বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। এর ফলে বাগেরহাটের মোংলা বন্দরসহ সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে বইছে ঝড়ো হাওয়া। মোংলা বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে সকাল থেকে বঙ্গোপসাগর পাড়ের সুন্দরবনের দুবলার চরে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে দুপুরের জোয়ারে স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় তিন ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে দুবলার চর।

সুন্দরবনের করমজলেও অস্বাভাবিক পানি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন করমজল বন্যপ্রাণী ও প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির। তিনি বলেন, এখন পূর্ণিমার জোয়ার চলছে। এই সময়ে এমনিতেই পানির চাপ বেশি থাকে। তার মধ্যে নিম্নচাপের প্রভাবে পানি বেড়েছে প্রায় তিন ফুটের মতো।সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলিপ মজুমদার বলেন, ‘সকাল থেকে দুবলার চর এলাকায় বৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বইছে। এছাড়া স্বাভাবিকের তুলনায় তিন ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে চর ও বন প্লাবিত হয়েছে।

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সাগর উত্তাল হয়ে উঠতে থাকায় প্রায় অর্ধশত ট্রলার দুবলার ভেদাখালী, ভাঙ্গার খাল ও মেহেরআলী খালে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, গত দুই তিন দিন ধরে আবহাওয়া খারাপ হতে থাকায় সাগরের অন্যান্য ট্রলারগুলো নিরাপদে নিজ নিজ এলাকায় চলে গেছে। মোংলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ অমরেশ চন্দ্র ঢালী জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি শনিবার বিকালের পর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি উড়িষ্যা উপকূল ও বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

এটি ক্রমেই ঘনীভূত হওয়ায় সাগর উত্তাল ও উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে ঝড় বৃষ্টি বয়ে যাবে। এমন বৈরী আবহাওয়া আগামী আরও ২-৩ দিন অব্যাহত থাকবে। এছাড়া স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েক ফুট পানি বাড়বে বলেও জানান তিনি।
বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব






















