০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মাল্টাচাষে সফল অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হরেকৃষ্ণ

মাল্টাচাষে সফল অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হরেকৃষ্ণ

মাল্টা লেবু বিদেশী বা পাহাড়ি ফল হিসেবে পরিচিত। মাল্টাচাষে সফল খুলনার পাইকগাছায় রাড়–লী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হরেকৃষ্ণ দাশ। তার লাগানো প্রতিটি গাছে এ বছর ৩০ থেকে ৪০টি মাল্টা হয়েছে। তিনি সর্বশেষ কর্মস্থল উপজেলার কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির স্কুল এন্ড কলেজে দীর্ঘ ১৬ বছর প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন। গ্রামের বাড়ি উপজেলার রাড়–লী গ্রামে। বর্তমানে সেখানেই স্ব-পরিবারে বসবাস করছেন। ২০২১ সালের জুলাই মাসে শখের বশে ও পরিবারের পুষ্টির চাঁহিদা মেটানোর জন্য উপজেলার গদাইপুর নার্সারি থেকে ৬০টি মাল্টার চারা সংগ্রহ করেন। ১৫ শতাংশ জায়গার মধ্যে মাল্টা চাষ শুরু করেন অবসরপ্রাপ্ত এ শিক্ষক। প্রথম বছরেই ২০টি গাছে ফলন আসছে। এতে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারেও বিক্রি করা সম্ভব। শিক্ষকের ফল বাগানে মাল্টা ছাড়াও রয়েছে কমলা, লেবু, পেঁপে, ড্রাগন, পেয়ারা, সফেদা, করমচা, কাঁঠাল, নারকেল, আমড়া, ল্যাংড়া আম ও আ¤্রপালিসহ প্রায় ২৫ ধরনের নানা প্রজাতীর ফলজ গাছ। এদিকে বাড়ির খালি জায়গাকে কাজে লাগিয়ে এধরনের একটি ফলজ বাগান সফলতার মুখ দেখায় বাগানটি দেখতে এবং পরামর্শ নিতে মানুষ আসছেন তার বাড়িতে। অনেকে তার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে বাড়ীর আঙ্গিনায় বাগান করার আগ্রহী হয়েছেন। শিক্ষক হরেকৃষ্ণ দাশ জানান, আমি ছোটবেলা থেকে গাছ লাগাতে এবং পরিচর্যা করতে ভালোবাসি। তাই বাড়ির আঙ্গিনার খাঁলি জায়গাকে কাজে লাগানোর জন্য মাল্টাসহ বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজির বাগান করেছি। শিক্ষকতার অবসর জীবনে অন্য কর্মের মাঝে বাগানে সময় দিয়ে থাকি। যেকোন বয়সের নারী-পুরুষ বাড়ির আঙ্গিনায় মাল্টা চাষ করতে চাইলে সেক্ষেত্রে বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করারও আশ্বাস দেন তিনি। তবে এটি বাণিজ্যিক হিসাবে একটি ভালো লাভজনক ব্যবসা। এ অঞ্চলের মাটি মাল্টা চাষের জন্য উপযুক্ত। এলাকায় ব্যাপকহারে মাল্টার চাষ হলে দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি সম্ভব।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

মাল্টাচাষে সফল অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হরেকৃষ্ণ

প্রকাশিত : ০৩:৩৫:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ অগাস্ট ২০২২

মাল্টা লেবু বিদেশী বা পাহাড়ি ফল হিসেবে পরিচিত। মাল্টাচাষে সফল খুলনার পাইকগাছায় রাড়–লী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হরেকৃষ্ণ দাশ। তার লাগানো প্রতিটি গাছে এ বছর ৩০ থেকে ৪০টি মাল্টা হয়েছে। তিনি সর্বশেষ কর্মস্থল উপজেলার কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির স্কুল এন্ড কলেজে দীর্ঘ ১৬ বছর প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন। গ্রামের বাড়ি উপজেলার রাড়–লী গ্রামে। বর্তমানে সেখানেই স্ব-পরিবারে বসবাস করছেন। ২০২১ সালের জুলাই মাসে শখের বশে ও পরিবারের পুষ্টির চাঁহিদা মেটানোর জন্য উপজেলার গদাইপুর নার্সারি থেকে ৬০টি মাল্টার চারা সংগ্রহ করেন। ১৫ শতাংশ জায়গার মধ্যে মাল্টা চাষ শুরু করেন অবসরপ্রাপ্ত এ শিক্ষক। প্রথম বছরেই ২০টি গাছে ফলন আসছে। এতে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারেও বিক্রি করা সম্ভব। শিক্ষকের ফল বাগানে মাল্টা ছাড়াও রয়েছে কমলা, লেবু, পেঁপে, ড্রাগন, পেয়ারা, সফেদা, করমচা, কাঁঠাল, নারকেল, আমড়া, ল্যাংড়া আম ও আ¤্রপালিসহ প্রায় ২৫ ধরনের নানা প্রজাতীর ফলজ গাছ। এদিকে বাড়ির খালি জায়গাকে কাজে লাগিয়ে এধরনের একটি ফলজ বাগান সফলতার মুখ দেখায় বাগানটি দেখতে এবং পরামর্শ নিতে মানুষ আসছেন তার বাড়িতে। অনেকে তার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে বাড়ীর আঙ্গিনায় বাগান করার আগ্রহী হয়েছেন। শিক্ষক হরেকৃষ্ণ দাশ জানান, আমি ছোটবেলা থেকে গাছ লাগাতে এবং পরিচর্যা করতে ভালোবাসি। তাই বাড়ির আঙ্গিনার খাঁলি জায়গাকে কাজে লাগানোর জন্য মাল্টাসহ বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজির বাগান করেছি। শিক্ষকতার অবসর জীবনে অন্য কর্মের মাঝে বাগানে সময় দিয়ে থাকি। যেকোন বয়সের নারী-পুরুষ বাড়ির আঙ্গিনায় মাল্টা চাষ করতে চাইলে সেক্ষেত্রে বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করারও আশ্বাস দেন তিনি। তবে এটি বাণিজ্যিক হিসাবে একটি ভালো লাভজনক ব্যবসা। এ অঞ্চলের মাটি মাল্টা চাষের জন্য উপযুক্ত। এলাকায় ব্যাপকহারে মাল্টার চাষ হলে দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি সম্ভব।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব