১০:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কানাই লালের রং তুলির প্রতিভা

সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি সকল জীবের মধ্যে সেরা জীব মানুষ। সকল জীবের মধ্যে মানুষকে সৃষ্টিকর্তা সেরা প্রতিভা দিয়েছেন। পৃথিবীতে যত নতুন সৃষ্টি কিংবা আবিষ্কার সবই মানুষ করেছেন। সৃষ্টিকর্তা সব প্রতিভা যেন আর্টিস চিত্র শিল্পীদের মধ্যে দিয়েছেন। যার ফলে তাদের রঙ তুলিতে উঠে আসে গ্রাম-বাংলার চির সবুজ প্রকৃতি, নদ-নদী, ফুল কিংবা প্রিয়জনের ছবি। কানাই লাল সরকার এমনই একজন প্রতিভাবান চিত্রশিল্পী।

মাধ্যমিকের মধ্যেই লেখাপড়া সীমাবদ্ধ থাকলেও তার রঙ তুলির প্রতিভার যেন জুড়ি নাই। পরিবেশ ও প্রকৃতির সবকিছুই উঠে আসে তার রং তুলিতে। দেখে মনে হয় সবকিছুই যেন জীবন্ত প্রতিছবি। কানাই লাল খুলনার পাইকগাছা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাতিখালী গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম। পিতা মৃত সুধীর কুমার সরকার, মাতা পূর্ণিমা রানী সরদার, ৩ ভাইয়ের মধ্যে কানাই ছোট। পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে লেখাপড়া জীবনে বেশিদূর এগুতে পারেনি। ২০০২ সালে এসএসসি পাশ করার পর লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায় তার। তবে স্কুল জীবন থেকে ছবি আঁকার উপর তার ভীষণ শখ ছিলো।

ছোটবেলা থেকেই কমবেশি ছবি আঁকার কাজ করতেন। স্কুল জীবনে একবার সে উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে। লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেলেও বন্ধ হয়নি তার ছবি আঁকা কিংবা ডিজাইন করার কাজ। বাড়িতে বসেই শাড়িতে ডিজাইন, ছবি আঁকা ও বাইন্ডিং সহ বিভিন্ন ধরণের কাজ করতে থাকেন। এভাবেই চলতে থাকে কানাইয়ের চিত্রশিল্পের কাজ। পথিমধ্যে ডিজিটাল প্যানা মেশিন তার কাজের অনেকটা জায়গা দখল করে নিলে কাজের পরিধি ছোট হয়ে আসে। কিন্তু অন্যান্য কাজের ফাঁকে এ কাজটি নিরবে করে যাচ্ছেন কানাই।

বর্তমানে রঙ তুলি দিয়ে পরিবার পরিজনকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে কানাই লাল। কানাই লাল সরকার বলেন, ছবি আঁকা আমার ছোট বেলার শখ। একাজে আমি কারো কোনো সহযোগিতা পায়নি। নিজের প্রচেষ্টায় যতটুকু সম্ভব শিখেছি। সর্বোপরী আমরা যারা শিল্পী আমাদের মনের একটা আয়না রয়েছে। এ আয়না দিয়ে আমরা যা কিছু দেখি তার সবকিছু আমরা রঙ তুলির মাধ্যমে প্রকাশ করি। এ কাজ করে এখন সংসার চলেনা। তবুও প্রিয় শখের কাজ বাদও দিতে পারিনা। নিজ বাড়ীতে বসেই যতটুকু পারি করে যাচ্ছি। তবে আমাদের মত ক্ষুদ্র শিল্পীদের জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে এ পেশা ধরে রাখা সম্ভব।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

কানাই লালের রং তুলির প্রতিভা

প্রকাশিত : ০৫:১৯:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২

সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি সকল জীবের মধ্যে সেরা জীব মানুষ। সকল জীবের মধ্যে মানুষকে সৃষ্টিকর্তা সেরা প্রতিভা দিয়েছেন। পৃথিবীতে যত নতুন সৃষ্টি কিংবা আবিষ্কার সবই মানুষ করেছেন। সৃষ্টিকর্তা সব প্রতিভা যেন আর্টিস চিত্র শিল্পীদের মধ্যে দিয়েছেন। যার ফলে তাদের রঙ তুলিতে উঠে আসে গ্রাম-বাংলার চির সবুজ প্রকৃতি, নদ-নদী, ফুল কিংবা প্রিয়জনের ছবি। কানাই লাল সরকার এমনই একজন প্রতিভাবান চিত্রশিল্পী।

মাধ্যমিকের মধ্যেই লেখাপড়া সীমাবদ্ধ থাকলেও তার রঙ তুলির প্রতিভার যেন জুড়ি নাই। পরিবেশ ও প্রকৃতির সবকিছুই উঠে আসে তার রং তুলিতে। দেখে মনে হয় সবকিছুই যেন জীবন্ত প্রতিছবি। কানাই লাল খুলনার পাইকগাছা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাতিখালী গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম। পিতা মৃত সুধীর কুমার সরকার, মাতা পূর্ণিমা রানী সরদার, ৩ ভাইয়ের মধ্যে কানাই ছোট। পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে লেখাপড়া জীবনে বেশিদূর এগুতে পারেনি। ২০০২ সালে এসএসসি পাশ করার পর লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায় তার। তবে স্কুল জীবন থেকে ছবি আঁকার উপর তার ভীষণ শখ ছিলো।

ছোটবেলা থেকেই কমবেশি ছবি আঁকার কাজ করতেন। স্কুল জীবনে একবার সে উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে। লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেলেও বন্ধ হয়নি তার ছবি আঁকা কিংবা ডিজাইন করার কাজ। বাড়িতে বসেই শাড়িতে ডিজাইন, ছবি আঁকা ও বাইন্ডিং সহ বিভিন্ন ধরণের কাজ করতে থাকেন। এভাবেই চলতে থাকে কানাইয়ের চিত্রশিল্পের কাজ। পথিমধ্যে ডিজিটাল প্যানা মেশিন তার কাজের অনেকটা জায়গা দখল করে নিলে কাজের পরিধি ছোট হয়ে আসে। কিন্তু অন্যান্য কাজের ফাঁকে এ কাজটি নিরবে করে যাচ্ছেন কানাই।

বর্তমানে রঙ তুলি দিয়ে পরিবার পরিজনকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে কানাই লাল। কানাই লাল সরকার বলেন, ছবি আঁকা আমার ছোট বেলার শখ। একাজে আমি কারো কোনো সহযোগিতা পায়নি। নিজের প্রচেষ্টায় যতটুকু সম্ভব শিখেছি। সর্বোপরী আমরা যারা শিল্পী আমাদের মনের একটা আয়না রয়েছে। এ আয়না দিয়ে আমরা যা কিছু দেখি তার সবকিছু আমরা রঙ তুলির মাধ্যমে প্রকাশ করি। এ কাজ করে এখন সংসার চলেনা। তবুও প্রিয় শখের কাজ বাদও দিতে পারিনা। নিজ বাড়ীতে বসেই যতটুকু পারি করে যাচ্ছি। তবে আমাদের মত ক্ষুদ্র শিল্পীদের জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে এ পেশা ধরে রাখা সম্ভব।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব