তার বিরুদ্ধে পিপিআর ২০০৮ এর বিধি ১২৭ অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করে গত ৭ জুন একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। জানা যায় বিগত ২৬/৯/২০১৯ তারিখে জাকির হোসেনের মালিকানাধীন তাসনিম এন্টারপ্রাইজের ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। ট্রেড লাইসেনন্স অনুযায়ী তিনি একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। তার অফিস ৪৮৫ ডিটি রোড় পাহাড়তলী চট্টগ্রাম। বাসা খয়রাতি মুন্সি বাড়ী ডিটি রোড় পাহাড়তলী চট্টগ্রাম। ২০১৯ সালে পাওয়া ট্রেড লাইসেন্সের বিপরীতে দেওয়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের একটি প্রত্যয়নপত্রে দেখা যায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের টেহুার আইডি নং ৯৭১০৫ ও প্যাকেজ নং সিসিসি/এডিপি-৭১৬ যাহার চুড়ান্ত মুল্য ৮ কোটি ৪১ লাখ ২২ হাজার ৩৩৪ টাকা। ২১ জুন ২০১৭ সালে কাজ শুরু করে ৩০ এপ্রিল ২০১৯ সালে সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। প্রকৃতপক্ষে এই তারিখে তাসনিম এন্টারপ্রাইজের অস্তিত্বই ছিলনা। একইভাবে এলজিইডির অধীনে লাকসাম উপজেলায় ২০১৫-২০১৬ , ২০১৬-২০১৭, ২০১৭-২০১৮ ও ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে অনেকগুলো কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন মর্মে প্রত্যয়নপত্র দাখিল করেছে যা জালিয়াতির আশ্রয়ে প্রতারণা করেছেন। এছাড়া ২৭ আগস্ট ২০১৪ সালে আরো একটি কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন মর্মে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের দেওয়া ১ টি সহ ৫ টি ভুয়া প্রত্যয়নপত্র দাখিল করেছেন। এব্যপারে জানতে চাইলে রেলওয়ে পুর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া চিঠির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন আমরা চিঠি পেয়ে ঠিকাদারকে শোকজ করেছি, ব্যাখ্যা চেয়েছি জবাব পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গস্খহণ করা হবে। উল্লেখ্য এই অপরাধের শাস্তির বিষয়ে পিপিআর-২০০৮ এর বিধি ১২৭ এর ৩ ধারায় বলা হয়েছে যদি কোন দুর্নীতি, প্রতারণা চক্রান্ত বা জবরদস্তিমুলক কার্যে কোন ব্যক্তি জড়িত হয় তাহা হইলে ক্রয়কারী উক্ত কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়া বা থাকার বিষয়ে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান করিবে। ৪ ধারায় বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ব্যাখ্যা ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান কর্তৃক গ্রহণযোগ্য না হইলে (ক) উক্ত ব্যক্তিকে অতঃপর সংশ্লিষ্ট কোন ক্রয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা হইতে বিরত রাখিতে পারিবে। বা (খ) উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কোন কার্যাদেশ প্রদানের প্রস্তাব করা হলে তা বাতিল করিতে পারিবে। বা (গ) উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ভবিষ্যতে অন্য কোন ক্রয় কার্যক্রম, কোন নির্দিষ্ট মেয়াদ বা অনির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য অংশগ্রহণের অযোগ্য বলে ঘোষণা করিতে পারিবে।
০৯:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
রেলের ই-জিপিতে মিথ্যা তথ্য: ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- জাহাঙ্গীর আলম চট্টগ্রাম ব্যুরো
- প্রকাশিত : ০২:০৫:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ অগাস্ট ২০২২
- 5
ট্যাগ :
জনপ্রিয়